ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার

আপনি কি ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার নিয়ে খুবই চিন্তিত?  বুঝতে পারছেন না কিভাবে ডেঙ্গু জ্বর থেকে প্রতিকার পাবেন?  ডেঙ্গু জ্বর হলে আপনার করণীয় কি সে সম্পর্কে যদি সঠিকভাবে ধারণা না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আমার আর্টিকেলটি আজকে সম্পূর্ণ পড়বেন।  আজকে রাতে খেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব ডেঙ্গুর জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত।ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার

 বর্তমান সময় যেহেতু আমাদের সকলের মাঝে ডেঙ্গু জ্বরটা আতঙ্ক বিরাজ করছে তবে ডেঙ্গু জ্বরের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই কিছু ও নিয়ম মেনে চললে ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার করা সম্ভ। চলুন দেরি না করে জেনে আসি ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত। 

ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার 

প্রতিকার নিয়ে সকলের মধ্যে দুশ্চিন্তা কাজ করে একটি আতঙ্কের নাম। আমাদের দেশের প্রায়ই বর্ষা মৌসুম থেকে শিব মৌসুমের আগ পর্যন্ত ডেঙ্গুজোতে প্রকৃতি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। ছোট থেকে বড় যে কোন বয়সের মানুষের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। আমরা যদি আগে থেকে ডেঙ্গু জ্বরের নিরাময় ও প্রতিকার এবং ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারি বা বুঝতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা ডেঙ্গু জরতে প্রতিকার করতে পারব। চিকিৎসা সম্পর্কে আমরা সঠিক ধারণা নিতে পারব। ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা ডেঙ্গু জ্বরকে একটু স্বাভাবিক জলের সাথে তুলনা করে এবং তারা এই বিষয়টিকে এড়িয়ে চলে পরবর্তীতে দেখা যায় ডেঙ্গু জ্বর আর তো পর্যায়ে চলে যাই এবং রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায় সে সময় চিকিৎসা করারও কোনো উপায় থাকে না। অবশ্যই আমাদেরকে ডেঙ্গু জ্বর এবং স্বাভাবিক জলের মধ্যকার পার্থক্য বুঝতে হবে। প্রথম পর্যায়ে ডেঙ্গু স্বাভাবিক জলের মতো লক্ষ্য নিয়ে প্রকাশ পায় এবং ঠিক তখনই মানুষেরা সেগুলোকে স্বাভাবিক জন মনে করে চিকিৎসা নেয়া থেকে বিরত থাকে।ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

 কিন্তু স্বাভাবিক জ্বর সাধারণত সাত দিনের বেশি থাকে না বা ওষুধ খেলে সেটা একদিনে ভালো হয়ে যায় কিন্তু ওর ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে এমনটি হবে না ডেঙ্গু জরে ওষুধ খাওয়ার পরেও সেটি ভালো হবে না বরং কিছুক্ষণ পরপর জ্বরটি আবার ফিরে আসবে তখনই বুঝতে হবে ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরের সঠিক চিকিৎসা যদি সঠিক সময় না নেওয়া হয় এতে রোগের মৃত্যু হতে পারে তাই অবশ্যই আপনাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। ডেঙ্গুজ্বর মশাবাহিত একটি রোগ।

 চিকিৎসকের মতে ডেঙ্গুজ্বর এরিস মৌসুম নামক এক ধরনের মশার মাধ্যমে সংক্রামিত হয়। কারণ এডিস মশারা ডেঙ্গু জ্বরের বাহক হিসেবে। যে কোন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে তার মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাসটি প্রবেশ করে এবং ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দেয়।  তো আমাদেরকে সকলকেই অবশ্যই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য গ্রহণ করতে হবে এবং এর নিরাময় সম্পর্কেও জানতে হবে। 

আরো পরুন ঃ বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

ডেঙ্গুজরের লক্ষণ বা উপসর্গ কি 

যেকোনো ধরনের ভাইরাসজনিত অসুখেরই কিছু লক্ষণ আগে দেখা দেয় করে সেটি মারাত্মকভাবে রূপ প্রকাশ করে তো আমাদেরকে অবশ্যই সকল ভাইরাস জনিত রোগেরই লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে তবে আজকে আমরা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ উপসর্গ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানব। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ উপসর্গ গুলো প্রথম অবস্থায় স্বাভাবিক জলের মতো হয়ে প্রকাশ পায় যার কারণে অনেকে এটিকে স্বাভাবিক জ্বর ভেবে বসে এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করে না যার ফলে ডেঙ্গু জ্বরটি পরবর্তীতে মারাত্মক রূপ ধারণ করে। ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

যখন কোন এডিস মশা বা ডেঙ্গু রোগ বহনকারী মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ায় তার ঠিক ১০ থেকে ১২ দিন পরেই এই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রকাশিত হয়। স্বাভাবিকভাবে প্রথম অবস্থায় ডেঙ্গুজ্বর ১০২ ডিগ্রি থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়। এবং ডেঙ্গু জ্বর খুব সহজে যেকোনো নাপা ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে কমানো সম্ভব হয় না। ডেঙ্গুজ্বর হলে প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যথা দেখা দেয়, অনেকের বমি বমি ভাব হয় কুষ্ঠ কাঠিন্য দেখা দেয় , চামড়ায় লালচে ভাব তৈরি হয় ভেতরে ব্যথা অনুভব হয় ,  এছাড়া অনেকের মধ্যেই মন্দা দেখা দিতে পারে কিছুটা পরিবর্তন হয়  , হঠাৎ করেই রক্তচাপ কমে যায়৷, শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হয়। 

ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার

যখন আমাদের শরীরে জ্বর হওয়ার পাশাপাশি এই সব লক্ষণ দেখা দিবে তখনই আমাদেরকে প্রাথমিকভাবে ধারণা করতে হবে ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সঠিকভাবে ডেঙ্গু হবে এবং পরবর্তীতে ডেঙ্গু জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আমার নিয়ম করে ঔষধ গ্রহণ করার মাধ্যমে ডেঙ্গুজা নিরাময় করা সম্ভব হয় অনেক সময়। ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

ডেঙ্গু জ্বরের প্রকারভেদ 

ডেঙ্গু জ্বরের প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই আমার লেখাটি আজকে সম্পূর্ণ পড়ুন। চিকিৎসকের মতামত অনুযায়ী ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে যেমন - ক্লাসিক্যাল ও হেমোরেজিক। ক্লাসিক্যাল জটি সাধারণ জ্বরের মতোই হয়ে থাকে এটি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায় বা নিরাময় হয়ে যায়। অন্যদিকে সব থেকে বেশি বিপদজনক হচ্ছে হেমোরিজিক যদি কোন রোগী হেমোরিজিক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে তার অবস্থা পাঁচ থেকে ৮ দিনের মধ্যে খুবই মারাত্মক অবস্থায় চলে আসে। ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

যদি কোন ব্যক্তির হেমরিজিক রোগে আক্রান্ত হয় সে ক্ষেত্রে আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে হেমোরেজির ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো কি?  চলুন জানি তোর আক্রান্ত হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় প্রথমত হেমোরেজির ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর শরীরের যে কোন অংশ থেকে রক্তপাত হয় রক্তে হিমোগ্লেম এর মাত্রা প্রচুর কমে যায় ,  হঠাৎ করে প্রচুর পরিমাণে রক্তচাপ কমে আসে,  যার ফলে নাক মুখ দাঁতের মাড়ি বিয়ের রক্তপাত শুরু হয়। অনেকেই আবার লক্ষ্য করে মৌলের সাথেও রক্তপাত হয়। ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

যদি কোন মেয়ে হেমোরেজিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সময় পিরিয়ড হয় এতে করে তাদের পিরিয়ডের সাথে বেশি পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। যখন আরো খারাপের দিকে যায় তখন রোগীর হাত পাত দ্রুত ঠান্ডা হতে শুরু করে এবং রক্তচাপ খুব দ্রুত কমে যায় এবং হঠাৎ করে রোগী প্রচন্ড পরিমাণে ঘামতে শুরু করে তার মধ্যে একটি অস্থিরতা বিরাজ করে এবং রক্তচাপ কমে আসার কারণে কেউ প্রচুর পরিমাণে বমি করা শুরু করে। অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তচাপ কমে আসার কারণে এবং রোগীর ঘামতে শুরু করার জন্য অনেক সময় মস্তিষ্কের রক্তক্ষরন শুরু হয় যার ফলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। 

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করার উপায় 

ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ করা উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই আমার লেখাটি আজকে আপনাকে সম্পন্ন করতে হবে। ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে কারণ ডেঙ্গু জ্বর বর্তমান সময়ে খুবই ভয়ানক একটি জ্বর। তো আমাদেরকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে আমরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত না হই। সর্বপ্রথমে খেয়াল রাখতে হবে ডেঙ্গু জ্বর কিভাবে প্রতিরোধ করতে পারব কারণ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর যে আমরা সঠিক সময়ে সেটির চিকিৎসা করাতে পারবো এটা নিশ্চয়তা খুবই কম তাই আমাদেরকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে প্রতিরোধ করতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমে আমরা যখনই ঘুমাতে যাই না কেন আমাদেরকে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে বা কয়েল ব্যবহার করতে হবে মোট কথা অনেকে মশার কামড় থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও আমরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে মশার না স্প্রে করতে পারি বা গায়ে মশার ঔষধ ব্যবহার করতে পারি।পর্বতে নামটা খেয়াল রাখতে হবে যে এডিস মশার কিন্তু পচা বা অপরিষ্কার পানিতে জন্ম নেই বা বিস্তার করে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের বাসা বাড়ি আশেপাশে যেন কোন জায়গাতে পচা পানি বা কোন ধরনের পানি জমে না থাকে। প্রতিদিন আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের ফ্রিজের যেন পানি জমে না থাকে কারণ ফ্রিজের পানিতেও মশা ডিম পাড়তে পারে। ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

আমাদের বাড়ির আশেপাশের গাছের আগাছা কেটে সেগুলো পরিষ্কার করে রাখতে হবে। পুজোর হয়ে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে আমাদেরকে লক্ষণ গুলো ভালোভাবে চিনতে হবে এবং লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। যদি দেখা যায় অতিরিক্ত পরিমাণে বমি বমি ভাব হচ্ছে বা গায়ে লালচে রং দেখা দিয়েছে,  শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা হয়ে যায় , প্রসাবে রক্তপাত , বাহ নাক মুখ দিয়ে রক্তপাত হলে আমাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এতে করে আমরা ডেঙ্গুজার প্রতিরোধ করতে পারব। 

ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা কাদের বেশি  

সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম হয় এক্ষেত্রে আমরা ধারণা করতে পারি যে শিশুদের যেমন ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের এবং  ৬০ - ৬৫ বছর বয়সীদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম থাকে যার ফলে এ সকল রোগীদের ডেঙ্গুজোড়া আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

যদি কারো শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের সমস্যা দেখা দেবে ডেঙ্গুজগুলোকে দেখাতে তাহলে অবশ্যই আপনারা যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন যদি আপনারা প্রাথমিক অবস্থাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন তাহলে ডেঙ্গু জ্বর ইজ্জত করা খুব সহজ হবে। যদি আপনাদের জ্বর আজ থেকে সাত দিনের বেশি পরিমাণে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা NS1 টেস্টি করিয়ে নেবেন এবং তার মাধ্যমে পারবেন আপনাদের শরীরের ডেঙ্গু রোগ হয়েছে কিনা। 

ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে করণীয় কি 

আপনারা কোনভাবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করলে ডেঙ্গু রোগ প্রতিকার করা সম্ভব হয়। যদি আপনারা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা না রাখেন এক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর বুঝতে পারবে না যার ফলে ডেঙ্গু রোগ অত্যন্ত মারাত্মক রূপ ধারণ করবে। আপনারা যদি নিজেদেরকে সুস্থ রাখতে চান এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন এবং বাসায় প্রাথমিকভাবে পরিচর্যা করবেন এবং ওষুধ খাবেন। ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীর অধিক পরিমাণে দুর্বল হয়ে যায় এক্ষেত্রে পরিমাণে বিশ্রাম গ্রহণ করবেন এবং ডেঙ্গু জ্বর দেখা দেয়ার ৮ দিন পর্যন্ত কোন ভারী কাজ বা অতিরিক্ত পরিমাণে পরিশ্রম করা যাবে না। তবে আপনাদের শরীরকে ঠিক রাখতে হলে খুব বেশি শুধুমাত্র শুয়ে বসে থাকা যাবে না স্বাভাবিকভাবে আপনারা হাঁটাচলা করবেন এবং দৈনিক কাজগুলো করবেন সে সময় বেশি বাইরে যাওয়াটাই ভালো।
 

রোগীদের জন্য খাবার তালিকা 

আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে মানুষের শরীরের দুর্বলতা দেখা দেয় এক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে যেমন - ডাবের পানি , স্যালাইন,  পানীয় জাতীয় খাদ্য যেমন সুপ,  ফলের রস,  দুধ। এগুলো খাওয়ার মাধ্যমে আপনাদের শরীরে পানি শূন্যতা কমবে এবং শরীরের দুর্বলতা কিছুটা কমে আসবে সাথে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

ডেঙ্গু রোগীদের খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আয়রন যুক্ত খাবার রাখতে হবে কারণ প্রোটিন আয়রনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে তাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে প্রোটিন আয়রনযুক্ত খাবারের মধ্যে মাছ, মাংস,  দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য।ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

আপনারা যতটা পরিমাণের সম্ভব মশার কামড় থেকে দূরে থাকবেন মশা বংশবৃদ্ধি করে এরকম জায়গা থেকে দূরে থাকবেন আপনাদের বাসার আশেপাশে যেন কোন রকমের পানি জমে না থাকে বা ময়লা আবর্জনা না থাকে এদিকে লক্ষ্য রাখবেন মাধ্যমেই চর প্রতিরোধ করা সব থেকে বেশি সম্ভব। ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ সম্পর্কে লেখক এর মতামত 

ডেঙ্গুজোর নিরাময় ও প্রতিরোধ সম্পর্কে আপনাদের সকলকে অবশ্যই সঠিক ধারণা গ্রহণ করতে হবে। আমার আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সকলকে উপকৃত করতে চেয়েছে আশা করি আপনারা সকলে আমার তথ্য দ্বারা উপকৃত হবেন। আপনারা মশা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন এর ক্ষেত্রে অবশ্যই মশারি টাঙাবেন বা মশার স্প্রে ব্যবহার করবেন ব্যবহার করতে পারেন। যদি কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো দেখতে পান তাহলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন কারণ প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিকার করা সম্ভব। তাছাড়া আপনারা নিজেরা সতর্ক থাকবেন এবং পাশাপাশি আপনারা আপনাদের আশেপাশের মানুষদেরও সতর্ক করবেন।ডেঙ্গু জ্বর নিরাময় ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন।
 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url