স্তন ক্যান্সার হওয়ার কারণ কি ,লক্ষন কি ও প্রতিকার কিভাবে করবো

প্রতিনিয়ত আমদের দেশে কান্সার রোগীদের সংখ্যা বারছে। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক মানুষ এখনও কান্সার সম্পর্কে সচেতন নয় ।যার কারন এ তারা কান্সার এর লক্ষণ গুলো বুঝতে পারে না। 

স্তন ক্যান্সার হওয়ার কারণ

আমি নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি  অন্যদেরকেও সচেতন করার লক্ষে কান্সার সম্পর্কিত কিছু গুরুত্ব পুন বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরতে ছাই।আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ পরবেন

 স্তন ক্যান্সার হওয়ার কারণ 

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে স্তনের মধ্যে কিছু কিছু থাকে যেগুলোর অসাধারণ বৃদ্ধিতটাই প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার পরিণত হয়। স্তন ক্যান্সার যেকোন বয়সের জন্য হতে পারে তবে মধ্যমণি থেকে শেষ বয়স পর্যন্ত বেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। প্রতি আট জনের মধ্যে একজন মেয়ের বেস্ট ক্যান্সারের সময় পোনা থাকে। বর্তমান সময় বেস্ট ক্যান্সারের আধিক্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। 

বেস্ট ক্যান্সার নিয়ে অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই যখন দেখা যায়যারা বেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে জানেন এবং উপলক্ষণ গুলো সম্পর্কে অবহিত রয়েছে কিন্তু তারা সততা না হওয়ার কারণে এই বিষয়গুলোকে এড়িয়ে যাই। যেমন আমাদের মধ্যে অনেকেরই দেখতে চাকার মত বা ছোট টিউমারের মত কিছু অনুভব হলেও সেটা ব্যথা না থাকার কারণে তারা এড়িয়ে যাই। আর এটাই হচ্ছে আমাদের সবথেকে বড় ভুল। কারণ প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার কোন লক্ষণ নিয়ে প্রকাশ পায় না এবং এবং সেটাই ধীরে ধীরে যখন ক্যান্সারে পরিণত হয় তখন তার প্রকাশ পায়। 

নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। আমাদের দেশে প্রায় ১লাখের মধ্যে ১১৪জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আমাদের দেশে কেন আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। ২০২৩ সালের পহেলা জুলাই থেকে শুরু করে ২৪ সালে ২৩শে জুন পর্যন্ত গবেষণায় দেখা গিয়েছে ২৭হাজার  ৭৮৭টি বাড়িতে থাকা মোট ১১৬ হাজার ৩৪৭জন কে নিবন্ধনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিবন্ধনকারীর মধ্যে রোগীর সংখ্যা ১২৭ জন আমরা যদি হারের দিক  থেকে হিসাব করি  তাহলে দেখা যায় প্রতি এক লাখে 120 জন আক্রান্ত। ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী নারী মা পুরুষের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি পাওয়া যায়। 

স্তন ক্যান্সার কেন হয় 

স্তন ক্যান্সারে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। একটু আলোচনা করি। 
  • তন ক্যান্সার হওয়ার মধ্যে প্রথম কারণ হচ্ছে ওজন বেশি থাকা। যাদের মধ্যে ওজন বেশি থাকে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর স্থান ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা তাদের বেশি। আপনাদের অনেকের মধ্যে প্রশ্ন আসতে পারে যে শরীরের ওজন বেশি হওয়ার সাথে স্তন ক্যান্সারের সম্পর্কটা কি আসলে শরীরের ওজন বেশি হওয়া বা মোটা ভাব হওয়ার মানে শরীরের চর্বি থাকা আর আমাদের শরীরের চর্বি ইস্ট্রোজেন নামক এক ধরনের হরমোন তৈরি করে। হরমোন স্তন ক্যান্সারে ঝুঁকে বাড়িয়ে দেয় বলে গবেষকরা ধারনা করেছেন। 
  • শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো। গবেষণায় দেখা গেছে শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ালে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বাড়ে। শিশু যেমন পুষ্টি বাদন গুলো পাবে এবং পাশাপাশি আপনারা স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। 
  • তান ক্যান্সার হওয়ার তিন নাম্বার পয়েন্টে হচ্ছে ধূমপান ও মদপান। এ দুটি অভ্যাস স্তন  ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে আপনি যদি নিজে ধূমপান না করেন কিন্তু আপনার পরিবারের কেউ ধূমপান করে আপনার স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি  অনেকটা বেড়ে যায়। 
  • ক্যান্সার হওয়ার চার নম্বর অপশন আমরা বলতে পারি ব্যায়াম শরীর যদি কোনরকম কর্মক্ষম না হয় বা সেরকম  পরিশ্রম করা না হয় তাহলে প্রতিদিন অন্তত ২ ঘন্টা ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটা আপনার শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকিটা কমে আসবে। 
  • পাঁচ নাম্বার অপশনে আমরা বলতে পারি জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি। কিছু জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিটা অনেকটা বাড়িয়ে তোলে। যেমন কমাইন্ড পিল। এপিলটা খাওয়া বন্ধ করে দিলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিতে সময়ের সাথে সাথে কমে আসে। 
  • অসুস্থ হলে রোগবাদের জন্য আমরা অনেকেই এক্সে পরীক্ষা বা সিটি স্ক্যান করে থাকি। তবে এই পরীক্ষাগুলো সামান্য পরিমাণে স্থান ক্যান্সারে যোগ দিতে পারিনি। তবে এই পরীক্ষাগুলোর উপকার রয়েছে এগুলোর মাধ্যমে আমাদের রোগ শনাক্ত হয় শরীরের। 

স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ কি কি 

স্তন ক্যান্সারটা আমাদের দেশের নারীদের মধ্যে সবথেকে বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই আমার মনে হয় এই বিষয়টি নিয়ে সকলেরই জানাটা প্রয়োজন। কোন লক্ষণ গুলো দেখলে আপনারা স্তন ক্যান্সার বুঝতে পারবেন সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। 
  •  ক্যান্সার হওয়ার মধ্যে প্রথম কারণ হচ্ছে ওজন  মধ্যে বিশেষ কোনো পরিবর্তন দেখলেই আপনাকে স্তন ক্যান্সারে কথাটি কে ভাবতে হবে। মোট সাতটা পয়েন্ট আমি বিস্তারিত আলোচনা করব এ বিষয় নিয়ে। যাতে আপনার সহজে লক্ষণগুলোকে বুঝতে পারেন। 
  • তো অনেক চাকার মত হওয়া। স্তনের কোন অংশ ফুলে যাওয়া। এমন কিছু পরিলক্ষিত হলেই আপনার ডক্টরে পরামর্শ নিবেন। ডাক্তার আপনার স্তন পরীক্ষা করে সঠিক উপদেশ দিবেন। 
  • দ্বিতীয়ত স্তনের চামড়ায় পরিবর্তন আসা। স্তনের চামড়া কুচকে যাওয়া বা রেস ও  চুলকানি হওয়া। বাস স্তনের চামড়াটা দেখতে কমলার খোসার মতো হতে পারে। । 
  • চতুর্থ বিষয় হচ্ছে স্তনের বোটা থেকে তরল কিছু নির্গত হওয়া। যেমন রক্ত বা পুঁজ জাতীয় কিছু। তবে এটি স্তন ক্যান্সারের একটি ছোট্ট সম্ভাবনা। 
  • স্তনের বোটা বা ভোটার আশেপাশের চামড়ার পরিবর্তন। যেমন রেশ বা ফুসকুনি হতে পারে। লালচে ধরেন হয়ে যেতে পারে অথবা চুলকাতে পারে। এগুলো অধিকও খেয়াল রাখতে হবে কারণ এগুলো ক্যান্সারের লক্ষণ। 
  • ধানের ভোটার আকারের অবস্থানের পরিবর্তন আসা। যেমন স্তনের গোটা ভেতরের দিকে চলে যেতে পারে। এইতো ক্যান্সারের একটি লক্ষণ। 
  • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বগলে বা ঘাড়ের আশেপাশে চাকা হওয়া ও ফোলা। এটা অনেকের খেয়াল করেন না। এটাও ক্যান্সার হওয়ার একটি লক্ষণ। 

পুরুষের স্তন ক্যান্সার হওয়ার লক্ষণ 

আমাদের দেশে প্রচলিত যে শুধু মেয়েদের স্তন ক্যান্সার হয়। তবে না পুরুষের স্তন ক্যান্সার হতে পারে। তবে পুরুষের বেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কম থাকে। তবে হবে না এমনটা নয়। নারীদের যদি ৯৮%হয় তবে পুরুষের ২% হবে। এবং নারীদের মতোই পুরুষদেরও চিকিৎসাও একই। 

তবে পুরুষের বেস্ট ক্যান্সার হলে মৃত্যু ঝুঁকিতে অনেক বেশি থাকে। পুরুষের বেস্ট মেয়েদের মতো আকৃতির না থাকায় তাদের বেস্টের নিচেই থাকে লাঞ্চ যা বেস্ট ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে লান্স  আক্রমণ করে এর ফলে মৃত ঝুকি টা বেড়ে যায়। এবং সেটির লান্স ক্যান্সারের রূপ নাই। 

মহিলাদের মাথায় স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো পুরুষদের ক্ষেত্রেও একই রকম। মহিলাদের ক্ষেত্রে ক্যান্সার টা একটু সময় লাগে। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে ফ্রন্ট ক্যান্সার শরীরের ছড়িয়ে পড়ে খুব দ্রুত। যার ফলে একদিক থেকে তন ক্যান্সারে পুরুষের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যেমন অনেক কম তেমনি আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝুঁকিটাও অনেক বেশি। 

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ 

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ গুলো অনেক হতে পারে তবে আমি আজকে যেই কারণগুলো উল্লেখ করবো সেই কারণগুলো স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা বাড়িয়ে তোলে। আশা করি আপনারা সকলে আমার লেখাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং এই সকল কারণ গুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। চলুন জেনে আসি স্তন ক্যান্সারে ঝুঁকের কারণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। 

স্তন ক্যান্সার হওয়ার কারণ

  • স্তন ক্যান্সারের ওপর বয়সের প্রভাব : বয়স বাড়ার সাথে সাথেই অনেক মানুষের মধ্যে স্তন  ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিটা অনেকটাই বেড়ে যায়। 
  • জিনগত কারণ : মানুষের জিনের মধ্যে যেহেতু  পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিন বিদ্যমান থাকে এক্ষেত্রে যদি তাদের পরিবারের কারো ক্যান্সার হয় বা স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত থাকে তাহলে এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিরও স্তন  ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা  অনেক গুনে বেড়ে যায়। 
  • Tp53: এই জিনটির মাধ্যমে মানুষের দেহে স্তন ক্যান্সারের আক্রান্ত ঝুঁকিটির বৃদ্ধি পায়। 
  • স্তনের  টিস্যুর ঘনত্ব : যদি কোন ব্যক্তির স্তনের টিসুর ঘনত্ব বেশি হয় এক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিটি বেশি থাকে। 
  • শারীরিক ওজন : শরীরের ওজন যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় এক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত শরীরের ওজন থাকলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবথেকে বেশি থাকে। 
  • অ্যালকোহল সেবন : যে সকল ব্যক্তি খুব নিম্নমানের অ্যালকোহল সেবন করে থাকে তারা স্তন ক্যান্সারে বা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় বেশি পরিমাণে। 
  • বিকিরণের প্রয়োগ : যখন কারো শরীরে কোন ধরনের রোগ হয় এবং সেখানে যদি উচ্চ প্রয়োগ করা হয় সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে এসে স্থানের ক্যান্সার হওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। 
  • হরমোন এর জন্য : গবেষণা করে বেশি টাকা গিয়েছে যে যারা গর্ভনিরোধ বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে যেমন ইঞ্জেকশন বা ওষুধ এক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিটি বেশি বেড়ে যায়। 

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করার উপায় 

প্রতিরোধ করার উপায় থেকে আমাদেরকে অবশ্যই দৃষ্টি দিতে হবে কেননা চিকিৎসা করেও অনেক সময় ক্যান্সার ভালো হয় না আমরা সকলেই জানি ক্যান্সারের কোন কার্যকরী ঔষধ এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি যার কারণে এক্ষেত্রে আমাদেরকে আগে থেকেই এটি খেয়াল রাখতে হবে যেন আমাদের শরীরে ক্যান্সার রোগ বাসা বাঁধতে না পারে এজন্য আমাকে অবশ্যই সাবধানতা ভাবে চলতে হবে এবং কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

এক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আমাদের মধ্যে যারা রয়েছে অ্যালকোহল সেবন করে তাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তারা যেন অ্যালকোহন সেবন করে বা একদম অ্যালকোহল সেবন করা থেকে বিরত থাকে কারণ অ্যালকোহল আমাদের শরীরের জন্য কোনোভাবেই ভালো নাই শুধুমাত্র ক্যান্সার রোগ সৃষ্টি হয় তাহলে অ্যালকোহলের ফলে আমাদের লিভার নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি ও নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমনকি আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশগুলো বিকল্প হয়ে যেতে পারে। অ্যালকোহল সীমিত পরিবারের সেবন করতে হবে 

আমাদেরকে আমাদের খাদ্য অভ্যাসে প্রচুর পরিমাণে তাজা ফল ও শাক সবজি রাখতে হবে কারণ এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং ফল শাকসবজি থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল ও আইরন উপাদান পেয়ে থাকব যা আমাদেরকে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহযোগিতা করবে। 

আমাদের প্রতিদিনকার রুটিনের মধ্যে আমাদেরকে অবশ্যই ব্যায়াম রাখতে হবে আমাদের মধ্যে যা অনেকের রয়েছে যারা বাড়িতে বসেই কাজ করে বা বাড়ি থেকে সেরকম বের হওয়া হয় না এক্ষেত্রে তারা বাসায় বসে থেকে অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে কারণ বাসায় বসে থাকলে তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধবে। 


আমাদের সকলের উচিত আমাদের শরীরের একটি স্বাভাবিক ওজন নিয়ন্ত্রণ করে চলা ওজন আমাদের দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ওজন হলে আমাদের যেমন চলাফেরের অসুবিধা হয় তেমনি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। এক্ষেত্রে আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর তাই আমাদেরকে অবশ্যই একটি মাঝারি রকমের ওজন মেন্টেন করে চলতে হয় ।

স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা 

আমাদের দেশে যেহেতু উন্নত মানের চিকিৎসা এখনো  সেই রকম ভাবে চালু হয়নি। অনেকেরই মনে সংশয় থাকে যে বেস্ট ক্যান্সার হলে কি রকম চিকিৎসা নিতে পারবে তারা। যখন তারা স্তনে  মধ্যে সাধারণত কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করে তখন ডক্টরের কাছেন্সা
  • প্রথমত যখন আমরা ডক্টরের কাছে যাই তখন ডাক্তার আমাদের রোগের ইতিহাসটি পরীক্ষা করে। তারপরে ধাপে ধাপে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। 
  • স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রথমে ডক্টররা  একটি মেনোগ্রাম বা আল্ট্রাসনোগ্রাফি দায়। এরপরে ক্যান্সারটা ঠিক কোন অবস্থানে আছে সেটি পরীক্ষা করে। যদি বগলে ক্যান্সার টি ছড়িয়ে যায় তবে সেখানেও ডাক্তাররা বায়োস্কিপ করে। 
  • যখন পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ক্যান্সার ধরা পড়ে তখন সে অনুযায়ী ডাক্তাররা আরো কিছু পরীক্ষা দেয়। এবং সে অনুযায়ী ডক্টররা সিদ্ধান্ত নেয় প্রকৃতির প্রথমে সার্জারি নাকি কেমোথেরাপি দেবে। বগলে ক্যান্সার  টি   গিয়েছে  কিনা এটার উপরেও চিকিৎসাটা নির্ভর করে। 
  • যদি কেউ কেমো থেরাপি নিয়ে আসি তাহলে গ্রহণ করে। তাহলে ডাক্তাররা আক্রান্ত স্থানে হাই ডোমার্ক দিয়ে কেমোথেরাপির জন্য পাঠিয়ে দেয়। ৮ টা বা ৬ কেমোথেরাপি দেওয়ার পরে সার্জারির জন্য নেয়া হয় টা।
  • আর যদি ছড়িয়ে যাই বা ক্যান্সারের সময়কালটা বেশি হয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি না দিয়ে সরাসরি সার্জারি করা হয় এবং ক্যান্সার কোষ টিকে  আলাদা করে দেয়া হয় শরীর থেকে। 

স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে লেখক এর মতামত 

স্তন ক্যান্সার নিয়ে আমাদের সকলেরই খুবই সচেতন থাকা উচিত বর্তমান সময়ের দিকে দৃষ্টি রাখলে আমরা দেখতে পাব বর্তমানে পরিবারের স্তন ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রধান কারণ গুলো হচ্ছে আমাদের খাদ্য অভ্যাস। আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের খাদ্য অভ্যাসে রাখতে হবে এবং প্রতিদিন ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের শরীরকে সতেজ রাখতে হবে। ওপরে আলোচনার মধ্যে আমি আপনাদের সামনে স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় স্তন ক্যান্সারের কারণ এবং স্তন ক্যান্সারের প্রতিরোধ ও লক্ষণ সম্পর্কে তুলে ধরেছি আশা করি এগুলো আপনাদের সকলের জন্য উপকারী হবে। আমার লেখাটির মধ্যে কোন ভুল থাকলে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url