প্রতিদিন মসুর ডাল খেলে কি হয় - মসুর ডাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রতিদিন মসুর ডাল খেলে কি হয় - মসুর ডালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে
চাচ্ছেন? আপনাদের অনেকের মনের প্রশ্ন জাগে প্রতিদিন মসুর ডাল খেলে কি মোটা হওয়া
যায়? প্রতিদিন মসুর ডাল খাওয়ার মাধ্যমে কি গ্যাস্টিকের সমস্যা বা এলার্জির
সমস্যা বৃদ্ধি পায়? তাহলে আজকে আমার আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনাদের জন্য।
আজকে
আমি আমার আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করব প্রতিদিন মসুর ডাল খেলে কি হয় এবং
মসুর ডাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। তাহলে চলুন দেরি না
করে জেনে আসি মসুর ডাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও প্রতিদিন মসুর ডাল খেলে কি
হয় সে সম্পর্কে।
পেজ সুচিপত্র ঃ প্রতিদিন মসুর ডাল খেলে কি হয় - মসুর ডাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
মসুর ডাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
মসুর ডাল একটি অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য। মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার, এছাড়াও মসুর ডাল খেলে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে
শক্তি বৃদ্ধি পায়। মসুর ডাল কম ক্যালরিযুক্ত একটি খাবার যার কারণে মসুর ডাল
খেলেও ওজন বৃদ্ধি পায় এই ধারণাটি ভুল। আপনি যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে
আপনাকে বেশি পরিমাণে মসুর ডাল খেতে হবে এবং মসুর ডালের পাশাপাশি আপনাকে আরও কিছু
ভারি খাদ্য রাখতে হবে।
যদি আপনি মসুর ডাল খাওয়ার মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে না চান এক্ষেত্রে আপনি স্বাভাবিক
মাত্রায় মসুর ডাল খেতে পারেন কারণ মসুর ডাল খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় না। মসুর
দ্বারা কিছু অপকারিতা ও রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে মসুর ডাল খাওয়ার ফলে আমাদের
শরীরে এলার্জি সমস্যা বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মসুর ডাল খাওয়ার পরে পেটে
গ্যাস থেকে সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
প্রতিদিন মসুর ডাল খেলে কি হয়
প্রতিদিন মসুর ডাল খেলে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই আমার
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।মসুর ডালের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান
রয়েছে। আমরা যদি প্রতিদিন আমাদের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে মসুর ডাল রাখি এক্ষেত্রে
আমাদের দেহে পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পাবে। মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন,
ভিটামিন, ফাইবার, কার্য শক্তি বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে। মসুর ডাল খাওয়ার
মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। মসুর ডাল যেহেতু কম ক্যালরিযুক্ত
এক্ষেত্রে মসুর ডাল খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের ক্যালরির মাত্রা সঠিক থাকে।
আরো পরুন ঃ লেবু দিয়ে ওজন কমানোর কার্যকরী উপায়
যারা নিজেদের ওজনের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত বা যারা অতিরিক্ত ওজনকে কমিয়ে আনতে চাই
তারা চাইলে প্রতিদিন তাদের খাদ্য অভ্যাস এর মধ্যে মসুর ডাল রাখতে পারে মসুর ডাল
কম ক্যালারি যুক্ত যার ফলে মসুর ডাল আমাদের দেহের সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণের
সহযোগিতা করবে। মসুর ডাল খাওয়ার মাধ্যমে যদি আপনারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে
অবশ্যই মসুর ডালের পাশাপাশি আপনাকে আরো ভারী কিছু খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
শুধুমাত্র মসুর ডাল দিয়ে কখনো ওজন বৃদ্ধি পায় না।
মসুর ডাল খেলে কি মোটা হওয়া যায়
মসুর ডাল খেলে কি মোটা হওয়া যায়? এ প্রশ্নটা আপনাদের সকলের মধ্যেই থাকে তো আজকে
আমি আমার আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো মুসুর ডাল খেলে মোটা হওয়া
যায় কিনা? মসুর ডাল খেলে মোটা হওয়া যায় এই বিষয়ের ধারণাটি সম্পূর্ণ অসত্য
কারণ মসুর ডাল খুবই কম ক্যালোরিযুক্ত একটি খাদ্য তাই কম ক্যালরিযুক্ত খাদ্য
হওয়ার কারণে কোনভাবে মসুর ডাল খাওয়ার মাধ্যমে মোটা হওয়া সম্ভব নয়। আপনারা
যারা মোটা হওয়ার ভয়ে মসুর ডালকে পরিত্যাগ করেছেন অবশ্যই খাদ্য অভ্যাস
আমাদের মসুর ডালকে যুক্ত করার কারণ মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
পুষ্টি উপাদান।
মসুর ডাল খাওয়ার মাধ্যমে কিভাবে আপনি মোটা হবেন সেটা আপনার ওপরে নির্ভর করবে
আপনি যদি মনে করেন আপনি মোটা হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মসুর ডাল খাওয়ার
পাশাপাশি আরো ভারী কিছু খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। আপনাকে একটা নির্দিষ্ট ডায়েট চার
ফলো করতে হবে যার ফলে আপনি মোটা হতে পারবেন শুধুমাত্র মৌসুর ডাল খাওয়ার মাধ্যমে
কখনোই মোটা হওয়া সম্ভব নয়। তাই আপনারা দুশ্চিন্তা না করে মসুর ডাল খাওয়ার
অভ্যাস গড়ে তুলুন মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার যা আমাদের দেহের জন্য
খুবই উপকারী।
মসুর ডাল খাওয়ার উপকারিতা সমূহ
মসুর ডাল খাওয়ার উপকারিতা সমূহ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণ পড়তে হবে। মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার,
পটাশিয়াম, প্রোটিন যা আমার দেব দেহের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। তাহলে চলুন মসুর
ডাল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে আসি -
- প্রোটিনের কার্যকরী উৎস : মসুর ডালের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। আমরা জানি প্রোটিন আমরা বিভিন্ন ধরনের মাছ মাংস থেকে পেয়ে থাকি তবে মাছ মাংস বাদেও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে মসুর ডাল। প্রোটিন আমাদের শরীরের কোষকে সঠিকভাবে গঠন করতে সহযোগিতা করে এছাড়াও আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং আমাদের দেহের শক্তি বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে।
- হৃদযন্ত্র ভালো থাকে : মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানের পটাশিয়াম ও ফাইবার যা আমাদের দেহের উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। যদি আমরা আমাদের খাদ্য অভ্যাস এর মধ্যে মসুর ডাল রাখতে পারি তাহলে আমরা আমাদের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে পারব।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে : মসুর ডালের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় আমাদের দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। ফাইবার আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে এবং আমাদের খাদকের দ্রুত হজম করতে সহযোগিতা করে থাকে।
- হার্টের জন্য উপকারী : মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড এবং ফাইবার যা আমাদের হার্ট কে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করে থাকে। আমরা যদি প্রতিদিন খাদ্য অভ্যাস এর মধ্যে মসুর ডালকে যুক্ত করতে পারি এক্ষেত্রে আমরা আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে পারব।
- শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম : মসুর ডাল আমাদের দেহে সরকারে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম তো এক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগী যারা রয়েছে তারা খুব সহজেই তাদের দেহে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তাই আমরা যদি আমাদের শর্করা নেমন্তন্ন করতে পারি এক্ষেত্রে আমরা প্রতিদিন ভাবতে অভ্যাসের মসুর ডাল রাখতে পারবে।
- প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে : মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তো আমাদের দেহে প্রাকৃতিকভাবে আন্টি অক্সিডেন্ট সরবরাহ করতে মসুর ডাল সক্ষম। টিস্যু কোষ কে ধ্বংস করতে স্বপন যার ফলে আমরা আমাদের দেহের ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করতে পারব।
- হাড়কে মজবুত করতে সক্ষম : মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়াম যা আমাদের দেহের হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে থাকে। বয়স্কদের হার কে মজবুত রাখতে হলে মসুর ডালকে অবশ্যই খাদ্যঅবশয়ের মধ্যে যুক্ত করতে হবে।
- মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে : মস্তিষ্কে সকল কার্যক্রমকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে মসুর ডাল সক্ষম ভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনার জন্য অনেক সময় কাজ করা বন্ধ করে দেয় এক্ষেত্রে মসুর খুব কার্যকরী ভাবে সহযোগিতা করে।
- শরীর ওজন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম : মসুর ডাল উচ্চ ফাইবার যুক্ত হয় এবং কম ক্যালরিযুক্ত খাদ্য হওয়ায় শরীরের ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। তারা কোন চিন্তা ছাড়াই মসুর ডাল খেতে পারেন মসুর ডাল খুবই কম ক্যালরিযুক্ত খাদ্য এটি আপনাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করবে না।
মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারের উপকারিতা
মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করুন। মসুর ডাল যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারীর তেমনি
আমাদের ত্বকের জন্য এবং আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য উপকারী। মসুর ডালের মধ্যে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকে
পরিষ্কার একটা সহযোগিতা করে এবং আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ব্রণের সমস্যা দূর
করতেও কার্যকরী ভাবে সহযোগিতা করে। মসুর ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহারের উপকারিতা
সম্পর্কে একটু বিস্তারিতভাবে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে : মসুর ডাল আমাদের ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সহযোগিতা করে আমরা সারাদিন না না কাজে বাইরে থাকি এক্ষেত্রে আমাদের ত্বকের ওপরে বিভিন্ন ধরনের ময়লার আস্তরণ জমে থাকে যার কারণে আমাদের ত্বক কালো দেখায় আর এই ধরনের ময়লা দূর করে তাকে উজ্জ্বল করে তুলতে মসুর ডাল সহযোগিতা করে।
- ব্রণ কমাতে সহযোগিতা করে : মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের মধ্যে জমে থাকা বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর আক্রমণে তৈরি হয় ব্রণ দূর করতে সহযোগিতা করবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম।
- ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার করে : ত্বকে মসুর ডাল ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব হয়। তারপরে আমাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর হয়।
- ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে সহযোগিতা করে : বিভিন্ন সময় আমাদের ত্বকের উপরে বয়সের ছাপ দেখা দেয় এই সকল বয়সের ছাপ দূর করতে আমরা প্রতিদিন নিয়ম করে মসুরের ডালের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারব।
- প্রাকৃতিকভাবে মশ্চারাইজ করে : মুসুরির ডালের ফেসপ্যাক আমাদের ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে মসৃণ করে।
মসুর ডালের ফেসপ্যাক তৈরি করার নিয়ম
মসুর ডালের ফেসপ্যাক তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণ পড়ুন। মসুর ডাল শুধুমাত্র আমাদের শরীরের জন্যই ভালো এমনটাই নয়
মসুর ডাল আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের ত্বকে মসুর ডাল ব্যবহার করার
মাধ্যমে আমরা ব্রণের সমস্যা কমিয়ে আনতে পারবো এবং ত্বককে আরো বেশি উজ্জ্বল করতে
পারব। চলুন দেরি না করে জেনে আসি মসুর ডালের ফেসপ্যাক তৈরি করার নিয়ম
সম্পর্কে বিস্তারিত -
মসুর ডাল ও হলুদের ফেসপ্যাক তৈরি :
- ব্লেন্ডারের ভালোমতো একমুঠো মসুর ডাল পেস্ট তৈরি করে নিন।
- মসুর ডালের পেস্ট এর মধ্যে এক চিমটি হলুদ এবং গোলাপজলের পানি মিশিয়ে পেজটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- পেস্টটি তৈরি করার পরে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এতে আপনাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
- ফেসপ্যাকটি আপনারা সপ্তাহে অন্তত দুইদিন ব্যবহার করবেন এতে আপনারা বেশ কার্যকরী এবং ভালো ফলাফল লক্ষ্য করবেন।
মসুর ডাল ও দই এর ফেসপ্যাক তৈরি :
- এক মুঠো মসুর ডাল ভালোভাবে ব্লেন্ডারে পিছে পেস্ট তৈরি করুন।
- মসুর ডালের পেস্ট তৈরি করা হয়ে গেলে তার মধ্যে এক চা চামচ দই এবং দুই ফোঁটা মধু মিশিয়ে পেজটি ভালোভাবে নেড়ে নিন।
- পেস্টি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর তোকে খুব ভালোভাবে লাগিয়ে নিন এবং ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
- এই ফেস প্যাকটি আপনারা সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করতে পারেন এবং এই ফেস প্যাকটির মাধ্যমে আপনাদের ত্বক প্রাকৃতিকভাবে মোশ্চারাইজ হবে।
মসুর ডাল খাওয়ার অপকারিতা সমূহ
মসুর ডাল খাওয়ার অপকারিতা সমূহ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আমার আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণ পড়ুন। মসুর ডাল যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এবং আমাদের ত্বকের জন্য
উপকারী তেমনি এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে আপনারা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে
মসুর ডাল খান তাহলে আপনাদের শরীরে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে আসি মসুর ডাল খাওয়ার অপকারিতা সমূহ সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে -
- পেটের সমস্যা বৃদ্ধি পায় : অতিরিক্ত পরিমাণে মসুর ডাল খাওয়ার ফলে আমাদের পেটের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যেমন- ডায়রিয়া, গ্যাস্টিকের সমস্যা, পেট ফাঁপা বা পেটে ব্যথা হতে পারে।
- প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় : প্রোটিন আমাদের দেহের জন খুব উপকারী একটি উপাদান কিন্তু আমরা অতিরিক্ত ভাবে প্রোটিন গ্রহণ করলে আমাদের শরীরে তা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা দিবে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের ফলে আমাদের কিডনির ওপর চাপ সিট হয়ে যার ফলে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।
- কিডনি সমস্যা বৃদ্ধি পায় : যাদের কিডনি জাতীয় যেকোনো ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে মুসুরির ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। মসুর ডাল এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আর পটাশিয়াম আমাদের দেহের কিডনির সমস্যা থেকে আরও বৃদ্ধি করে।
- এলার্জি সৃষ্টি হয় : অতিরিক্ত পরিমাণে মসুর ডাল খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে বা আমাদের ত্বকে এলার্জি সমস্যা বৃদ্ধি পায়। যাদের এই ডালে এলার্জি আছে তারা মসুর ডাল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- ভিটামিন ও খনিজের শোষণ কমে যায় : অতিরিক্ত পরিমাণে মসুর ডাল খেলে আমাদের শরীরে ফ্যাটিক এসিড বৃদ্ধি পায় যার ফলে আমাদের শরীর খনিজ শোষণ করতে পারে না এক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামের শোষণ কমে যায় যার ফলে আমাদের দেহে দুষ্টু উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়।
মসুর ডালের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আমার মতামত
মসুর ডাল আমাদের দেহে যেন খুবই উপকারী একটি খাদ্য আমরা সকলে চেষ্টা করব স্বাভাবিক
পরিমাণে প্রতিদিন আমাদের খাদ্য অভ্যাসের মধ্যে মসুর ডাল রাখার। মসুর ডালের মধ্যে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি বা শক্তি যা আমাদের দেহকে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা
করবে। মসুর ডালের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ক্যালসিয়াম যা আমাদের হারের শক্তি বৃদ্ধি
করতে এবং আমাদের দেহে ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে।
আমি আমার আজকের লেখাটির মাধ্যমে আপনাদের সকলকে উপকৃত করতে চেয়েছি আশা করি আপনারা
সকলে আমার আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হবেন। আমার আর্টিকেল লেখার মধ্যে কোন ভুল
থাকলে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url