অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার ২৫ টি সেরা আইডিয়া
আপনি কি অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব অল্প পুজিতে ব্যবসা করার ২৫ টি আইডিয়া সম্পর্কে, এই সকল আইডিয়াগুলো ব্যবহার করে আপনিও শুরু করতে পারবেন আপনার ব্যবসা।
আমাদের দেশের যেহেতু চাকরির বাজার খুবই দুর্লভ ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি হতে পারেন সফল ব্যবসায়ী। কিভাবে ব্যবসা করে আপনিও সফল হবেন এসব বিষয় নিয়ে চিন্তিত? ব্যবসা করতে তো অনেক টাকা লাগে? তাই না? একদমই নয় আপনি খুব কম পুজিতেই ২৫ টি উপায়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
পেজ সুচিপত্র ঃ অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার ২৫ টি আইডিয়া
- অল্প পুজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া সমূহ
- মুদি দোকানের ব্যবসা তৈরি করা
- চা-বিস্কুটের দোকানের ব্যবসা তৈরি করা
- পান সিগারেট এর ব্যবসার তৈরি করা
- ছোট শিফটিং দোকান তৈরি করে
- ছোট রেস্টুরেন্ট তৈরীর মাধ্যমে ব্যবসা
- মাছ চাষ করা বা মাছের ব্যবসা করা
- সবজি বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসা
- ফুল বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসা তৈরি
- শাড়ি কাপড় বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসা তৈরি
- অনলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করার ব্যবসা
- ইভেন্ট ম্যানেজার এর ব্যবসা তৈরি
- মুরগির ফার্ম তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা
- চা পাতা ডিলারশিপ তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা
- সারের দোকান এর ব্যবসা তৈরি
- মুখরোচক খাবার বা আচার এর ব্যবসা তৈরি
- ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ব্যবসা তৈরি
- ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ব্যবসা তৈরি
- মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপের ব্যবসা তৈরি
- টেলার্স এর দোকান তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা
- বাচ্চাদের খেলনা বা গেমিং স্টোর তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা
- পার্লার বা বিউটিশিয়ান এর ব্যবসা তৈরি
- ক্যান্টিন বা খাবার হোটেলের ব্যবসা
- অটোমোবাইল দোকান এর মাধ্যমে ব্যবসা তৈরি
- কোচিং সেন্টার এর ব্যবসা তৈরি
- হোম ডেলিভারি ব্যবসা তৈরি
- অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার ধারণা সম্পর্কে আমার মতামত
অল্প পুজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া সমূহ
অল্প পুজিতে ব্যবসা করার আইডিয়া সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর আপনিও নিজেই
ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং সফলতার শিখরে পৌঁছাতে পারবেন। আমাদের দেশের চাকরির
অবস্থা খুব একটা ভালো নই পড়াশুনা করে চাকরি পাওয়াটা কোন ভাগ্যের ব্যাপার তাই
বসে না থেকে আপনি শুরু করতে পারেন আপনার নিজের ব্যবসা আপনি নিজে অধিক পরিমাণে
লাভবান হতে পারবেন।
২৫ টি ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে রয়েছে :
- মুদি দোকানের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে পারেন খুব কম পুঁজিতে,
- চায়ের ও বিস্কুটের দোকান দেয়ার মাধ্যমে,
- পান সিগারেট বিক্রি করার মাধ্যমে,
- ছোট শিফটিং দোকান দেয়ার মাধ্যমে,
- ছোটখাটো রেস্টুরেন্টের ব্যবসায়ী
- মাছের ব্যবসা করে,
- সবজির ব্যবসা করে
- বিভিন্ন ধরনের ফুলের ব্যবসা করে,
- শাড়ি কাপড় বিক্রি করে
- অনলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করে,
- ইভেন্ট ম্যানেজারের ব্যবসার মাধ্যমে,
- মুরগির ফার্ম এর মাধ্যমে
- চায়ের ডিলারশিপের ব্যবসা করে
- স্যারের দোকানের ব্যবসা করে
- মুখরোচক খাবার বা আচারের ব্যবসা করে,
- ইউটিউবে ভিডিও আপলোডিং করে
- ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে,
- মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ এর মাধ্যমে,
- বাসায় বসে সেলাই মেশিনের কাজের মাধ্যমে,
- হাতের কাজের জামা কাপড় তৈরি করে,
- পার্লার বা বিউটিশিয়ান এর ব্যবসা করে,
- ক্যান্টিন বা খাবার হোটেলের ব্যবসা করে,
- অটোমোবাইল দোকানের মাধ্যমে,
- কোচিং সেন্টারে ব্যবসা করে
- হোম ডেলিভারির ব্যবসা করে
তাহলে চলুন জেনে আসি ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে একটু বিস্তারিতভাবে।
মুদি দোকানের ব্যবসা তৈরি করা
মুদি দোকানের ব্যবসা তৈরি করার মাধ্যমে আপনারা অল্প পুজিতে একটি লাভজনক ব্যবসা
তৈরি করতে পারবেন। বর্তমানে মুদি দোকানের ব্যবসাটি লাভজনক কারণ যদি হাতের কাছে
মুদি দোকান থাকে তাহলে মানুষ বাজারের যায় না কোন কিছু কেনার জন্য তাই আপনি যদি
আপনার এলাকায় বা বাড়ির পাশে মুদি দোকান তৈরি করতে পারেন এক্ষেত্রে এটি আপনার
জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা হবে।
মুদি দোকানের ব্যবসা তৈরি করতে খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না। আপনি চাইলে প্রথম
অবস্থাতে একটি ছোট দোকান তৈরি করে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস নিয়ে ব্যবসা
শুরু করতে পারেন। মুদি দোকানের ব্যবসায়ী দ্রব্য সামগ্রীতে অধিক পরিমাণে লাভ থাকে
যার ফলে মুদি দোকান এরা বেশ লাভবান হয়। আপনি মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়ে মুদির
দোকানের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
চা-বিস্কুটের দোকানের ব্যবসা তৈরি করা
চা-বিস্কুটের দোকানের ব্যবসা বর্তমানে অধিক লাভজনক একটি ব্যবসা বলে ধরা হয়।
চা-বিস্কুটে বেশি পরিমাণে খরচ হয় না সেই তুলনায় চা-বিস্কুটের বিক্রি বেশি হলে
দ্বিগুণ পরিমাণে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি যদি চান তাহলে একটি ছোট দোকান ভাড়া করার
মাধ্যমে বা ফুটপাতে চা-বিস্কুটের সামগ্রী নিয়েও বিক্রি করতে পারেন এক্ষেত্রেও
আপনার অধিক লাভ থাকবে। বর্তমান সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের
দেখা যায় একটি ছোট দোকান নিয়ে তারা টল খুলে বসে কারণ তারা জানে চা বিস্কুট এর
ব্যবসায় লাভ বেশি হয় এবং খুব সহজেই ব্যবসা বড় করে তোলা যাই।
চা-বিস্কুটের ব্যবসা আপনি ১০ হাজার টাকা দিয়েই শুরু করতে পারেন। চা বানাতে
যেহেতু অধিক পরিমাণে খরচ হয় না সে ক্ষেত্রে আপনার লাভ দ্বিগুণ হয়। তাই আমি বলব
যদি কেউ কম পুঁজির মধ্যে ব্যবসা তৈরি করতে চান তাহলে চা-বিস্কুটের দোকানের ব্যবসা
করতে পারেন। পরবর্তীতে সে ব্যবসাটিকে আপনি বড় করতে পারবেন। চা-বিস্কুটের দোকান
থেকে অনেকে লজ্জাজনক মনে করে তবে এখানে লজ্জার কোন বিষয় নেই।
পান সিগারেট এর ব্যবসার তৈরি করা
পান সিগারেটের ব্যবসা অধিক লাভজনক আপনি চাইলে পান সিলেটের ব্যবসা যেকোনো একটি
দোকান ভাড়া করে নিয়ে এর মাধ্যমে শুরু করতে পারেন আবার এমনিতেই ফুটপাতে আপনি খুব
সুন্দর ভাবে ডেকোরেটেড একটা গাড়ি ব্যবহার করেও শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়
দেখা যায় সকলেই প্রায় কার স্টোর বা ছোট ছোট দোকান গাড়ি গুলো ব্যবহার করে
ব্যবসা শুরু করে এতে করে তারা বিভিন্ন জায়গায় যে ব্যবসা করতে পারে তাদের
নির্দিষ্ট কোন জায়গাতে বসে থাকতে হয় না এবং বর্তমানে এই বিষয়টি সব থেকে লাভজনক
করে তুলেছে যে কোন ব্যবসাকে।
আপনারা চাইলে নতুন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পান সিগারেটের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনারা বিভিন্ন রকমের পান আপনাদের ব্যবসায় রাখতে পারেন এবং অনেক রকমের
পান মসলাযুক্ত করতে পারেন এতে মানুষের আকর্ষণ বাড়বে যেমন আগুন পান বর্তমানে খুবই
জনপ্রিয়। তো এইভাবে আপনারা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পান সিগারেটের ব্যবসা গড়ে
তুললে অধিক লাভজনক হবেন।
ছোট শিফটিং দোকান তৈরি করে
ছোট শিফটিং দোকান তৈরি করে ব্যবসা করা বর্তমান সময়ের জনপ্রিয়। আমরা যখন বিভিন্ন
জায়গায় ভ্রমণ করি সেখানে আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট শিফটিং দোকান বা
দোকান গাড়ি ব্যবহার করে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ছোট ছোট ব্যবসা করে তুলেছে। এই
ব্যবসা গুলো হতে পারে পান সিগারেটের ব্যবসা অথবা বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবসা
যেমন বার্গার, নুডুলস, চটপটি, ফুচকা।
তাই আপনারাও চাইলে এরকম শিফটিং দোকান তৈরি করার মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য বিক্রির
ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন। এখন মানুষ বাইরের খাবার বেশি পছন্দ করে। বড় বড়
রেস্টুরেন্টের তুলনায় ছোট ছোট এই রাস্তার পাশের শিফটিং দোকানগুলোতে বিক্রি বেশি
হয়। বড় বড় রেস্টুরেন্টে মূলত একটি শ্রেণি ভাগ করা থাকে কিন্তু এই ছোট ছোট
শিফটিং দোকানগুলোতে যে কোন শ্রেণীর মানুষ কাস্টমার হয়ে আসে বিক্রি বেশি
হয়।
আরো পরুন ঃ ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করার সেরা ১৩ টি উপায়
ছোট রেস্টুরেন্ট তৈরীর মাধ্যমে ব্যবসা
আপনি চাইলে কম পুজিতে অবস্থাতেই ছোট একটি রেস্টুরেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে ব্যবসা
করতে পারবেন। বর্তমানে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা লাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ আমাদের
শহরের যে কোন অলিতে গলিতে আমরা ছোটখাটো রেস্টুরেন্ট দেখতে পাচ্ছি। ক্ষেত্রে এইরকম
রেস্টুরেন্ট তৈরির মাধ্যমে আপনিও একজন সফল ব্যবসায়ী হতে পারবেন। একজন সফল
ব্যবসায় হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে বিষয়ে আপনি ব্যবসা করলে বেশি
লাভজনক হবেন।
আপনি চাইলে যেকোনো জায়গায় ছোট দোকান ভাড়া নিয়ে রেস্টুরেন্ট তৈরি করতে পারবেন।
যদি আপনি রেস্টুরেন্ট থেকে একটু ভালোভাবে সাজিয়ে তোলেন এবং খাবারের মান ভালো
রাখেন তাহলে আপনার রেস্টুরেন্ট ব্যবসাটি খুব সহজেই সফল হয়ে উঠবে। রেস্টুরেন্টের
ব্যবসার ক্ষেত্রে অবশ্য আপনাকে কে ডাকতে হবে আপনার খাদ্যের মান ঠিক রাখতে হবে এবং
আপনার রেস্টুরেন্ট টিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে হবে।
মাছ চাষ করা বা মাছের ব্যবসা করা
মাছ চাষ করা বা মাছের ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি অধিক লাভজনকভাবে একজন
ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে পারবেন। মাছের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন? আপনি চাইলেই
একটি পুকুরকে কন্ট্রাক্টে নেয়ার মাধ্যমে সে পুকুরে মাছ চাষ করে সেই মাছ বিক্রি
করার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে পারেন অথবা আপনি যদি মনে করেন তাহলে আপনি পাইকারি
বাজার থেকে বা সরাসরি মাছ চাষীদের কাছ থেকে মাছ ক্রয় করে বাজারে বিক্রি করেও
ব্যবসা করতে পারবেন।
মাছ চাষের ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা রাখতে
হবে যেমন আপনি মাছ কিভাবে চাষ করবেন? কোন মাছ কোন পানিতে ভালো পরিমাণে? কোন মাছ
চাষ করলে বেশি লাভবান হওয়া যায়? এগুলো বিষয় আপনাকে মাছ চাষ করার ক্ষেত্রে
লক্ষ্য রাখতে হবে।
এবং মাছ বাজারে বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসা করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে
আপনি কোথায় থেকে কম দামে মাছ কিনতে পারবেন? বাজার থেকে মাছ কিনে বেশি
লাভবান হওয়া যায়? নাকি মাছ চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি মাছ কিনে বাজারে এসে
বিক্রি করার মাধ্যমে বেশি লাভবান হওয়া যায়? এগুলো সব কিছু সম্পর্কে জেনে
আপনাকে মাছের ব্যবসা শুরু করতে হবে।
সবজি বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসা
সবচেয়ে বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসা বর্তমানে খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা হতে পারে
কারণ আমাদের দেশের সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতিতে চলছে আপনি যদি এই সময় সবজি ব্যবসা
করতে পারেন তাহলে অধিক লাভজনক হবেন। সবজি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন? আপনি চাইলে
সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে এনে বাজারে বসে বিক্রি করতে পারবেন এক্ষেত্রে
আপনার লাভ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
আবার আপনি চাইলে একটি সবজির আরত তৈরির মাধ্যমে কৃষকের কাছে সবজি গ্রহণ করার পর
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে সেই সবজি গুলো বিক্রি করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি
সবজি ব্যবসায়ী বা সবজির ডিলারশিপ এ পরিণত হবেন এবং খুব সহজে আপনার ব্যবসাটি বড়
পর্যায়ে চলে যাবে। আপনি যদি শিক্ষিত হন এবং বেকার হন এক্ষেত্রে আপনি সবজির
ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন আপনি খুব কম সময়ে অধিক লাভজনক হতে পারবেন।
আরো পরুন ঃ ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়
ফুল বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসা তৈরি
ফুল বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসা তৈরি করে আপনি খুব কম সময়ে এবং অল্প
পুঁজিতে লাভবান হতে পারবেন। আপনি যদি শিক্ষিত হন এবং আপনি আপনার যোগ্যতাকে
মাথায় রেখে একটি সম্মানজনকভাবে ব্যবসা করতে যান এক্ষেত্রে আপনি মাছের ব্যবসা
ছাড়াও ফুলের ব্যবসা করতে পারেন ফুলের ব্যবসা বর্তমানে লাভজনক।
আমরা যদি বাজারে ফুল কিনতে চাই এক্ষেত্রে একটি গোলাপের মূল্য ১০ টাকা ধরে
বিক্রেতারা। কিন্তু সেই ফুলই তারা ১ টাকা মূল্যে ফুলের বাগান থেকে কিনে নিয়ে আসে
তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ফুলের ব্যবসা কতটা লাভজনক? তাহলে দেরি না করে আপনি
যদি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ফুলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে
আপনি মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়েও এই ফুলের ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
শাড়ি কাপড় বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসা তৈরি
শাড়ি কাপড় বিক্রি করার মাধ্যমেও আপনি একটি ছোটখাটো ব্যবসা তৈরি করতে পারবেন এবং
পরবর্তীতে এই ব্যবসাটি অনেক বড় পর্যায়ে দাঁড়িয়ে যাবে। প্রথম অবস্থায় আপনি
কিছু সংখ্যক শাড়ি কাপড় কিনে সেগুলো অনলাইন মাধ্যমকে ব্যবহার করে বা নিজস্ব
দোকান খুলে বিক্রি করতে পারবেন। আপনি চাইলে শাড়ি কাপড়ের ব্যবসাটিতে কোন ধরনের
বুঝিনা লাগিয়েই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র কিছু
শাড়ি কাপড়ের ছবি আপনার ফেসবুকের দোকানে আপলোড করবেন এবং যদি কেউ আপনার শাড়ি
কাপড়ের ছবি দেখে পছন্দ করে অর্ডার করে তারপরে আপনি সেকার শাড়ি কাপড় গুলো কিনে
তার কাছে পৌঁছে দেবেন কোন লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
যদি আপনি শাড়ি কাপড়ের ব্যবসা তৈরি করতে চান তাহলে আমি বলব আপনি অনলাইনে একটি
দোকান তৈরি করুন এবং সেখানে আপনার শাড়ি কাপড় গুলোর ছবি আপলোড করুন এবং দাম
উল্লেখ করে দিন এর মাধ্যমে আপনি বেশি পরিমাণে বিক্রি করতে সক্ষম হবেন। যেহেতু
বর্তমানে সকলে অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতে পছন্দ করে তাই আপনার ব্যবসাটি কেউ যুগ
উপযোগী ভাবে অনলাইন ভিত্তিক করে গড়ে তুলুন।
অনলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করার ব্যবসা
অনলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি বর্তমানে সব থেকে বেশি
লাভবান ব্যবসায়ী হতে পারবেন। কারণ বর্তমানে মানুষ অনলাইনে সব থেকে বেশি কেনাকাটা
করতে পছন্দ করেন। তারা অনলাইন থেকে কেনাকাটা করাটাকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করেন।
আপনি চাইলেই অনলাইনে যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে ব্যবসায়ী হতে
পারবেন।
কোন পুঁজি না লাগিয়ে বা অর্থ বিনিয়োগ না করেই আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
প্রথমে আপনাকে অনলাইনে একটি দোকান খুলতে হবে এবং সেখানে আপনি যে ধরনের
প্রোডাক্টগুলোকে বিক্রি করতে যাচ্ছেন তার ছবি এবং তার মূল্য উল্লেখ করে দিতে হবে।
এক্ষেত্রে যদি কারো আপনার প্রোডাক্ট পছন্দ হয় তাহলে তিনি আপনার কাছে অর্ডার করবে
এবং তারপর আপনি চাইলে সেই প্রোডাক্টগুলো কে কিনে আপনি তাদেরকে সাপ্লাই করতে
পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি একজন অনলাইন ব্যবসায়ী হতে পারবেন।
ইভেন্ট ম্যানেজার এর ব্যবসা তৈরি
আপনি চাইলে আপনার খুব অল্প পুঁজির মাধ্যমে ইভেন্ট ম্যানেজারের ব্যবসা তৈরি
করতে পারবেন। যদি আপনার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থাকে এবং যদি আপনি
সাজানো গোছানো বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন এক্ষেত্রে আপনি একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
গ্রুপ খুলতে পারবেন। আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াকে টার্গেট করে একটি গ্রুপ খুলে
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর শুরু করতে পারবেন।
যদি আপনার ম্যানেজমেন্ট দেখে কারো পছন্দ হয় তাহলে অন্যরা আপনাকে তাদের বিভিন্ন
ধরনের অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে, জন্মদিন, যদি অনুষ্ঠানকে ম্যানেজ করার জন্য
অনুরোধ করবে এবং যার ফলে আপনি একজন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে
পারবেন।
মুরগির ফার্ম তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা
মুরগির ফার্ম তৈরি করার মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠতে পারবেন সফল ব্যবসায়ী। বর্তমানে
ঘরে বসে আপনি কিছু সংখ্যক মুরগি পালনের মাধ্যমে একটি ফার্ম তৈরি করতে পারবেন এবং
সেখান থেকে খুব ভালো পরিমাণে টাকা আয় কত সক্ষম হবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্য
খেয়াল রাখতে হবে মুরগির খাবারগুলো ভালো মানের হতে হবে মুরগি পালনে আপনাকে
যত্নশীল হতে হবে। যদি আপনি সঠিকভাবে মুরগি পালন করতে না পারেন এক্ষেত্রে সেগুলো
বড় হওয়ার আগেই মরে যেতে পারে যার ফলে আপনার লস দেখা দিবে।
অবশ্যই মুরগির ফার্ম তৈরি করার আগে আপনাকে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে।
মুরগি পালনের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত পরিমাণে গরম হলে মুরগির ফার্মের
মধ্যে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ফ্যানের ব্যবহার করতে হবে,
যেকোনো ধরনের অসুখের জন্য ঔষধ ব্যবহার করা জানতে হবে, মুরগির খাদ্যের পরিমাণের
দিকে নজর রাখতে হবে। তাহলে আপনি একজন সফল মুরগি ফার্ম ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে
পারবেন।
আরো পরুন ঃ কুয়েত টাকার মান কত
চা পাতা ডিলারশিপ তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা
চা পাতা ডিলারশিপ তৈরির মাধ্যমে আপনি অল্প বুঝিতে ব্যবসা করে সফলভাবে হতে পারবেন।
চা পাতার ডিলারশিপ এর ব্যবসা তৈরি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনি চা
পাতাটি কোথায় থেকে সংগ্রহ করবেন? সরাসরি চা বাগান থেকে চা পাতা সংগ্রহ করলে
আপনার লাভ হওয়ার সম্ভাবনা টি কতটুকু থাকে? আপনিও কি কোন ডিলারের কাছ থেকে
চা পাতা কিনে তারপরে আবার ক্ষুদ্র ব্যবসার মধ্যে বিক্রি করতে পারবেন?
যদি আপনার মনে হয় আপনি অন্য ডিলারের কাছ থেকে চা পাতা কিনে সেগুলো লাভজনকভাবে
অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর করতে পারছেন এক্ষেত্রে আপনি লাভজনক হবেন। আপনি চাইলে
সরাসরি চা বাগান থেকেও কম দামে চা পাতা কিনে নিয়েছে লাভজনকভাবে ক্ষুদ্র
ব্যবসায়ের মধ্যে চা পাতা বিক্রি করতে পারবেন। চা পাতা বিক্রির মাধ্যমে আপনিও
একটি ডিলারশিপ এর ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন।
সারের দোকান এর ব্যবসা তৈরি
গ্রামাঞ্চল বা শহর অঞ্চল যেকোনো জায়গাতেই সারের দোকানের ব্যবসা তৈরি করে আপনি
লাভবান হতে পারবেন। বর্তমানে সবাই দেখা যায় শহরের হাত বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি
পাচ্ছে। মানুষ তাদের ছাদেই বিভিন্ন ধরনের সবজি কিংবা ফল ফলানোর জন্য ষাঁড়ের
ব্যবহার করে আপনি যদি স্যারের দোকানের ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনি লাভজনক
হবেন। গ্রাম অঞ্চলেও জমি জামাই চাষ করার ক্ষেত্রে সারের ব্যবহার করা হয়।
তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ষাঁড়ের ব্যবসায়ী লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাটির খুব
কমই থাকে। শহরকে কেন্দ্র করে যদি আপনি সারের দোকান গড়ে তুলতে পারেন এক্ষেত্রে
আপনি বেশি লাভজনক হতে পারবেন। আপনি আপনার দোকানে প্রথম অবস্থায় কম পরিমাণে সব
ধরনের সার মজুদ রাখবেন যাতে করে যে কোন কাস্টমার আপনার দোকানে আসলে সে সকল ধরনের
ষাঁড় একসঙ্গে পাওয়ার জন্য পরবর্তীতে আবার আপনার দোকানে আসে।
মুখরোচক খাবার বা আচার এর ব্যবসা তৈরি
আচারের ব্যবসা তৈরি করে লাভজনক হতে পারবেন আপনিও চলুন জেনে আসি কিভাবে। বর্তমান
সময়ে আমরা যখন কোন জায়গায় যাই সব জায়গায় আমরা রাস্তাতে লক্ষ্য করে বিভিন্ন
ধরনের মুখরিত খাবারের দোকান রয়েছে। আপনিও চাইলে এই মুখরচোখ খাবারের দোকান তৈরি
করতে পারেন। কেননা মুখরতে খাবারের এই দোকানগুলোতে ভিড় বেশি হয় এবং লাভবান হওয়া
যায়।
আচার এর ব্যবসা তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি শিফটিং গাড়ি ব্যবহার করতে হবে
যাতে আপনি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় রিসিভ করে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ব্যবসা
করতে পারেন। তাহলেই আপনি মুখরোচক খাবারের এই ব্যবসাটিকে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে
যেতে পারবেন। এবং খুব কম পরিমাণে পুঁজি নিয়েই ব্যবসা সফল হবে।
ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ব্যবসা তৈরি
ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা তৈরি করতে পারবেন। আপনি যদি মনে করেন
আপনি খুব কম পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের
সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে সেখানে অনলাইন দোকান খোলার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু
করতে পারেন। বর্তমান সময় মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করে। আপনি যদি মনে
করেন আপনি আমের ব্যবসা করতে চান এক্ষেত্রে আপনি ইউটিউবে সব ধরনের আমের ভিডিও তৈরি
করবেন এবং সেখানে আমের মূল্য নির্ধারণ করে দিবেন এবং আপনার সাথে যোগাযোগ করা
ঠিকানা ওর ফোন নাম্বার যুক্ত করবেন
যদি কারো আপনার কাছ থেকে আম নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ হয় এক্ষেত্রে তিনি আপনার সঙ্গে
ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করবে এবং আপনাকে আমের অর্ডার দিবে যার ফলে আপনি অর্ডার
পাওয়ার পরে আম কিনে পরবর্তীতে সে কাস্টমারকে আম সাপ্লাই করে হতে পারবেন। তাই সফল
ব্যবসায় হতে হলে অবশ্যই আপনাকে মিডিয়ার ব্যবসায়ী হতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ব্যবসা তৈরি
ফ্রিল্যান্সিং শেখার মাধ্যমেও আপনি সফল ব্যবসায়ী হতে পারবেন। যেখানে আর্টিকেল
রাইটিং শেখানো হয় আপনি চাইলে আর্টিকেল রাইটিং এর কোর্স কমপ্লিট করে আর্টিকেল
রাইটিং ভালোভাবে শেখার পরে নিজের আর্টিকেল অন্যের কাছে বিক্রি করার মাধ্যমেও
ব্যবসায়ী হতে পারবেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে চাহিদা অধিক বেশি।
আপনি চাইলে একজন আর্টিকেল রাইটার বা কনটেন্ট রাইডার হয়ে নিজে আর্টিকেল রেখে
অন্যের কাছে বিক্রি করার মাধ্যমে ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন। এবং এক্ষেত্রে
আপনার কোন ধরনের পুঁজির প্রয়োজন হয় না আপনার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আপনি টাকা
আয় করতে পারবেন।
মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপের ব্যবসা তৈরি
আপনি চাইলেই অল্প পুজিতে ব্যবসা করার মাধ্যমে অধিক পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন সে
ক্ষেত্রে মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ তৈরি করে আপনি ব্যবসায়ী হতে পারেন। মেকানিক্যাল
ওয়ার্কশপ তৈরি করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র যন্ত্রপাতি ঠিক করার জন্য
প্রয়োজনীয় কিছু হাতিয়ার।
আর এই অল্প পরিমাণে পুঁজি দিয়েই আপনি একটি বড় ওয়ার্কশপ তৈরি করতে পারবেন।
বর্তমানে মোটরসাইকেল গাড়ি এগুলো হোয়াটসঅ্যাপ তৈরি করে অনেকে ব্যবসা করছে। আপনিও
চাইলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবসায়ী হতে পারেন।
টেলার্স এর দোকান তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা
ছেলে হোক বা মেয়ে হোক ঠিক আছে দোকান তৈরি করে ব্যবসা যে কেউ করতে পারে। বিভিন্ন
ধরনের জামা কাপড় বানাতে দেয় এক্ষেত্রে আপনি যদি টেইলার্সের কাজে দক্ষ হন তাহলে
আপনি একটি দোকান সেখানে টেলার্স এর ব্যবসা করতে পারবেন। টেনেছে বাসা পাশাপাশি
আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টও বিক্রি করতে পারবেন সে দোকানের মাধ্যমে।
আপনি যদি কাপড় বিক্রি করেন এক্ষেত্রে মানুষ আপনার দোকান থেকে কাপড় নিকিনে আপনার
কাছে বানাতে দেবে এতে আপনি আরও বেশি লাভবান হবেন। তাহলে আপনি যদি টেইলার্সের কাজে
দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আজই আপনি ব্যবসাটি শুরু করার উদ্যোগ নিতে পারেন।
বাচ্চাদের খেলনা বা গেমিং স্টোর তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা
আপনি চাইলে বাচ্চাদের জন্য খেলনার দোকান দিয়ে বা গেমিং স্টোর তৈরির মাধ্যমে
ব্যবসা করতে পারবেন। বর্তমানে বাচ্চাদের খেলাধুলার প্রতি আকর্ষণ বেশী এক্ষেত্রে
আপনি একটি খেলনার দোকান তৈরি করতে পারেন । আবার বিভিন্ন ধরনের গেমিং উপাদান
গুলো সংযুক্ত করে একটি গেমিং স্টোর তৈরি করতে পারবেন।
গেমিং স্টোর তৈরি করার মাধ্যমে যেমন বাচ্চারা আপনার স্টোরে খেলার জন্য আসবে তেমনি
বড়রাও সেই গেমিং স্টোর এর জন্য আপনার দোকানে আসবে এক্ষেত্রে আপনার একটি সফল
ব্যবসায়ী হতে পারবেন। যদি অল্প পুজিতে ব্যবসা করার মন মানসিকতা আপনার থাকে তাহলে
আপনি গেমিং স্টোর বা বাচ্চাদের খেলনার স্টোর করতে পারেন।
পার্লার বা বিউটিশিয়ান এর ব্যবসা তৈরি
পার্লার বা বিউটিশিয়ান এর ব্যবসার কদর বর্তমানে অধিক এবং ভবিষ্যতেও এই কদর
আরো বাড়বে। তাই আপনি যদি পার্লার বা বিউটিশিয়ানের যেকোনো কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন
এক্ষেত্রে আপনি একটি ছোট পার্লার তৈরি করুন এবং যার মাধ্যমে আপনি একজন পার্লার বা
বিউটিশিয়ানের ব্যবসায় সফল ব্যবসায়ী হতে পারবেন। শুধুমাত্র মেয়েরাই যে
পার্লারে যায় এমনটা নয় ছেলেরাও অনেক ক্ষেত্রে পার্লারে যাই
এক্ষেত্রে পার্লার বা বিউটিশিয়ান এর কাজের কদর বেশি। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের
অনুষ্ঠান হয় সেটা ছোট কিংবা বড় সব ক্ষেত্রে মানুষ পার্লারে সাজগোজ করতে পছন্দ
করে। তাই এ ব্যবসায় আপনি অধিক লাভজনক হতে পারবেন। সফল ব্যবসায় হতে হলে আগে শুরু
করার উদ্যোগ নিন পাল্লা রবিউশন এর ব্যবসা।
ক্যান্টিন বা খাবার হোটেলের ব্যবসা
আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের স্কুল-কলেজের সামনে বা ভার্সিটির ক্যাম্পাসে ছোটখাটো
ক্যান্টিন বা খাবার হোটেলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কারণ স্কুল কলেজে
ছাত্রছাত্রীরা অধিক সময় পর্যন্ত সেখানে থাকে যার ফলে তারা দুপুরের খাবার খাওয়ার
জন্য ক্যান্টিন বা খাবার হোটেলের উপর নির্ভরশীল হয়।
ভার্সিটির ক্যাম্পাসে ছোটখাটো খাবার হোটেল বা ক্যান্টিন তৈরি করার মাধ্যমে লাভজনক
হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ ভার্সিটি ক্যাম্পাসে ছোটখাটো হোটেলে
শিক্ষার্থীরা দুপুরের খাবার গ্রহণ করে। অনেক সময় তারা বিভিন্ন ধরনের পার্টি বা
জন্মদিন পালন করার জন্য খাবার হোটেল বা ক্যান্টিনের উপনির্বশীল হয়।
অটোমোবাইল দোকান এর মাধ্যমে ব্যবসা তৈরি
অটোমোবাইলের দোকানের মাধ্যমে ব্যবসা তৈরি করে আপনি লাভজনক হতে পারবেন। এক্ষেত্রে
প্রথমে তো আপনাকে জানতে হবে মোবাইলের জন্য প্রয়োজনে সকল জিনিসপতি যেন আপনার
দোকানে মজুদ থাকে যেমন ধরেন : মোবাইলের ব্যাক কভার, মোবাইলের চার্জার, হেডফোন,
এছাড়া মোবাইল ঠিক করার যন্ত্রপাতি।
আপনি যদি মনে করেন আপনি অটো মোবাইল দোকান দিবেন এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মোবাইলের
খুঁটিনাটি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে জানতে হবে। কিভাবে মোবাইল ঠিক করে সে সম্পর্কে
একটি কোর্স করে নিতে হবে। বর্তমান সময়ে মোবাইল বা অটোমোবাইলের দোকানের ব্যবসা
লাভজনক। তাই আপনিও এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার জন্য।
কোচিং সেন্টার এর ব্যবসা তৈরি
কোচিং সেন্টারে ব্যবসা তৈরি সঠিক সম্মানজনক এবং লাভজনক দুটোই। আপনি যদি শিক্ষিত
হয়ে থাকেন এবং কোন কাজ না পান এক্ষেত্রে আপনি একটি কোচিং সেন্টার তৈরি করতে
পারেন। বর্তমান সময়ে বাচ্চারা কোচিং সেন্টারের উপর নির্ভরশীল বেশি। এক্ষেত্রে
আপনি এবং আপনার কিছু বন্ধুবান্ধবকে একটি কোচিং সেন্টার এর ব্যবসা তৈরি করতে
পারেন।
কোচিং সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি হয় এবং খুব ভালোভাবে পড়াতে পারেন
তাহলে আপনি খুব সহজেই পরিচিত লাভ করবেন এবং আপনার কোচিং সেন্টারে ব্যবসাটি মায়ের
খুব বড় একটি ব্যবসায়ী পরিণত হবে।
হোম ডেলিভারি ব্যবসা তৈরি
হোম ডেলিভারির ব্যবসা করে অনেকেই ঘরে বসেই লাভজনক হচ্ছে এবং সফল ব্যবসায়ী হয়ে
উঠছে। বর্তমানে আপনারা বিভিন্ন ফেসবুক পেজ এ যখন ঢুকেন তখন সেখানে দেখেন বিভিন্ন
ধরনের খাবারের তৈরি করা হয়েছে সেগুলো হোম ডেলিভারী পেজ। আপনি চাইলেও বাসায় তৈরি
করা খাবার এর মাধ্যমে হোম ডেলিভারি ব্যবসা তৈরি করতে পারেন।
এক্ষেত্রে খুব কম পুঁজি ব্যবহার করে ব্যবসাটিতে অধিক লাভজনক হওয়া সম্ভব না থাকে।
তাই আপনারা সকলে আজই হোম ডেলিভারির ব্যবসা তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে
পারেন।
অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার ধারণা সম্পর্কে আমার মতামত
বর্তমানের চাকরির অবস্থা আমাদের দেশে খুবই খারাপ। পড়াশোনা করেও অনেকেই চাকরি
পায় না। চাকরির জন্য অপেক্ষা না করেন নিজে একটি ব্যবসা তৈরি করার চেষ্টা করে
আপনারা সকলেই সফল হতে পারবেন। খুব কম পরিমাণে পুঁজি ব্যবহার করে আপনারাও উপরে
উল্লেখিত ২৫টি উপায়ে ব্যবসা করে সফল ব্যবসায়ী হতে পারবেন।
রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url