প্রসাবের সময় পুরুষের প্রসাবের রাস্তায় জালাপোড়া কেন হয়-প্রসাবের জালাপোড়ার লক্ষন

প্রসাবের সময় পুরুষের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি আজকে আপনাদের জন্য। আমাদের মধ্যে অনেকেরই সেটি পুরুষ হোক কিংবা মহিলা সকলের মধ্যে প্রায় প্রসাবের জ্বালাপোড়া সমস্যাটি লক্ষ্য করা যায়। এবং এই প্রসাবের জ্বালাপোড়া সমস্যাটি  নিরাময় করার জন্য অনেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খায় কিন্তু তারপরও এই সমস্যাটি দূর করা সম্ভব হয় না।

প্রসাবের-সময়-পুরুষের-প্রসাবের-রাস্তায়-জালাপোড়া-কেন-হয়

আজকে আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব কিভাবে প্রসাবের জ্বালাপোড়া সমস্যাটি প্রতিহত করবেন এবং প্রসাবের জ্বালাপোড়া সমস্যা হওয়ার কারণ কি? পুরুষের প্রসবের জ্বালাপোড়া সমস্যা হওয়ার কারণ? মহিলাদের প্রসাবের জ্বালাপোড়া সমস্যা হওয়ার কারণ? এবং পুরুষ ও মহিলাদের প্রসাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যা দূর করার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত।

পেজ সুচিপত্র ঃ প্রস্রাবের সময় পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জালাপোড়া কেন হয়

প্রসাবের সময়  পুরুষের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয় 

প্রসাবের সময় পুরুষের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয় সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। পুরুষের প্রসাবের সময় প্রসাবের  রাস্তায় জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি হতে পারে বিভিন্ন কারণে। যদি কোন পুরুষের ইউরিনারি ইনফেকশন থাকে তাহলে মূত্রনালীতে ইনফেকশন হয় যার ফলে প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ জনিত সমস্যার কারণেও প্রসাবের সময় প্রসাবের রাস্তায় ব্যথা বা জ্বালা করা সৃষ্টি হয়। অত্যাধিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্য বা জীবন মানে জন্যেও এই রকম সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।


 যদি কারো কিডনিতে পাথর হয় এক্ষেত্রে ও প্রসাবের সময় প্রসাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। পুরুষরা যত সারাদিন বাইরে থাকে এক্ষেত্রে তারা পানি কম খায় যার ফলে তাদের শরীরের পানির পরিমাণ কম থাকার কারণে প্রসবের সময় বোঝাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। প্রসাবে রাস্তায় আলসার বা ইনফেকশন হওয়ার কারণে মূত্রত্যাগের সময় প্রসাবে রাস্তায় জ্বালাপোড়া অনুভূতি হতে পারে। মুত্রাশয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাহিত ঘটলেও প্রসাবের জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়।

পুরুষের প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়া কিসের লক্ষণ

পুরুষের প্রসাবে জলাপোড়া হওয়া কিসের লক্ষণ সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। পুরুষের প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার সমস্যাটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হিসেবে প্রকাশিত হতে পারে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে আসি পুরুষের পোশাবে জ্বালাপোড়া হওয়া কিসের লক্ষণ  সে সম্পর্কে বিস্তারিত-
  •  ইউরিনারি ইনফেকশন : ইউরিনারি ইনফেকশন হলে মূলত মূত্রনালীর সংক্রমণ। মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা কোন সংক্রমণ সৃষ্টি হলে প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে।
  •  রোগজনিত সংক্রমণ সমূহ : গনোরিয়া, ক্ল্যামেডিয়া, ট্রাই কমোনিয়াসিস, ইত্যাদি সমস্যা লক্ষণ হিসেবে মূত্রনালী সংক্রমণ বা পুরুষদের প্রস্রাব ত্যাগের সময় জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হতে পারে।
  •  প্রোস্টেটাইটিস : প্রস্টোটাইটিস মূলত  প্রোস্টেট নামক গ্রন্থির সংক্রমণকে বোঝায়।  এর ফলে পুরুষের প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়াবার তলপেট ব্যথা লক্ষণ দেখা দেয়।
  •  মূত্রথলিতে পাথর : মুত্রথলিতে পাথর জমা হলে কি আমাদের কিডনিতে বেশি চাপ পড়ে যার ফলে প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।
  •  ব্লাড ইনফেকশন : ব্লাড ইনফেকশন হওয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে ওসব ত্যাগ করার সময় জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে।

মহিলাদের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয় 

মহিলাদের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয় সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন। মহিলাদের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হওয়ার কারণ অনেক গুলো হতে পারে। আজকে আপনাদের সামনে বেশ কিছু সাধারন কারণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে আসি মহিলাদের প্রসাবের রাস্তায় ধরা পড়া হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত -
  • ইউরিনারি ইনফেকশন : মহিলাদের প্রসাবে   জ্বালাপোড়া হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হচ্ছে ইউরিনারির ইনফেকশন যার ফলে  প্রসাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়।
  • ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন : মূত্রনালির পাশে ভ্যাজাইনাল জায়গায় যদি সংক্রমণ সৃষ্টি হয় এই ক্ষেত্রে প্রসাব ত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে।
  • রোগ সংক্রমণ : গনোরিয়া, ক্লামিডিয়া  যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে ছড়ায় যার ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত এসিড প্রসাব : পানি কম খাওয়ার কারণ এবং ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি হওয়ার কারণে অনেক সময় প্রসাবের মধ্যে এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যার ফলে প্রসাব ত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়।
  • হরমোনাল পরিবর্তন :  হরমোনাল পরিবর্তন হওয়ার সময় মুহূত্রনালীর আবরণ শুষ্ক হয়ে যায় যার ফলে প্রসাব ত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়।
  • ডিহাইড্রেশন : শরীরের জন্য প্রয়োজনে পরিমাণে পানি পার না করার ফলে প্রসাবের জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে।

মহিলাদের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হওয়া কিসের লক্ষণ 

মহিলাদের প্রসাবে রাস্তায় জ্বালাপোড়া হওয়া কিসের লক্ষণ সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ বলেছে সহকারে পড়তে হবে। মহিলাদের প্রসবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হওয়া এখন একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনাদের সকলের জানা উচিত মহিলাদের প্রসবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হওয়ার কারণগুলো কি হতে পারে? তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে আসি মহিলাদের প্রসবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হওয়া কিসের লক্ষণ সে সম্পর্কে বিস্তারিত ।


মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটলে তার ফলে প্রসাবের সময় জলা পড়া সৃষ্টি হতে পারে। প্রসবের জ্বালাপোড়া হলে আপনাদেরকে ধারণা করেনি তবে মতলবে ব্যাকটের সংক্রমণ ঘটেছে। আরো কিছু কারণ রয়েছে যেমন: ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন হওয়ার ফলে, বিভিন্ন রোগ জনিত সংক্রমণ যেমন - গনেডিয়া। মেনোপজের পরে হরমোন পরিবর্তন ঘটার ফলে  প্রসাবে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। অতিরিক্ত এসিড প্রসাব হওয়ার ফলে, ব্লাড ইনফেকশনের কারণে ও প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া ব্যথা অনুভূত হতে পারে, ডিহাইড্রেশন এর ফলে মূলত প্রসাবের জ্বালাপোড়া সমস্যাটি বেশি হয়।

প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রসাবে রাস্তায় জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন। প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া যদি বেশি হয় এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন কারণ প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া বিভিন্ন বড় বড় রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায় তাই অবশ্যই আপনারা ঘরে বসে না থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন তারপরেও কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যার মাধ্যমে বোঝাবে জলা পড়া কিছুটা কমানো যাবে। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে আসি সে সকল বিষয় সম্পর্কে -
  •  প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে পানি আমাদের মূত্রনালীকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হওয়া থেকে রক্ষা করে যার ফলে প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর সহজ হয় 
  • প্রসাবের জ্বলা পড়া কমানোর ক্ষেত্রে আপনারা গরম পানি দিয়ে সিটব্যথ করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনারা একটি বড় গামলার মধ্যে কিছুটা কুসুম গরম পানি রেখে তার ভেতরে ১৫ মিনিট বসে থাকুন এতে আপনাদের মূত্রনালীর  প্রদাহ কমাতে কিছুটা সহযোগিতা হবে।
  •  এক গ্লাস পানির মধ্যে ১ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে সেটির দিনে একবার পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এইভাবে বেকিং সোডা খাওয়ার মাধ্যমে আপনাদের পৌঁছাবে থাকা অতিরিক্ত অ্যাসিড কমে আসবে যার ফলে মূত্রনালীতে জ্বালাপোড়া হওয়াটা কমে যাবে।
  •  ডাবের পানি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় যার ফলে মূত্রনালীর যে কোন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমে আসে।
  •  প্রতিদিন অন্তত একবার তুলসী পাতার চা খাওয়ার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের দেহের প্রসবের জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
ছেলেদের-প্রসাবে-জ্বালাপোড়া-এর-চিকিৎসা

ছেলেদের প্রসাবে জ্বালাপোড়া এর চিকিৎসা 

ছেলেদের পৌঁছাবে জ্বালাপোড়া এর চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। মূলত ছেলেদের পৌঁছাবে জ্বালাপোড়া সমস্যাটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে।এক্ষেত্রে অবশ্যই ছেলেদেরকে বেশ কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে তাদের জীবন যাত্রার মান কে পরিবর্তন করতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে তেল চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, মদ পান বা ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। তাহলে চলেন দেরি না করে জেনে আসি ছেলেদের পৌঁছাবে জ্বালাপোড়া এর চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত।


ছেলেদের পৌঁছাবে জ্বালাপোড়া সমস্যাটিকে যদি আপনার নিয়ন্ত্রণ করতে চান এক্ষেত্রে সব সময় শরীরকে হাইড্রেট রাখার চেষ্টা করবেন প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন, বিভিন্ন ধরনের ফলের রস বা আখের রস প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে, প্রচুর পরিমাণে নারিকেল পানি পান করার চেষ্টা করবেন এছাড়াও লেবু, বেকিং সোডা একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন, আপেল সিডার ভিনেগার ও এক গ্লাস পানির মধ্যে এক চা চামচ মিশিয়ে খাওয়ার ফলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমানো যায়, আমরা রস খাওয়ার মাধ্যমে ও প্রথমে জ্বালাপোড়া সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণ হয়।

পুরুষের প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়ার ঔষধ 

পুরুষের প্রসবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া ঔষধ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার লেখাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। প্রসাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে অবশ্যই আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং যে কোন ঔষধ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিত। পুরুষের প্রসবের রাস্তায় জল পড়া কমানোর ক্ষেত্রে আপনারা বেশি পরিমাণে পানি পান করবেনা এবং আপনাদের জীবনমান থেকে অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাদ্য ত্যাগ করবেন।


 প্রসাবের জ্বালাপোড়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেশিরভাগই এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়। প্রসাবের জ্বালাপোড়া সমস্যাটি মূলত মূত্রনালী সংক্রমণ থেকে তৈরি হয়। সোনালী সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং প্রসবের জ্বালাপোড়া সময়সূচি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে চিকি সকালে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পাশাপাশি  ফেনাজোপিরিডিন( phenazopyridibe ) ঔষধটি ও ব্যবহার করে থাকেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url