বয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকারক দিক ও স্বাস্থ্য সমস্যা

বয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকারক দিক ও স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। বয়লার মুরগি বর্তমান সময়ে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর একটি খাদ্য হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। বয়লার মুরগির খামারে পালন করা হয় আর দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ খাওয়ানো হয় যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

বয়লার মুরগিকে দ্রুত বৃদ্ধি করার জন্য এবং দ্রুত ডিম দেয়ানোর জন্য যে ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় তা আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। যেমন আমাদের দেহের হরমোনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দেহে ক্যান্সার রোগ ও তৈরি হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের জটিল যৌগ সৃষ্টি হয় বয়লার মুরগির মাংস খাওয়ার মাধ্যমে বা ডিম খাওয়ার মাধ্যমে।

• রাসায়নিক ও অ্যান্টিবায়োটিক এর ব্যবহার : বয়লার মুরগিকে দ্রুত বড় করার জন্য এবং বয়লার মুরগির দ্রুত যাতে ডিম দেয় সেজন্য তাদেরকে কিছু রাসায়নিক অথাৎ বা এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয় যেগুলো তাদের শরীরে জমে থাকে এবং যা বয়লার মুরগির ডিমের মধ্যে প্রভাবিত হতে পারে। বয়লার মুরগির ডিম খাওয়ার মাধ্যমে মানব দেহে শেষ অক্ষর রাসায়নিক পদার্থ বা অ্যান্টিবায়োটিক চলে আসে তারপরে মানব দেহে জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

• অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সম্পন্ন  : বয়লার মুরগির ডিমের মতো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল বিশেষ করে বয়লার মুরগির ডিমের কুসুমের মধ্যে অধিক ক্লোরোস্টরল থাকে যাদের উচ্চকলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তারা যদিও বয়লার মুরগির ডিম গ্রহণ করে  তাহলে তাদের দেহে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাবে।

• হরমোনাল তারতম্য  : বয়লার মুরগিকে বড় করার জন্য এবং দ্রুত ডিম দেওয়ানোর জন্য বয়লার মুরগির শরীরে কিছু বিশেষ ইনজেকশন করা হয় যা তার ডিমের মধ্যে প্রভাবিত হতে পারে এবং মানবদেহে যদি এই সকল উপাদান প্রবেশ করে তাহলে মানবদেহের হরমোনের তারতম্য ঘটতে পারে যার ফলে শরীরের ক্ষতি করবে।

• এলার্জি বৃদ্ধি করতে পারে  : বয়লার মুরগির ডিম খাওয়ার পরে কিছু মানুষের শরীরে এলার্জি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ বয়লার মুরগির ডিমের মধ্যে এমন কিছু প্রোটিন রয়েছে যেগুলো সব মানুষের শরীরে সহ্য হয় না বা এলার্জি সমস্যা সৃষ্টি হয়।

• আক্রিলামাইড এর উপস্থিতি : বয়লার মুরগির ডিমের মধ্যে আক্রিলামাইড নামক একটি বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায় এই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থটি যদি আমাদের দেহে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের দেহে ক্যান্সার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

• মাইক্রোটক্সিন এর উপস্থিতি  : বয়লার মুরগির ডিম উৎপাদন করার সময় মুরগির গায়ে একটি মাইক্রো টক্সিন যুক্ত ইনজেকশন করা হয় আর এই ইনজেকশনের মাধ্যমে মুরগির ডিমের মধ্যেও এই রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে চলে আসে। মাইক্রো টক্সিন যদি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে আমাদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি কিডনির সমস্যা কিংবা হৃদরোগের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

• বয়লার মুরগির রোগ প্রবাহ  : বয়লার মুরগির ডিম খাওয়ার ফলে মানব দেহের ভেতর বয়লার মুরগির দেহে থাকার রোগ সংক্রামিত হতে পারে। আর বয়লার মুরগি দেহে থাকা এই রোগ যদি মানব দেহে সংক্রমিত হয় তাহলে মানব দেহের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর রোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা অধিক বেড়ে যায়।

বয়লার মুরগির ডিম খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা ও রোগ সমূহ 

বয়লার মুরগির ডিম খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা ও রোগসমূহ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো বয়লার মুরগির ডিম খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে কি কি স্বাস্থ্য সমস্যা বা রোগ বৃদ্ধি পেতে পারে।

• কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়  : ব্রয়লার মুরগির ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল তো আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বয়লার মুরগির ডিম খায় এক্ষেত্রে তাদের উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাদের উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে এবং দেহে হৃদরোগে ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।

• সালমোনেল্লা ইনফেকশন হয় : ব্রয়লার মুরগির ডিমের মধ্যে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা যদি আমরা ডিমগুলোকে ভালোভাবে সিদ্ধ করে না খায় এ ক্ষেত্রে মানবদেহের সংক্রমণ তৈরি হতে পারে। সালমোনেল্লা ইনফেকশন এর ফলে আমাদের দেহে পেটে ব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব, বমি হওয়া সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

• বাচ্চাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি : বাচ্চাদের জন্য ডিম খুবই উপকারী একটি খাদ্য তবে অবশ্যই আমাদেরকে মনে রাখতে হবে। বাচ্চাদেরকে ডিম খাওয়ানোর আগে ডিমটিকে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে এবং ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে তা না হলে বাচ্চাদের দেহে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

• ওজন বৃদ্ধি পায় : অতিরিক্ত পরিমাণে ডিম খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে প্রোটিন বা চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যা আমাদের দেহের দৈনিক কিলো ক্যালরি বৃদ্ধি করবে এবং শরীরকে মোটা করতে সহযোগিতা করবে। তো যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তারা অতিরিক্ত পরিমাণে ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।