গরমে শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০টি সেরা ও কার্যকরী পদ্ধতি
গরমে শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০টি সেরা ও কার্যকারী পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন আপনাদের জন্য আজকে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব
গরমে শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে কি ধরনের সমস্যা সৃষ্টি
হয় এবং শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের উপায় ও গুরুত্ব সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে। তাহলে চলুন দেরি না করে আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে আসা
যাক-
পেজ সুচিপত্র ঃ গরমে শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০টি সেরা ও কার্যকরী পদ্ধতি
- গরমে শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০টি সেরা ও কার্যকরী পদ্ধতি
- শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এমন ১০টি খাবারের তালিকা
- গরমের শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
- কত ডিগ্রী তাপমাত্রা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর
- গরমে শরীরের অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কিসের লক্ষণ হতে পারে
- গ্রীষ্মকালে বাসা বাড়ি ঠান্ডা রাখার উপায়
গরমে শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০টি সেরা ও কার্যকরী পদ্ধতি
গরমে শরীরে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে এক্ষেত্রে তাপমাত্রা
অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তা না হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তাই
এখন আপনাদের সামনে আমি এমন ১০টি সেরা কার্যকারী পদ্ধতি তুলে ধরব যার মাধ্যমে
আপনারা শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং তার জনিত সমস্যা থেকেও রক্ষা
পেতে পারেন -
- অতিরিক্ত গরমের কারণে ওদের তো তাপমাত্রার কারণে শরীরে খুবই দ্রুত পানি শূন্যতা সৃষ্টি হয় তাই অবশ্যই গরম পড়লে আপনাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত এতে শরীর ঠান্ডা রাখতে সহযোগিতা হবে।
- যখন অতিরিক্ত পরিমাণে গরম পড়ে তখন নিশ্চয়ই আপনাদের ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে ভালো লাগে? গরমকালে শরীরকে দ্রুত ঠান্ডা করতে বা শরীরে তাপমাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। তবে ঠান্ডা পানি বলতে বোঝানো হচ্ছে নলকূপের পানি কিংবা স্বাভাবিক ঠান্ডা পানি।
- আপনার একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন অতিরিক্ত গরমকালে যখন আপনারা টাইট ফিটিং জামা কাপড় পড়েন তখন কিন্তু গরম বেশি লাগে বিশেষ করে কালো কাপড় পরাতে বেশি পরিমাণে গরম লাগে তাই আপনারা যখন অতিরিক্ত গরম পড়বে তখন সবসময় ঢিলেঢালা এবং হালকা পোশাক পরার অভ্যাস করে তুলবেন বিশেষ করে সুতি কাপড় পরার অভ্যাস করবেন এতে করে আপনাদের ঘামের পরিমাণ কম হবে এবং শরীর শীতল থাকবে।
- অতিরিক্ত গরম পডলে কিন্তু বিশেষ করে মুখে বেশি পরিমাণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় বিশেষ করে আপনারা যারা মেয়েরা আছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারেন আপনাদের মুখে অতিরিক্ত গরম লাগে কিংবা ত্বকের চামড়া গরম হয়ে ওঠে এক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই ত্বককে শীতল করতে ঠান্ডা পানি কিংবা বরফ দিয়ে বারবার মুখে মেসেজ করবেন এটা করে আপনাদের ত্বকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- গরমে যারা বাইরে কাজ করে কিংবা বিভিন্ন কারনে বাইরে যাতায়াত করে তাদের কিন্তু শরীরে ডিহাইডারেশন কিংবা পানি শূন্যতা হয় এ ক্ষেত্রে আপনারা অতিরিক্ত গরমে অবশ্যই তাজা ফলমূল, পানীয় যুক্ত খাদ্য যেমন তরমুজ, শসা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি খাদ্য খাওয়ার চেষ্টা করবেন এটি আপনাদের শরীরকে শীতল রাখবে। এটি গরমে শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০টি সেরা ও কার্যকারী পদ্ধতি এর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।
- আপনারা কি জানেন মিষ্টি কিনবা তৈলাক তো খাবার শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে? জি হয়তো আপনারা জানেন না কিন্তু গরমকালে আপনারা অতিরিক্ত মিষ্টি ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারন এটি আমাদের শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে যা অতিরিক্ত গরমে আমাদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
- আপনারা অনেকেই চা কিংবা কফি ছাড়া থাকতেই পারেন না তাই না? এই অতিরিক্ত চা বা কফি খাওয়া কিন্তু আপনাদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে তাই গরমে চা বা কফি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- গ্রীষ্মকালে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন না, গরমে শরীরে তাপমাত্রা যদি বৃদ্ধি পায় এক্ষেত্রে কিন্তু আপনাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে আপনারা অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন তাই অবশ্যই যথাসম্ভব আপনারা প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটাবেন ছায়াতে বিশ্রাম নেবেন কিংবা সবসময় ছায়াতে থাকার চেষ্টা করবেন। গরমে শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০টি সেরা ও কার্যকরী পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন আশা করি আপনরা উপকৃত হবেন ।
- অতিরিক্ত গরমে যখন আপনারা অতিরিক্ত পরিমাণে পরিশ্রম করবেন তখন আপনাদের শরীরে ঘাম বৃদ্ধি পাবে এর ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিবে এবং আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন তাই বিশ্রাম নিন এবং অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।
আমি আপনাদের সামনে যে ১০টি উপায় তুলে ধরেছে আশা করি আপনারা এই দশটি উপায়ে
অনুসরণ করলে আপনাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন আর আপনাদেরকে বলে
রাখি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে কিন্তু আপনারা সুস্থ থাকতে পারবেন। এখন
আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব শরিলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে এমন ১০টি খাবার
সম্পর্কে
শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এমন ১০টি খাবারের তালিকা
গরমের সময় দিনে শরীলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু বিশেষ খাবার খাওয়া
জরুরী যে খাবারগুলো আপনাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সহযোগিতা করবে এবং তার
জন্য তো অসুবিধা থেকে রক্ষা করবে তাহলে চলুন জেনে আসি নিচে এমন দশটি খাবার
সম্পর্কে যেগুলো আপনার শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সহায়ক -
- তরমুজ খাওয়াঃ আপনারা কি জানেন তরমুজের মধ্যে ৯২% পানি থাকে যা আপনার শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সহযোগিতা করবে তাই অতিরিক্ত গরমে বেশি পরিমাণে তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে আপনার শরীরের পানি শূন্যতা কমাবে এবং শরীর শীতল রাখতে সহযোগিতা করবে।
- শশাঃ দ্বিতীয়ত শশা আমরা সকলেই জানি শসা পানির একটি ভালো উৎসব তাই যখন দেখবেন অতিরিক্ত গরম পরছে তখন আপনারা কিছুক্ষণ পর শসা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন যা আপনাদের শরীরে কিন্তু পানি ধরে রাখতে সহযোগিতা করবে যার ফলে শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- পাকা পেঁপেঃ
- দইঃ গরমের সময় দই আপনাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখার একটি ভাল উৎস হতে পারে গরমে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর সেরা ১০ টি উপায় এর মধ্যে এবং খাদ্যের মধ্যে সবথেকে অন্যতম হচ্ছে দই। দই আপনাদের শরীরে যেমন কার্বোহাইড সরবরাহ করবে ঠিক তেমনিভাবে শরীর শীতল রাখতে সহযোগিতা করে।
- নারিকেল পানি : অতিরিক্ত গরমের কারণে এবং অতিরিক্ত সূর্যের তাপের কারণে আমাদের শরীর থেকে পানির জলীয় বাষ্প রূপে বের হয়ে যায় আর নারিকেল পানি আপনার শরীরের এই জলীয়তা দূর করতে সহযোগিতা করবে যার ফলে আপনাকে দেহের পানি শূন্যতা দূর হবে।গরমে শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০টি সেরা ও কার্যকরী পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন আশা করি আপনরা উপকৃত হবেন ।
- মধু : আপনাদের অনেকেরই ধারণা যে মধু হয়তো বা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে এমনটা নয় আপনাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করবে এবং এটি শক্তির ভালো উৎসব গরমে দেখবেন অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে অনেক সময় আমাদের দুর্বল অনুভব হয় এক্ষেত্রে মধু আপনাদের শক্তির ভালো উৎসব।
- টক দই ও লাচ্ছি : একটা জিনিস আপনারা মনে রাখবেন যখন আপনারা বাইরে যাবেন কিংবা অনেকক্ষণ বাইরে কাজ করছেন এমন সময় আপনারা কিছুক্ষণ পর পর পানি খাবেন এবং টক দই খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে আপনাদের শরীরে তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতে সহযোগিতা করবে এবং আপনাদের একটি রিফ্রেশ অনুভূতি দিবে।
- মিষ্টি আলু : আপনারা কি জানেন মিষ্টি আলো আপনাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সহযোগিতা করবেন? জি মিষ্টি আলু হচ্ছে পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস আর এটি আপনাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভালো উৎসব। গরমের শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০ টি সেরা উপায় ও খাদ্যের মধ্যে মিষ্টি আলোটি হচ্ছে নতুন একটি বিষয় যা সকলে জানে না তা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
- পুদিনা পাতা : গরম পড়লে মেয়েরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাই না? কারণ গরমের সময় ত্বকের বেশ ক্ষতি হয় এজন্যই বলছি আপনারা পুদিনা পাতার শরবত খাওয়ার চেষ্টা করেন বা পুদিনা পাতা কে টেস্ট সিলেটের মধ্যে যুক্ত করে খেতে পারেন এটি আপনাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখবে এবং ত্বকের সুস্থতা ধরে রাখতে আপনাদেরকে সহযোগিতা করবে তাই আর দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। গরমে শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০টি সেরা ও কার্যকরী পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন আশা করি আপনরা উপকৃত হবেন ।
- গরম মসলা বা গোল মরিচ : আপনারা কি জানেন গরম মসলা বা গোল মরিচ শরীরের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে? হয়তোবা জানেন না তাহলে শুনুন গরম মসলা ও গোলমরিচ আপনাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করবে খেতে হবে না আপনাদের প্রতিনিয়ত খাদ্য যেমন তরকারিতে যখন আপনারা গোলমরিচ বা গরম মসলা ব্যবহার করেন সেটিতেই আপনাদের এই খাদ্যের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।
এতক্ষণ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম গরমে কোন কোন খাবারগুলো আপনাদের শরীরে
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করবে এখন আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব
অতিরিক্ত গরমে আপনাদের শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কোন কোন ক্ষতি হতে পারে
আপনাদের শরীরে বা কি কি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে সে সম্পর্কে জানতে হলে চলুন
আর্টিকেলটি সম্পন্ন পরে আসুন আশা করছি আপনারা আমার তথ্যের মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
গরমের শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
গরমে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন
তাহলে চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে আসি গরমে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি
পেলে আপনাদের শরীরে কি ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে -
- হিটস্টোক : অতিরিক্ত গরমে বিশেষ করে যারা বয়স্ক ব্যক্তি এবং যারা একদম ছোট বাচ্চা তাদের হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই আপনাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পানীয় জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমাণে খাবেন।
- ডিহাইডেশন : যারা বিশেষ করে বাইরে কাজ করে থাকে তাদের অতিরিক্ত ঘাম হয় এবং পানি শুনাতে তৈরি হয় শরীরে এর ফলে তাদের কিডনি মস্তিষ্ক ও পাচনতন্ত্রের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে তাই অবশ্যই আপনারা বাইরে থাকা অবস্থায় বেশি বেশি পানি পান করবেন। গরমে শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০টি সেরা ও কার্যকরী পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন আশা করি আপনরা উপকৃত হবেন ।
- গরমের কারণে ঘুমের সমস্যা : অতিরিক্ত গরমের কারণে অস্বস্তি বোধ হয় যার ফলে ঘুমের সমস্যা হয় আর এই সকল ঘুমের সমস্যা থেকে ঘুমের ঘাটতি তৈরি হয় এবং ক্লান্তি, মানসিক চাপ, মাথা ব্যথার সমস্যা ইত্যাদি সৃষ্টি হতে পারে। গরমে শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০টি সেরা ও কার্যকরী পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন আশা করি আপনরা উপকৃত হবেন ।
- হিট এক্স হস্টোন : এটি সাধারণত যখন আপনারা অতিরিক্ত গরমের সময়ও অতিরিক্ত পরিশ্রম কিংবা শারীরিক পরিশ্রম করেন তখন আপনাদের তৃষ্ণা, দুর্বল, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বমি বমি ভাব এরকম কিছু পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তখন যদি আপনারা এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে । তাই তখনই আপনাদের হিট এক্সহস্টোন এর মত সমস্যা তৈরি হবে তখন আপনারা যে কাজই করেন না কেন দ্রুত বিশ্রাম নেবেন এবং পানি পান করবেন।
- মস্তিষ্কের ক্ষতি : অতিরিক্ত পরিমাণে তাপমাত্রার বৃদ্ধি যখন পায় তখন কিন্তু আপনাদের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায় যখন মাথাব্যথা শুরু হয়ে যাবে তখন বুঝতে হবে আপনাদের শরীরে অক্সিজেনের অভাব পড়ছে এই সমস্যাটাকে দ্রুত আপনাদের ঠিক করতে হবে তাছাড়া স্মৃতিশক্তি হারানো বা মানসিক ভারসাম্য হারানোর মতো ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।
এখন আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব পরিবেশ বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য যেমন
তাপমাত্রা বেড়ে গেলে পরিবেশে কি কি ক্ষতি হয়, মানুষের শরীরের জন্য সহনীয়
তাপমাত্রা কত, অতিরিক্ত ঘাম এর লক্ষণ কি আপনার যদি এ সকল বিষয়ের প্রতি
আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার অনুরোধ রইলো আশা করি নতুন
তথ্যের মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন ।
কত ডিগ্রী তাপমাত্রা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর
কত টাকা তাপমাত্রা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং কত ডিগ্রি তাপমাত্রায়
মানুষের শরীরের জন্য স্বাভাবিক সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?তাহলে চলুন আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে আসুন।
- মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা : মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস । গরমের সময় যদি এরকম তাপমাত্রা থাকে তাহলে সেটি মানুষের শরীরের জন্য সহনীয় এবং স্বাভাবিক বলে বিবেচনা করা হয়।
- মানব শরীরের হালকা তাপমাত্রা বৃদ্ধি : তাপমাত্রা যখন ৩৮-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে তখন সেটি মানুষের জন্য হালকা ঝুঁকি সৃষ্টি করে যেমন জ্বর, সর্দি, হতে পারে আপনাদের তবে এটি খুব একটা ক্ষতিকর নয়।
- মাধ্যম স্তরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি : মাধ্যমিক স্তরে তাপমাত্রা বলতে আবার কী বোঝায় তাই না? মাধ্যমিক স্তরে তাপমাত্রা হচ্ছে ৩৯-৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা আপনাদের শরীরের জন্য বিপদজনক হতে পারে দীর্ঘ সময় ধরে যদি এইরকম তাপমাত্রা বিরাজমান থাকে তাহলে হিট স্টক এর মতো গুরু দার সমস্যা তৈরি হয় ।
- হুমকির স্বরূপ তাপমাত্রা বৃদ্ধি : হুমকি স্বরূপ তাপমাত্রা বৃদ্ধি তাপমাত্রাটি হচ্ছে মূলত ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এরকম তাপমাত্রা যদি চলমান থাকে এক্ষেত্রে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং মৃত্যুও হতে পারে।
আমাদের বাংলাদেশে কিন্তু যখন গ্রীষ্মকাল হয় তখন উত্তরাঞ্চলে 40° বা ৪১ ডিগ্রি
তাপমাত্রা থেকেই থাকে, তাই গ্রীষ্মকালে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যায় ।
দ্রুত আমাদের এই পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন
জায়গায় গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে পৃথিবীর তাপমাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণ করা না
যায় তাহলে বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরকে রক্ষা করা যাবে না যার ফলে মানুষের জীবনের
ওপর হুমকি স্বরূপ এসে পড়বে সূর্যের এই অতিবেগুনি রশ্মি।
গরমে শরীরের অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কিসের লক্ষণ হতে পারে
গরমে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে তবে গরমের সময়
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি
চিন্তার কারণ হতে পারে কেননা হার্ট এটাক এর সময় অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হয় তাই
অবশ্যই আপনাদেরকে জানতে হবে যে অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হওয়ার কারণগুলো কি -
- গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া প্রাকৃতিক কারণ , শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রাকৃতিকভাবে এই শরীর থেকে ঘাম নিঃসরণ করা হয় যাতে শরীরে শীতলতা বজায় রাখতে পারে। গরমে শরীরে তাপমাত্রা কমানোর ১০টি সেরা ও কার্যকরী পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন আশা করি আপনরা উপকৃত হবেন ।
- যখন শরীরের পানি শোনাতে দেখা যায় যখন ডিহাইডেশনের সৃষ্টি হয় তখন কিন্তু শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম ঝরে যায় যে আপনাদের শরীর ডিহাইডেট হয়ে গেছে তাই তখন বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
- অতিরিক্ত গরম পড়ার সাথে সাথে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হওয়া শুরু হয় অস্বাভাবিকভাবে তাহলে এক্ষেত্রে হিট স্টক হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে তাই তখন অবশ্যই আপনারা শীতল স্থানে চলে যাবেন এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন ও বেশি করে পানি পান করবেন।
- অনেক সময় অতিরিক্ত পরিমাণে উত্তেজনা ও মানসিক চাপ থাকার কারণে ও কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম হওয়ার সমস্যাটি হতে পারে এক্ষেত্রে যখন দেখবেন আপনাদের অতিরিক্ত পরিমাণে ঘাম নিঃসরত হচ্ছে তখন আপনারা আপনাদের মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করবেন না হলে কিন্তু আপনাদের মস্তিষ্ককে খুব দ্রুত রক্ত চলাচল বেড়ে যায় যার ফলে রক্তনালী ছিড়ে গিয়ে মৃত্যু হতে পারে।
গ্রীষ্মকালে বাসা বাড়ি ঠান্ডা রাখার উপায়
গ্রীষ্মকালে বাসা বাড়ি ঠান্ডা রাখা যায় কিভাবে বিষয় নিয়ে অনেকেরই দুশ্চিন্তা
হয়? গ্রীষ্মকালে বাসা বাড়ি ঠান্ডা রাখা খুবই জরুরী কারণ না অতিরিক্ত গরম এবং
ক্রান্তি বদলে মানুষ যখন বাসা বাড়িতে আসে তখন যদি সেখানে তাপমাত্রা যদি
বাইরের মতোই থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আপনাদের অস্বস্তিবোধ হবে তাই না? তাহলে চলুন
জেনে আসি কিভাবে আপনারা গ্রীষ্মকালে বাসা বাড়ি ঠান্ডা রাখবেন সে উপায় গুলো
সম্পর্কে -
- প্রথমত আপনারা অবশ্যই আপনাদের বাসা বাড়ির জানালাতে পর্দা ব্যবহার করবেন যাতে করে বাইরের সূর্যের তাপঘরে প্রবেশ করতে না পারে এতে করে আপনাদের বাসা বাড়ি ঠান্ডা থাকবে।
- দ্বিতীয় তো আপনারা বায়ু প্রবাহ নিশ্চিত করবেন আপনাদের বাসা বাড়িতে এক্ষেত্রে ফ্যান ব্যবহার করবেন কিংবা বাসা বাড়িতে ভেন্টেলেটর ব্যবহার করবেন যাতে ঘরে তাপমাত্রা বাইরে বের হয়ে যায়।
- যদি আপনার সমর্থ্য থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা বাসায় এসি বা কুলার ব্যবহার করুন এতে করে গ্রীষ্মকালে ঘর বা বাসা বাড়ি ঠান্ডা রাখা সহজ হবে।
- বাসা বাড়ির ছাদে আপনারা বেশি করে গাছ লাগান যাতে করে আপনাদের বাড়ির ছাদে সরাসরি সূর্যের তাপ না পড়ে এতে করে আপনাদের বাসা বাড়ি ঠান্ডা রাখা যাবে অনেকটা।
- অনেক সময় দেখা যায় যাদের বাড়ির ছাদ রয়েছে তাদের বাসায় সেই ছাদের তাপ বাসার ভেতরে নিচে নেমে আসে এক্ষেত্রে আপনারা ছাদের উপরে নিয়মিত পানি ছেটাবেন এবং ছাদে বাগান করবেন অথবা ছাদে হালকা রঙের প্রলেপ একে রাখবেন যাতে সূর্যের তাপ সরাসরি ছাদে এসে না লাগে।
রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url