Orgatril খেলে কতদিন পর মাসিক হয়। Orgatril খাওয়ার নিয়ম

Orgatril খেলে কতদিন পর মাসিক হয় সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়বেন। Orgatril একটি হরমোনাল ঔষধ এটি সাধারণত মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে থাকে। Orgatril হলো মূলত  প্রজেস্টিক হরমোনেরি এক ধরনের  সেন্টেটিক ফর্ম। Orgatril ওষুধটি সাধারণত মাসিক চক্র জনিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন  অনিয়মিত মাসিক, মাসিক বন্ধ থাকা, অতিরিক্ত পরিমাণে  রক্তস্রাব এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এই ওষুধটি গ্রহণ করার ফলে মাসিক চক্র কে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে  কারণ এটি  প্রাকৃতিকভাবে মাসিক চক্রের ওপর প্রভাব ফেলতে সহায়ক। এটা মাসিকের আগমনের সময়সীমা নির্ধারণের সহযোগিতা করে। 

Orgatril ঔষধটি খাওয়ার পর মাসিক হওয়ার সময় ৩ -৪ দিনের মধ্যে থাকে। তবে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন ব্যক্তির শারীরিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এই ওষুধটি গ্রহণ করার পর আমাদের দেহে প্রজেস্টিনের পরিমাণ বেড়ে যায় যার ফলে এটি আমাদের জরায়ুর মধ্যে প্রভাব সৃষ্টি করে। যা আমাদের জরায়ুতে  মাসিক এর পূর্ববর্তী সময়ের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। যখন Orgatril ওষুধটি গ্রহণ করা বন্ধ করে দেয়া হয় বা ঔষধ গ্রহণ শেষ হয় তখন জরায়ুতে  রক্তস্রাব শুরু হয় এবং সেটিকে মাসিক রক্তপাত  হিসেবে দেখা যায়।

Orgatril গ্রহণ করার পর মাসিকের সময়সীমার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য সৃষ্টি হতে পারে। তবে অবশ্যই আপনারা খেয়াল রাখবেন যদি ৭ দিনের মধ্যে  মাসিক না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। যদি আপনাদের শরীরে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যেমন অতিরিক্ত রক্তপাত, মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথা, শারীরিক অস্বস্তি তাহলে অবশ্যই আপনারা দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

Orgatril খাওয়ার নিয়ম সমূহ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। Orgatril মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে এটি একটি হরমোনাল ঔষধ। অতিরিক্ত রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ, মাসিক বন্ধ থাকা, ইত্যাদি সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এই ওষুধটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে ব্যবহার করা উচিত। Orgatril খাওয়ার নিয়ম টি সম্পূর্ণ আপনাদের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। 

Orgatril খাওয়ার নিয়ম সমূহ : 

• Orgatril এর ডোজ : orgatril এর সাধারণ ডোজ এর মধ্যে পড়ে ৫ মিলিগ্রাম থেকে ১০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত। তবে এটি অবশ্যই একটি রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল হবে।

• Orgatril ঔষধ দিনে ২ বেলা খাবারের আগে কিংবা খাবারের পরে খাওয়ার ডাক্তারের পরামর্শ দিয়ে থাকে।

• অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ঔষধটি গ্রহণ করতে হবে যাতে ওর সাথে কার্যকারিতা সঠিক থাকে।

• Orgatril সাধারণত আপনারা ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে তবে ডাক্তার আপনার এ ব্যবহারের সময়সীমা বাড়িয়ে দিতে পারে।

• মাসিক যদি অনিয়মিত হয় তাহলে আপনারা এটি দিনে দুই বেলা করে  ৩-৪ চারদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন  অবশ্যই আপনি এটি ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

Orgatril  বন্ধ করার নিয়ম : 

• Orgatril ব্যবহার করার পর  সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে মাসিক শুরু হয়। যদি মাসিক শুরু না হয় এক্ষেত্রে আপনার অবশ্য ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

• যদি মাসিক শুরু না হওয়ার কারণে কোন ধরনের শারীরিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা রক্তপাত ঘটা, পেটে ব্যথা ইত্যাদি তাহলে অবশ্য ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

• Orgatril খাওয়ার ফলে আপনাদের দেহে কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে  যেমন ধরেন বমি বমি ভাব হওয়া, মাথা ব্যথা বা পেট ব্যথা করা, মেজাজ এর পরিবর্তন হওয়া, ত্বকের রেস উঠা।

 গর্ভাবস্থা বা অন্যান্য সতর্কতা সমূহ  : 

• Orgatril  গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয় যদি আপনারা গর্ব অবস্থায় এটি খান তাহলে অবশ্যই আপনাদের জন্য ক্ষতিকর হবে। ওষুধটা খাওয়ার আগে অবশ্যই  গর্ভাবস্থায় চিহ্নিত করতে হবে।

• এছাড়াও আপনার মধ্যে যদি কিডনিজনিত সমস্যা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের ভালোবাসার গ্রহণ করে ও  ঔষধ কি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

Orgatril কিভাবে গর্ভধারণ রোধ করে সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়বেন।orgatril সাধারণত গর্ভধারণ রোধ করার ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মূলত জন্ম নিয়ন্ত্রণ ঔষধটি  নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করে থাকে ।

• মুম্বাণু মুক্তিতে বাধা দেয় :  orgatril ঔষধ টি মূলত হরমোনের মত কাজ করে থাকে । এটি মিম্বাসয়ের মধ্যে ডিম্বাণু মুক্তিতে বাধা দেয়। যার ফলে ডিম্বাশয় ও ডিম্বানু মিলিত হতে পারেনা যার ফলে গর্ভধারণ সম্ভব হয় না।

• গর্ভাশয়ের মিউকাসের পরিবর্তন : orgatril ও সত্যি গ্রহণ করার ফলে করবার ফলে গর্ভাশয়ের মিউকাজকে ঘন ও আঠালো করে তোলে যার ফলে ডিম্বাণু প্রবেশ করার আগেই নষ্ট হয়ে যায়। 

• গর্ভাশয় এর অভ্যন্তরীণ পরিবেশ পরিবর্তন : ঘরোয়া শরীরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ কেমন ভাবে পরিবর্তন করে এই ওষুধটি যার ফলে করবাশায়ের মধ্যে উপযুক্ত পরিবেশ না পাওয়ার ফলে কোন ভ্রনোই সঠিকভাবে প্রতিস্থাপন হতে পারে না যার ফলে করব গর্ভ ধারন রোধ করা সম্ভব হয়।

• Orgatril সাধারণত জন্ম নিয়ন্ত্রক বা গর্ভধারণ রোধ করার ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় তবে এটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

Orgatril ব্যবহারে কিছু সতর্কতা  : 

• Orgatril ঔষধটি ব্যবহার করার ফলে আপনাদের দেহে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমন বমি বমি ভাব হওয়া, মেজাজ এর পরিবর্তন, রক্তপাত ঘটা।

• যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, হার্টের সমস্যা রয়েছে, কিডনির সমস্যা রয়েছে  তারা অবশ্যই ডাক্তারে  পরামর্শ গ্রহণ করে ঔষধটি গ্রহণ করবেন।

Orgatril কিসের ওষুধ সে সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়বেন। Orgatril মূলত একটি হরমোনাল ঔষধ হিসেবে পরিচিত। Orgatril তৈরি প্রধান উপাদান হলো

 নরএথিসন। Orgatril ও সত্যি মূলত এটি প্রজেস্টিন ঔষধ যা মহিলাদের মাসিক সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে। এই ঔষধটি মূলত মাসিক ক্রিয়া সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ বা গর্ব রোধ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

• Orgatril ব্যবহার করার উদ্দেশ্য:  orgatril ও সত্যি মূলত ব্যবহার করা হয় মাসিক বন্ধ হওয়া কি কিংবা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যার সমাধান করার জন্য। এই ওষুধটি মূলত হরমোনের মধ্যে থাকা ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে এবং ঋতুর স্রাব নিয়মিত করতে সহযোগিতা করে।

• ডিসমানোরিয়া ( ব্যথা যুক্ত ঋতুস্রাব ) : যাদের ঋতুস্রাব হওয়ার সময় ব্যথা হয় তারা এই ওষুধটি খাওয়ার মাধ্যমে ব্যথা উপশম করতে পারবে।

• অ্যান্ড্রমেট্রিওসিস : orgatril অ্যান্ড্রমেট্রিওসিস রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এতে জরার মধ্যে থাকার টিস্যুর যে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে সেটি নিয়ন্ত্রণ করে।

• হরমোনাল ভারসাম্য রক্ষা করে : কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে হরমোনাল যে ভারসাম্য নষ্ট হয় সেটি রক্ষা করতে orgatril ব্যবহার করা হয়ে থাকে।