মোটা হওয়ার সহজ উপায়। মোটা হওয়ার ১৫ টি কার্যকারী টিপস সম্পর্কে জানুন
মোটা হওয়ার সহজ উপায়। মোটা হওয়ার ১৫ টি কার্যকরী টিপসের সম্পর্কে জানতে
চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনাদের জন্য। ওজন বৃদ্ধি করা কিংবা
মোটা হওয়া এই বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার খাদ্য অভ্যাসের উপর এবং
পরিকল্পনার উপর। সঠিক খাদ্য অভ্যাস এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আপনি আপনার
শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন।
আজকে আমি আপনাদের জানিয়ে দেবো মোটা হওয়ার ১৫ টি
কার্যকারী টিপস এবং প্রতিটি টিপসের ব্যাখ্যা। এছাড়াও আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে
আলোচনা করব মোটা হওয়ার জন্য তিন বেলা খাবারের ডায়েট চাট সম্পর্কে। চলুন দেরি না
করে জেনে আসি বিস্তারিতভাবে -
পেজ সুচিপত্রঃ মোটা হওয়ার সহজ উপায়। মোটা হওয়ার ১৫ টি কার্যকারী টিপস সম্পর্কে জানুন
মোটা হওয়ার সহজ উপায়। মোটা হওয়ার জন্য ১৫ টি কার্যকারী টিপস
মোটা হওয়ার সহজ উপায়। মোটা হওয়ার জন্য ১৫ টি কার্যকরী টিপস সম্পর্কে জানতে হলে
অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনি ঠিক কতটুকু মোটা হবেন
কিংবা কিভাবে মোটা হবেন সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার খাদ্য অভ্যাসের ওপরে এবং
আপনার পরিকল্পনার উপরে। সঠিক পরিকল্পনা করে যদি আপনি খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন
তাহলে অবশ্যই অল্প কিছুদিনের মধ্যে আপনি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন।
প্রতিদিন বেশি বেশি ক্যালরিযুক্ত খাদ্য, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, তেল যুক্ত খাবার,
শর্করা জাতীয় খাবার ও প্রচুর পরিমাণে মাছ মাংস খাওয়ার পরে আপনি আপনার বৃদ্ধি
করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনি দেখে থাকি আর রাখতে হবে আপনাকে একটি নিয়ম মেনে
খাবার বলেই খেতে হবে। তিন বেলা আপনাকে প্রতিদিনে তুলনায় একটু বাড়তি খাবার খেতে
হবে। এবং কিছু শারীরিক ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। তাহলে
চলুন ১৫ টিপস সম্পর্কে জেনে আসি।
মোটা হওয়ার জন্য ১৫ টি কার্যকারী টিপস
মোটা হওয়ার জন্য ১৫ টি কার্যকারী টিপস সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই সম্পূর্ণ
মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যারা অতিরিক্ত ওজন কম হওয়ার কারণ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ
রয়েছেন তারা চাইলে ঘরে বসে নিজের ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। আজকে আমি
আপনাদের সামনে এমন ১৫ টি কার্যকরী টিপস তুলে ধরব যার মাধ্যমে আপনারা ওজন বৃদ্ধি
করতে সক্ষম হবেন।
প্রতিদিন বেশি পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করুন
আপনাদের প্রতিদিনের চাহিদার থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করা শুরু করুন।
কারণ অতিরিক্ত ক্যালরি আপনাদের শরীরে চর্বি যন্ত্র সহযোগিতা করবে যার ফলে আপনার
ওজন বৃদ্ধি পাবে।
বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন
প্রতিদিন বেশি পরিমাণে প্রোটিন যন্ত্র তো খাবার গ্রহণ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন
কারণ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার আমাদের দেহের বেশি গঠনে সহযোগিতা করে যার ফলে আমাদের
দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো { মাছ মাংস,দুধ ও ডিম, ডাল,
বাদাম } ইত্যাদি।
তেল চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন
প্রতিদিন আপনাদের খাদ্য অভ্যাসের মধ্যে তেল, মাখন,ঘি, ইত্যাদি তেল চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা শুরু করুন। অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কিলো ক্যালরি থাকে যা আপনাদের দেহের ওজন বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবে এবং চর্বি জাতীয় খাদ্য আমাদের দেহে চর্বি যন্ত্রের সহযোগিতা করে।
আরো পরুন ঃ ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর ঘরোয়া ১৫টি উপায়
ঘন ঘন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন
যদি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে চানবা মোটা হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা ঘনঘন খাবার
খাওয়ার। ঘন ঘন খাবার খাওয়ার ফলে আপনাদের শরীরে অতিরিক্ত কিলো ক্যালরি জমা হতে
সহযোগিতা হবে যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি বৃদ্ধি পাবে এবং ওজন ও বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিদিন অন্তত ৫-৬ বার খাবার গ্রহণ করুন।
ফ্রুট জুস বা শেক খাওয়ার অভ্যাস করুন
ফ্রুট জুস বার শেক এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা আমাদের দেহের
কিলো ক্যালরি বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে যার ফলে আমাদের দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া ফ্রুট জুস ও শেক এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে যা আমাদের শরীরের
মাংস বেশি গঠন করতে সহযোগিতা করে।
বেশি মাছ মাংস খাওয়ার অভ্যাস করুন
বেশি পরিমাণে মাছ মাংস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যদি আপনারা বেশি পরিমাণে
মাছ-মাংস খেতে পারেন এতে আপনাদের শরীরে প্রোটিন বৃদ্ধি পাবে কারণ মাছ মাংসের
মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও প্রোটিন থাকে যা আপনাদের দেহের মাংসপেশি গঠনগত
সহযোগিতা করবে এবং দেহে চর্বি তৈরি করতে সহযোগিতা করবে যার ফলে দেহের ওজন বৃদ্ধি
পাবে।
দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করার অভ্যাস করুন
যদি আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে মোটা হতে চান তাহলে অবশ্যই দুধ জাতীয় বা দুগ্ধ
জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করার অভ্যাস গড়ে তুলবেন। দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য যেমন মিষ্টি,
দই, পনির ইত্যাদি। দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্যের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে
প্রোটিন আমাদের দেহের কিলো ক্যালরি বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবে।
উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গ্রহণের অভ্যাস করুন
উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলুন যদি আপনারা খুব কম
সময়ের মধ্যে মোটা হতে চান তাহলে। উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্য গুলোর মধ্যে
পড়ে ( রুটি,ভাত, পাস্তা, আলু ) এ সকল খাদ্যের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে
কার্বোহাইড্রেট থাকে যা আপনাদের শরীরের চর্বির বৃদ্ধি করবে এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি
করতে সহযোগিতা করবে।
কখনো খালি পেটে থাকা যাবেনা
মনে রাখবেন আপনারা যদি খুব দ্রুত আপনাদের ওজন বৃদ্ধি করতে চান এক্ষেত্রে কখনোই
আপনারা খালি পেটে থাকবেন না। সব সময় কিছু না কিছু খেতে থাকবেন সব সময় যদি ভারী
খাবার না খান তারপরও কিছু হালকা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পেট ভরা রাখবেন। এতে করে
আপনার ওজন বৃদ্ধি করা দ্রুত সম্ভব হবে। খালি পেটে থাকলে শরীরে থাকা ক্ষয়
হয় যার ফলে আমাদের শরীরের ওজন কমে যেতে পারে।
পানি কম পান করুন বা স্বাভাবিক পরিমাণে পান করুন
পানি কম পান করবেন বা স্বাভাবিক পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করবেন। কারণ বেশি
পরিমানে পানি পান করা আমাদের পেটভরা অনুভব দেয় যার ফলে আমাদের ক্ষুধা লাগাটা দূর
হয়ে যায়। আর আমাদের যেহেতু একটু পরপর খাবার খেতে হবে শরীর মোটা করার জন্য তাই
আমরা কম পরিমাণে পানি পান করবো এবং বেশি পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করার চেষ্টা করব।
মনে রাখবেন স্বাভাবিক পরিমাণে অবশ্যই পানি পান করবেন।
চিনির পরিপূরক খাদ্য গ্রহণ করুন
আপনারা যদি মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমি অবশ্যই আপনাদেরকে
একটি বিশেষ পরামর্শ দিব আপনারা চিনির পরিপূরক খাদ্যগুলো বেশি পরিমাণে গ্রহণ করার
চেষ্টা করবেন। চিনির উপর খাদ্য গ্রহণ করার ফলে আমাদের শরীরে ক্যালরি বৃদ্ধি পাবে
যার ফলে আমাদের ওজন বৃদ্ধি করা সহজতর হয়ে উঠবে। চিনি বা মিষ্টি জাতীয়
খাদ্য আমাদের শরীরে মেদ বাড়াতে সহায়ক।
ভিটামিন ও মেনারেল যুক্ত খাদ্য গ্রহণ
আপনারা যদি দ্রুত ওজন বা মেদবিধি করতে চান তাহলে অবশ্যই ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত
খাদ্য গ্রহণ করবেন। ভিটামিন আমাদের দেহের মাংসপেশী গঠনের সহযোগিতা করে থাকে যার
ফলে আমাদের ওজন বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল যেমন : ভিটামিন ডি,
মিনারেল যেমন আয়ারন, ইত্যাদি আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী এবং আমাদের শারীরিক
গঠন বৃদ্ধি করার জন্য উপকারী।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম নিশ্চিত করুন
আপনারা যদি স্বাভাবিকভাবে এবং প্রাকৃতিক উপায়ে নিজের ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে
অবশ্যই আপনাদের খাদ্য অভ্যাস এবং পরিকল্পনার পাশাপাশি আপনারা সঠিক পরিমাণে ঘুম
নিশ্চিত করবেন। দুপুরবেলা খাবার পরে একটি ভাত ঘুম দিবেন। খাবার পরে ভাত ঘুমটা
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করে এবং শরীরের মেদ বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা
করে।
মানসিক চাপ কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় মানুষের স্বাস্থ্য
নষ্ট হয়। যারা অতিরিক্ত পরিমাণে দুশ্চিন্তা করে বা যারা অতিরিক্ত পরিমাণে
পরিশ্রম করে তারপরে অনেক সময় দেখা যায় ও তাদের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায় বা
তারা রোগা হয়ে যায়। আপনারা যদি নিজেদের স্বাস্থ্য কে উন্নত করতে চান বা মোটা
হতে চান তাহলে অবশ্যই মানসিক চাপ কমিয়ে আনার চেষ্টা করবেন।
নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন
আপনারা যদি শরীরকে মোটা করে তুলতে চান এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারা আপনাদের খাদ্য
উপাসের পাশাপাশি এবং পরিকল্পনার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন ।
ব্যয়াম আপনাদের শরীরকে সচল রাখতে সহযোগিতা করবে শরীরের মাংসপেশী গঠনের সহযোগিতা
করবে। আর ব্যায়াম করার ফলে যে শরীরে মাংস বেশি গঠন হয় তারপরে ওজন বৃদ্ধি
হওয়ার সম্ভাবনা অধিক।
মোটা হওয়ার জন্য ৩ বেলা খাবারের ডায়েট চার্ট সমূহ
মোটা হওয়ার জন্য তিন বেলা খাবারের ডায়েট চার্ট সমূহ যদি জানতে চান তাহলে অবশ্য
আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আপনারা যদি মোটা হতে চান তাহলে
অবশ্যই আপনাদেরকে একটি নির্দিষ্ট খাদ্য অভ্যাস এর চ্যাট গড়ে তুলতে হবে এবং সেই
সাথে আপনাদেরকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পরিকল্পনা এবং নির্দিষ্ট ডায়েট
চার্টের মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই নিজেদের ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। তাহলে চলুন
দেরি না করে জেনে আসি মোটা হওয়ার জন্য ৩ বেলা খাবারের ডায়েট চার্ট সমূহ
সকালের খাবারের ডায়েট চার্ট :
- এক গ্লাস দুধ এবং একটি ডিমের অমলেট।
- ব্রেড বা পরোটা খাওয়া।
- ফলের জুস বা ডিটোস তৈরি করে খাওয়া।
দুপুরের খাবারের ডায়েট চার্ট :
- ভাত বা রুটির একটু বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- দুপুরবেলা মাছ মাংস অবশ্যই রাখবেন।
- এবং সবজি যেন অবশ্যই আপনাদের খাদ্য অভ্যাসের মধ্যে থাকে।
- দুপুরবেলা খাদ্য গ্রহণের পর অবশ্যই আপনাদের খাদ্য বোসের মধ্যে দই রাখতে হবে।
রাতের খাবারের ডায়েট চার্ট :
- রাত্রেবেলা ভাত খাওয়ার সাথে সাথে অবশ্যই আপনারা আলু ভর্তা রাখার চেষ্টা করবেন অথবা আলুর ভাজি।
- চিজ বা পনির জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করবেন ।
- সালাত রাখার চেষ্টা করবেন ( ক্যাপসিকাম, টমেটো ) ইত্যাদি।
রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url