কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা সকলেই জানি যে কিসমিস হলো এক জাতীয় শুকনো আঙ্গুর। কিসমিস আমাদের বিশ্বের বিভিন্ন স্থান উৎপাদন করা হয়। কিসমিসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা এবং সামান্য কিছু অপকারিতা।
যদি আমরা কিসমিস খাই তাহলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাটি দূর হবে। কিসমিস ভিজিয়ে রেখে খাওয়া বেশি উপকারী না কি শুকনো খাওয়াবে সে উপকারী? এ বিষয়ে আজকে আপনাদেরকে জানিয়ে দেব। তো চলুন জেনে আসি কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য।
- কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
- কিসমিস খাওয়ার কিছু অপকারিতা
- কিসমিস খাওয়ার কিছু নিয়ম
- সকালবেলা কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
- শুকনো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
- কিসমিসের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আমার মতামত
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
- আপনাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা ওজনের সমস্যার জন্য খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত রয়েছেন এবং আপনারা আপনাদের দেহের ওজন বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন এ ক্ষেত্রে আপনারা আপনাদের খাদ্য অভ্যাসে কিসমিস যুক্ত করুন। কিসমিস কিন্তু আপনাদের শরীরে কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি করে না বরং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবে। কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানান
- কিসমিসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম আমাদের উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে।
- কিসমিসের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে কেটেচিন। আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর যৌগ গঠন করে যার মাধ্যমে আমাদের দেহে ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- কিসমিসের মতবি তোমার রয়েছে প্রতি পরিমানে ভিটামিন , খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুবনে বৃদ্ধি করে।
- প্রতিনিয়ত যদি আপনাদের খাদ্যাভসের মধ্যে আপনারা কিসমিস রাখেন বা ঘুমোতে যাওয়ার আগে যদি ভিজিয়ে রাখা কিসমিস খেয়ে ঘুমাতে যান এক্ষেত্রে আপনাদের ঘুমের সমস্যা দূর হবে এবং ঘুম হবে প্রশান্তির।
কিসমিস খাওয়ার কিছু অপকারিতা
- অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা হতে পারে এক্ষেত্রে আমি বলব যাদের শরীরে অ্যালার্জির কোন ধরনের সমস্যা রয়েছে পরিমাণে কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
- কিসমিসের মধ্যে রয়েছে গ্লুকোজ তাই এটি আমাদের ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই মারাত্মক একটি বিষয় ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই কিসমিস খাওয়ার পূর্বে খেয়াল রাখতে হবে যাতে ডায়াবেটিস রোগীদের কিসমিস বেশি পরিমাণে না খাওয়া হয় ডায়াবেটিস পেটে যায় ঝুঁকিটি বেড়ে যাই।
- যারা শরীরের ওজন কমাতে চাই তারা কখনো কিছুই খাবেন না কারণ কিসমিস আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে। কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন।
- অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে হজমের কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য আমরা নির্দিষ্ট পরিমাণে কিসমিস খাব এবং অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকবো।
কিসমিস খাওয়ার কিছু নিয়ম
- কিসমিস আপনারা যেকোনো দুগ্ধ জাতীয় খাদ্যের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন যেমন পায়েস , সেমাই , কোরমা এগুলোর মধ্যে কিসমিস যুক্ত করলে খাদ্যের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে। এবং খাবারের স্বাদ ও দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে
- যদিও কিসমিস কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় তবুও বেশি ভালো হয় যদি কিসমিসকে পানিতে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যায় তাহলে এদের উপকারিতা বেশি পাওয়া সম্ভবনা থাকে।
- কিসমিস ভিজিয়ে রেখে খাবেন এবং ভিজিয়ে রাখা পানিতেও যদি খান তাহলে বিথি বাবা এবং শরীরের শক্তি যোগান হবে। আমাদের প্রতিদিনের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই শরীরের শক্তি প্রয়োজন হবে যা আমাদের কিডনির থেকে আমরা পেয়ে থাকি।
সকালবেলা কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
সকালবেলা কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। সকালবেলা আমাদের শরীর সম্পন্ন জিরো থেকে শুরু হয় এবং সারাদিনের খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের শরীরের শক্তি যোগান হয়। যদি সকালবেলা কিসমিস খায় এক্ষেত্রে আমাদের শরীরে সারাদিনের শক্তি যোগান হবে। সকালবেলা কিসমিস খেলেও আমাদের দেহের পরিপাকতন্ত্র ঠিক থাকবে এক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কিসমিস সহযোগিতা করবে। কিসমিস আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কিছু করার ফলে আমাদের ত্বক অত্যন্ত মসৃণ হয় এবং উজ্জ্বল হয়।
- সকালবেলা কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের হার্ট ভালো থাকবে।
- কিসের ভিজিয়ে রাখার পর যদি সে ভিজিয়ে রাখানো কিসমিস এবং ওই পানিটি খাওয়া যায় এতে আমাদের রক্ত পরিষ্কার হবে।
- নিয়ম করে প্রতিদিন কিসমিস খেলে আমাদের দেহের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
- প্রতিদিন খাদ্যাভেসে কিসমিস রাখার মাধ্যমে আমাদের হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণ করবে কারণ কিসমিস হজমে সহযোগিতা করে।
- কিসমিস আমাদের দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে যার মাধ্যমে আমাদের দেহে অতিরিক্ত খারাপ কলেস্টরল ধ্বংস হয়ে যায়।
- কিসমিসের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভাবে ভূমিকা পালন করে।
- কিসমিস ভেজে রাখা পানি আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। কিসের ভিজে রাখা পানি আমাদের লিভার পরিষ্কার রাখতে সহযোগিতা করে।
- ইসমিতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আমাদের দাঁত ও হারকে মজবুত করতে সহযোগিতা করে।
শুকনো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
- আমরা প্রতিদিন যে সকল কাজ করে থাকি তার জন্য আমাদের শরীরে শক্তির প্রয়োজন হয় শুকনো কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহে সে শক্তি সরবরাহ হবে।
- আমরা যেন কিসমিসের মধ্যে প্রথম ফাইবার রয়েছে যা আমাদের সহযোগিতা করবে এবং আমাদের পরিপাকতন্ত্র সঠিক কাজ করবে। আমাদের পরিবর্তনটা যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
- শুকনো কিসমিসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আমাদের দেহ মজবুত করতে সহযোগিতা করে। ক্যালসিয়ামের ফলে আমাদের হাড়ে ক্যালসিয়াম সরবরাহ হবে যার ফলে কিসমিস টি বয়স্ক মানুষের জন্য অধিক কার্যকরী।
- শুকনো কিসমিসের মাধ্যমে আমরা ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করতে পারব। বয়স্ক মানুষদের মধ্যে ক্যান্সারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যার কারণে তারা চাইলে শুকনো কিসমিস ব্যবহার করতে পারে এতে ক্যান্সার ও প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে
- কিসমিসের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিজেন যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে। প্রতিনিয়ত আমাদের খাদ্য তালিকা কিসমিস রাখলে আমরা আমাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারব
- এছাড়াও প্রতিদিন নিয়ম করে শুকনো কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। তাদের ওজনের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন তাদের খাদ্য কিসমিস রাখতে পারে সঠিক পরিমাণে।
রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url