গর্ভাবস্থায় কচুর শাক, কলা, খেজুর, কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা সমূহ
গর্ভাবস্থায় কচুর শাক, কলা, খেজুর, কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা সমূহ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আপনি কি জানতে চান গর্ব অবস্থায় কোন খাবার গুলো বেশি উপকারী? তাহলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের আমি আমার আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো গর্ভাবস্থায় কচুর
শাক, কলা, খেজুর, কাজুবাদাম খাওয়ার কিছু উপকারিতা এবং অপকারিতা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন গর্ব অবস্থায় কোন খাবারগুলো খাওয়ার ফলে বাচ্চার জন্য সঠিক পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করা যায় এবং মায়ের দেহের জন্য কোন খাবার গুলো ভালো। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে আসি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
পেজ সুচিপত্র ঃগর্ভাবস্থায় কচুর শাক, কলা, খেজুর, কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা সমূহ
- গর্ভাবস্থায় কচুর শাক, কলা, খেজুর, কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কচুর শাক খাওয়ার১০ টি উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কচুর শাক খাওয়ার ৫ টি অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা সমূহ
- গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার ৫ টি অপকারিতা সমূহ
- গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার শারীরিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সমূহ
- গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কচুর শাক, কলা, খেজুর, কাজুবাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কচুর শাক, কলা, খেজুর, কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে
পড়ুন। গর্ব অবস্থায় মায়েদের উচিত অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদান সম্পন্ন খাদ্য কে
নির্বাচন করা কারণ সেই সময়ে বাচ্চার পুষ্টির দিকেও নজর দিতে হবে। যদি আমরা গর্ব
অবস্থায় পুষ্টিকর খাবার না খাই এক্ষেত্রে বাচ্চা অপুষ্টিকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
থাকে এবং মায়ের দেহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই অবশ্যই আমরা খেয়াল
রাখবো গর্ভাবস্থায় কোন কোন খাবারগুলো খেলে আমাদের দেহের জন্য এবং বাচ্চার জন্য
পুষ্টি সাধিত হবে। কচুর শাক, কলা, খেজুর, কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
রয়েছে অধিক পরিমাণে কারণ এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্ট উপাদান।
কচুর শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড যা গর্ভাবস্থায় মায়েদের জন্য
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য উপাদান কারণ এটি গর্ভের বাচ্চার নিউরন বা স্নায়ু ও
মস্তিষ্ক সঠিক বিকাশের সহযোগিতা করে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, আয়রন,
ক্যালসিয়াম যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান। ঠিক তেমনি
ভাবে কলা, কাজুবাদাম বাচ্চার দেহের ওজন ঠিক রাখতে সহযোগিতা করে এবং বাচ্চা ত্বককে
সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করে। খেজুর বাচ্চার ব্রেন ডেভেলপমেন্ট এ সহযোগিতা করে থাকে।
তাই অবশ্যই আমরা বুঝতে পেরেছি যে কোন খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় খেলে আমাদের দেহের
বাচ্চার জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ হবে।
গর্ভাবস্থায় কচুর শাক খাওয়ার১০ টি উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কত শাক খাওয়ার উপকারিতা সমূহ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কত সাগের মধ্যে রয়েছে এর প্রয়োজনীয়
পুষ্টি উপাদান যা গর্ভাবস্থায় মেয়েদের এবং গর্বের বাচ্চার জন্য খুবই উপকারী।
তাহলে চলো দেরি না করে জেনে আসি গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
একটু বিস্তারিতভাবে -
- ফলিক এসিড বিদ্যমান : কচু শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড যা গর্ভাবস্থায় শিশুর সঠিক ভাবে মস্তিষ্ক বিকাশে সহযোগিতা করে থাকে।
- প্রচুর আয়রনের উৎস : কচু শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা গর্ভবতী মায়েদের দেহের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহযোগিতা করে থাকে। এছাড়াও রক্ত পরিষ্কার করতে আয়রনের উপকারিতা রয়েছে অধিক পরিমাণে।
- ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস : কচু শাকের মধুর আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা গর্ভাবস্থায় মহিলাদের দেহের হাড়ের স্বাস্থ্য বজিয়ে রাখতে সহযোগিতা করে।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ: শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে এক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কচু শাক ও উপকারী একটি উপাদান হবে কারণ ভিটামিন সি তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবে।
- পেটের স্বাস্থ্য বজায় থাকে : গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা বৃদ্ধি পায় বা পেটের সমস্যা বৃদ্ধির উপায় এক্ষেত্রে কচু খাওয়ার মাধ্যমে এ সকল পেটের সমস্যা দূর করা সম্ভব হয়।
- ডিটাক্টিফিকেশন : কচুর সাথে এমন কিছু কথা রয়েছে যেগুলো আমাদের রক্ত থাকা বিষাক্ত উপাদান গুলোকে বের করে দিতে সহযোগিতা করে এক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাদের শরীরকে পরিষ্কার রাখতে এবং দেহের রোগ জীবাণু দূর করতে সহযোগিতা করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন : কচু শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক এন্টি অক্সিডেন্টে যা আমাদের দেহের কোষের ক্ষয় রোধ করতে সহযোগিতা করে এবং শরীরকে ক্ষতিকারক জীবাণুর আক্রমণ থেকে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ করে : কচু শাকের খুব সামান্য পরিমাণে ক্যালরি থাকে যার ফলে গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য এবং শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহযোগিতা করে।
- হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে : গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয় এই সময় কচুর শাক সেই হরমোনের ভারসাম্য গোলকের রক্ষা করে যার ফলে গর্ব অবস্থায় মায়েদের শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন হয়।
- শিশুর মস্তিষ্ক উন্নতি : ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি যা শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সহযোগিতা করে থাকে।
গর্ভাবস্থায় কচুর শাক খাওয়ার ৫ টি অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার ৫ টি অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কচুর শাখান
এক্ষেত্রে আপনাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তাছাড়া কচু শাক খাওয়ার
ফলে আপনাদের দেহে বেশিরভাগ সময় উপকারিতাই হবে। তাই অপকারিতা থেকে বাঁচতে চাইলে
অবশ্যই আপনারা স্বাভাবিক পরিমাণে প্রচুর শাখার চেষ্টা করবেন।
- অতিরিক্ত পটাশিয়াম : কচুর শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম তো আপনারা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কচুর সাক্ষাৎ এক্ষেত্রে আপনাদের দেহে পটাশিয়াম বেড়ে যাবে গর্ভাবস্থায় পটাশিয়াম শরীলে যদি অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পায় এক্ষেত্রে আপনাদের হার্টের ওপরে চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা : খাওয়ার ফলে অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা সৃষ্টি হয় এক্ষেত্রে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে গর্ব অবস্থায় কোচের শাখান তাহলে আপনাদের পেটে গ্যাস্টিকের সমস্যা হবে যার ফলে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে।
- এলার্জির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় : কচুর শা খাওয়ার ফলে অনেকে দেহে এনালার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে এক্ষেত্রে আপনারা গর্ব অবস্থায় স্বাভাবিক পরিমাণে কচু শাক খাওয়ার চেষ্টা করবেন না হলে শিশু এবং মা দুজনের জন্যই বিপদজনক হতে পারে।
- ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি : কত সালে যেহেতু প্রথম পরিবারে ক্যালসিয়াম থাকে এক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে দেহে ক্যালসিয়াম বেড়ে যেতে পারে এর ফলে আমাদের কিডনির উপরে প্রভাব পড়তে পারে।
- অতিরিক্ত পানি ধারণ: কচু শাকের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রাকৃতিকভাবে পানি ধরে রাখতে সহযোগিতা করে এক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলারা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কচু শাক খায় তাহলে তাদের শরীরে পানি জমে যেতে পারে হাত পা ফুল আর সমস্যা সৃষ্টি হবে।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা সমূহ
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা সমূহ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। অবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে
অধিক পরিমাণে তাহলে চরম দেরি না করে জেনে আসি গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিত -
- এনার্জি বৃদ্ধি পায় : মতো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে যার ফলে আমাদের দেহের ক্লান্তি বোধ দূর হয়।
- পটাশিয়াম সরবরাহ করে : কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যা আমাদের দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করবে এ ক্ষেত্রে গর্ব অবস্থায় গর্ববতী মায়েদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে কলা।
- পাচনতন্ত্র উন্নত করে : গর্ভাবস্থায় মহিলাদের মধ্যে অনেক সময় হজমের সমস্যা দেখা দেয় এক্ষেত্রে কলা খাওয়ার মাধ্যমে এ সকল সমস্যা এবং গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহযোগিতা করবে।
- ভিটামিন বি৬ সরবরাহ: কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ গর্ভবতী মায়েদের মুড কে সুস্থ রাখে এবং মাথাব্যথা ও বমি ভাবটাকে দূর করে।
- ভিটামিন সি সরবরাহ: কলার মতো রয়েছে প্রথম পরমাণু ভিটামিন সি যা আমাদের এবং গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে উন্নত করতেও সহযোগিতা করে।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার ৫ টি অপকারিতা সমূহ
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার ৫ টি অপকারিতা সমূহ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই
আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কলার মধ্যে এমন কোন ধরনের পদার্থ
নেই যেগুলো দেহের ক্ষতি করতে পারে তবে গর্ব অবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে কলা
খাওয়ার মাধ্যমে সামান্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সম্পর্কে
একটু বিস্তারিত আলোচনা করি -
- পটাশিয়াম বৃদ্ধি পায় : গলার মধ্যে যত প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে এক্ষেত্র গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খাওয়ার মাধ্যমে পটাশিয়াম বৃদ্ধি পেতে পারে যার ফলে আমাদের হৃদপিণ্ডের রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
- ওজন বৃদ্ধি পায় : কলার মত প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি এবং শর্করা থাকে যার ফলে অতিরিক্ত যদি কলা খাওয়া হয় এক্ষেত্রে আমাদের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভাবনা থাকে গর্ভাবস্থায় মা যদি অতিরিক্ত কলা খেয়ে ক্ষেত্রে তাদের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
- বদ হজমের সমস্যা : কলার মধ্যে প্রচলনের ফাইবার রয়েছে তো অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খেলে আমাদের পেটে বদ হজম কিংবা গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে তবে এই সমস্যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই সাধারণ।
- রক্তে শর্করা বৃদ্ধি পায় : মতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে এক্ষেত্রে গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খাওয়া একটু বিপদজনক হতে পারে কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করার ফলে আমাদের দেহের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
- এলার্জি সৃষ্টি হয় : এমন অনেক মহিলা রয়েছে যাদের দেহে কলা খাওয়ার মাধ্যমে এলার্জি জনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তো গর্ভাবস্থায় আপনারা অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন স্বাভাবিক তুলনায় কলা খাবেন।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার
আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন। খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং
প্রচুর শক্তির উৎস যার কারনে গর্ভাবস্থায় খেয়ে জোড় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি
খাদ্য হতে পারে। চলুন দেরি না করে গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
সম্পর্কে জেনে আসি -
- রক্তশূন্যতা দূর করে : খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে যার ফলে দেহের রক্তশূন্যতা দূর করা সম্ভব হয়।
- শক্তি বৃদ্ধি করে : খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক সুগার যা দ্রুত গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে থাকে।
- পাচন তন্ত্রের উন্নতি করে : খেজুরের মধ্যে রয়েছে অধিক পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের হজম শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং গর্ভাবস্থায় মেয়েদের শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
- ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ করে : খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম চা গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য এবং শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান।
- স্বাস্থ্যকর প্রসবের সহায়ক: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার ফলে প্রসবের সময় সহায়তা হয়।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার শারীরিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সমূহ
গর্ভাবস্থায় খেজর খাওয়ার শারীরিক পার্শ্বপ্রতিকরা সমূহ সম্পর্কে জানতে হলে
অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন করুন। খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
উপকারিতা এবং পুষ্টি উপাদান তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খাওয়া থেকে আপনারা বিরত
থাকবেন অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
দেখা দিতে পারে। তবে আপনারা যদি স্বাভাবিক পরিমাণে খেয়েদেয়ে ওখানে এক্ষেত্রে
কোনো রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না বরং আপনাদের দেহের উপকারিতা হবে।
অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খাওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় শর্করা বৃদ্ধি পেতে পারে যার
ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর খাওয়ার ফলে
যেহেতু খেজুরের মধ্যে প্রচুর ক্যালোরি শর্করা থাকে এক্ষেত্রে কিছুটা ওজন বৃদ্ধি
পেতে পারে।খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা অতিরিক্ত পরিমাণে
খাওয়ার ফলে পেটে বধাজনজনিত সমস্যা হতে পারে। খেজুরে থেকে পটাশিয়াম তো আমরা যদি
অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়েদের দেহে পটাশিয়াম জমে যাবে এবং
কিডনির উপরে প্রভাব ফেলতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার ৫ টি উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার ৫টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কাজু বাদাম আমাদের স্বার্থের জন্য খুবই
উপকারী একটি উপাদান ঠিক তেমনি ভাবে কাজু বাদাম গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এবং শিশুর
জন্য খুবই উপকারী।
- প্রোটিনের ভালো উৎস : কাজু বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। যা গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে। শিশুর দেহের মাংসপেশি গঠনে সহযোগিতা করে।
- হৃদ যন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নতি : কাজু বাদামের মধ্যে ক্যালরি এবং ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে যার ফলে গর্ভাবস্থায় দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং গর্ভাবস্থায় হৃদ যন্ত্র স্বাস্থ্যসম্মত থাকে।
- ক্যালসিয়াম ও হাড়ের স্বাস্থ্য : কাজুবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস যার গর্ভবতী মহিলাদের হাড়ের স্বার্থের জন্য উপকারী।
- ভিটামিন ও খনিজের উৎস : কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই,ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম যা গর্ভাবস্থায় বাচ্চা ও মায়েদের ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহযোগিতা করে। এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে : কাজু বাদামের প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা গর্ভাবস্থায়ী মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে।
রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url