সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা

শীতকালীন ফল জলপাই এর স্বাস্থ্য উপকারিতা এত বেশি যে আপনি জানলে অবাক হবেন। ছোট ফলের মধ্যে রয়েছে কয়েক রকম রোগের সমাধান। জলপাইক কোন কোন রোগ থেকে আপনাকে বাঁচাবে এবং সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা সম্বন্ধে জানতে লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল। 

সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা

 সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা 

সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা অপরিসীম। আমরা জানি জলপাই শীতকালীন একটি ফল। শীতকালীন টকটাতেও সকল ফলের মধ্যে জলপাই অন্যতম।জলপাই গাছের ফুল শরৎকালে মসজিদ কালের মাঝে মাঝে সময় ফোটে। এবং জলপাই ফলের রং আমরা সকলেই জানি সবুজ এর কাছাকাছি কিছু একটা রং হয় তবে কালো রংয়ের জলপাইয়ে রয়েছে। জলপাই অনেকটা আমড়ার মতই। তবে আমরা একটু বড় হয় এবং জলপাই আকারে ছোট হয়। জয়পাল ফলের পাতলা আবরণ থাকে এবং ভেতরে একটি বীজ থাকে। 

জলপাই ফল সম্পর্কে আমরা অনেকে জেনে থাকি এবং জলপাইয়ের ফল আমাদের প্রিয় একটি খাবারের মধ্যে অন্যতম শীতকালীন। তবে জলপাই ফলে যে এতগুলো বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকতে পারে সেটা হয়তোবা আপনারা কল্পনা করেন নাই আজকে আপনাদেরকে সে বিষয়ে জানিয়ে দেব। 

জলবা ফলের মত রয়েছে মানব দেহের প্রয়োজনীয় বেশ কিছু ভিটামিন,  আয়রন,  ফ্যাট ইত্যাদি। এগুলো মানব দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলপাই খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ক্যান্সার ডায়াবেটিস সহ অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে জলপাই সক্ষম। তাই জলপাই হোক বা কাঁচা শীতকালীন এই ফলটিকে মতেই ছাড় দেব না।

সিদ্ধ জলপাই এর মধ্যে কোন কোন ভিটামিন বিদ্যমান 

সিদ্ধ জলপাই এর মধ্যে কোন কোন ভিটামিন বিদ্যমান এ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে করতে হবে। জলপাই সিদ্ধ হোক অথবা কাঁচা জলপাই পুষ্টিগণের কোনো পরিবর্তন হয় না। তারমানে চল ভাই যেভাবে খায় না কেন এর পুষ্টিগন গুলো শরীরে অধিক কার্যকরী  করি হবে। 

তবে সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা যেমন বেশি তেমনি স্বাদেও মজাদার। কাছে তোর পেকে তো অনেকেরই সমস্যা হয় অতিরিক্ত টকের কারণে তো জলপাই
গুলিকে যদি  আমরা একটু সিদ্ধ করে খাই তাহলে সুস্বাদু লাগে আমরা এর পুষ্টিগুণ গুলো পেয়ে যাব। 

জলপাই একটি ছোট ফল কিন্তু শীতকালীন পুষ্টি তার ফল গুলোর মধ্যে অন্যতম। জলপাইজের খুব বয়স্ক রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ছোট বাচ্চাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারমানে বোঝা যায় জলপাই যে কোন বয়সের মানুষদেরই দেহে পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে প্রয়োজনে ভিটামিন,  আয়রন সরবরাহ করে। তো চলুন জেনে নি শীতের দরকার মতে কোন কোন ভিটামিন বিদ্যমান রয়েছে। 
  • জলপাইয়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে। ভিটামিন ই আমাদের শরীরের রেডিক্যাল ধ্বংস করে এবং শরীরের ওজন কমাতে সহযোগিতা করে। 
  • মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ আমাদের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। 
  • জলপাইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আমরা হয়তোবা জানি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হওয়া বয়স্কদের জন্য এবং বাচ্চাদের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ তাই বয়স্ক বাচ্চাদের জন্য জলপাই গুরুত্বপূর্ণ। 
  • গল্পের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন।আইরন রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ সচল রাখে। যদি রক্তে অশ্লীল সরবরাহ ওকে তাহলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। আয়রন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 
  • জলপাইয়ের মধ্যে মনসাচুুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যার শরীরের চর্বি কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করে। 
  • জলপাইয়ের মধ্যে রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণকারী পদার্থ বিদ্যমান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের রক্তে নিয়ন্ত্রণের সহযোগিতা করে।

জলপাই কোন কোন রোগ প্রতিরোধ করে  

জলপাই কোন কোন রোগ প্রতিরোধ করে এ সম্পর্কে আজকে জানিয়ে দেবো আপনাদের। তবে এ রোগগুলো সম্পর্কে জানতে হলে আমার লেখাটি অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে। জলপাইর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি , ভিটামিন এ , ভিটামিন ই,  আয়রন  ইত্যাদি এগুলো তারা আমরা ধরনের মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা  সম্পর্কে জানতে হবে ।

যদি আপনারা জানতে পারেন একটি ছোট জলপাই এর মাধ্যমে আমরা কত বড় বড় রোগ থেকে বাঁচতে পারি তাহলে আমি জানি আপনারা কখনোই জলপাই কে আপনাদের খাদ্য তালিকা থেকে অন্তত শীতকালে কখনোই বাদ দেবেন না। তো চলুন জেনে আসি জলপাই খেলে কোন কোন রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়  

  • জলপাই  ক্যান্সার প্রতিরোধ  : জলপাইয়ের মধ্যে ভিটামিন ই থাকাই এটি ফ্রী রেডিক্যাল ধ্বংস করে যার ফলে আমাদের ওজন ঠিক থাকে। এবং ভিটামিন ই আমাদের দেহের অস্বাভাবিক কোষ গঠনে বাধা সৃষ্টি করে এতে করে আমরা ক্যান্সার রোগকে প্রতিহত করতে পারি।
  • হার্ট এর রোগ নিয়ন্ত্রণে জলপাই : আমরা জানি আমাদের দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্ট এটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। জল ভাইয়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
  • চোখের সকল সমস্যা দূর করতে জলপাই : ঢাকার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ আমরা সকলেই জানি চোখের জন্য খুব ভালো। তোকে বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রমণ, ফুলে যাওয়া, চোখের পাতা ইনফেকশন হওয়া, চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াব তোকে ছানি পড়া, ইত্যাদি সমস্যা প্রতিরোধ করতে জলপাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে জলপাই  : জলপাই আমাদের দেহের খাদ্যের স্বাভাবিক বিপাকে সহযোগিতা করে। বিপাক কাজ সঠিকভাবে হওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে জলপাই সাহায্য করে। 
  • ডায়াবেটিকস প্রতিরোধে জলপাই : জলপাই মানবদেহে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে। ফলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এবং যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জলপাই সাহায্য করে।
  • পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধে জলপাই : জলপাই যদি নিয়ম কারে খাওয়া যায় তাহলে গলব্লাডারের পিত্তকের স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সহযোগিতা করে। যার ফলে পিত্তথলিতে  পাথর হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

গর্ভবতীকালীন জলপাইয়ের উপকারিতা 

গর্ভবতীনের জলপাইয়ের উপকারিতা রয়েছে অধিক। কেননা গর্ভবতীর ক্ষেত্রে ভিটামিন সি জাতীয় খাবারগুলো প্রয়োজন হয় বাচ্চার সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে। গর্ভবতী মাকে অবশ্যই তার বাচ্চা এবং নিজের জন্য যে জিনিসগুলো ভালো সেগুলো নির্বাচন করতে হবে খাদ্য অভ্যাসের রাখার জন্য। চলুন জেনে আসি গর্ভবতীকালীন  সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা সম্পর্কে।

জলপাইকের সিজনাল ফল জলপাইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় একাধিক পুষ্টি পাতা। আসুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় জলপাইয়ের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সম্পর্কে। 
  • জলপাইয়ের মধ্যে বেশি ভিটামিন সি রয়েছে যা গর্ভকালীন মায়ের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় নিজের ত্বক ও নবজাতকের ত্বক ও চুলের জন্য।
  • গর্ভাবস্থায় দেহের রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে জলপাই খুব ভালো কাজ করে। জলপাই খেলে ক্ষতিকারক লাইপো প্রোটিন এর পরিমাণ কমে যায় এবং হৃদপিণ্ড ভালোভাবে কাজ করে। 
  • জলপাইয়ের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আশ্রয় পাকস্থলী বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং আস্ক খাবার সঠিকভাবে হজম করতে সহযোগিতা করে। 
  • কালো জলপাই প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে সবাই জানি যে গর্ভকালীন সময়ে আয়রন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রনের অভাব হলে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয় ফলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। এক্ষেত্রে জলপাই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে শরিলে আয়রন সরবরাহে। 
  • জলপাইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক এন্টি অক্সিডেন্ট ও রয়েছে যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

শিশুদের জন্য জলপাইয়ের উপকারিতা 

শিশুদের জন্য জলপাইয়ের উপকারিতা  জলপাইয়ের তেল বা অলিভ অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটা আমাদের ত্বকের জন্য এবং শরীরের জন্য খুবই ভালো। বিশেষ করে শিশুদের কোমল ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল খুবই ভালো কাজ করে। এই তেলটি শুধুমাত্র গ্রীষ্মকাল কিংবা শীতকালের মতো সীমাবদ্ধ নয় তেলটি যে কোন সময় শরীরে ব্যবহার করা যায়। চলুন জেনে নেই শিশুদের জন্য সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা। 

  • শিশুদের জন্য সব আবহাওয়ায় যোগ্য মেসাসতেল। নবজাতক শিশুদের শরীরে তেল মেসেজ করার প্রয়োজন হয় এতে করে অলিভ অয়েল তেলের তুলনা হয় না। 
  • জলপাই তেলের মধ্যে ময় মাস্টারাইজিং প্রোপার্টি রয়েছে। যা শিশুর ত্বককে অধিক কোমল করে তোল। 
  • ক্যাডল ক্যাপ নিরাময় তেলের তুলনা হয় না। শিশুদের মাথার উপরে ক্যাডলকাপ সমস্যাটি হতে দেখা দেয় তবে অলিভ অয়েল তারে তিনি আমায় করা যায় এটি কোন বড় সমস্যা নাই। 
  • শীতকালীন শিশুদের সবথেকে বড় সমস্যা হয় সর্দি কাশি। এই সর্দি কাশি নিরাময় করতে হলে শিশুর গলায় ও বুকে ভালোভাবে মেসেজ করে দিন। এতে শিশু স্বস্তিবোধ করবে। 
  • চুলের যত্ন অলিভ অয়েল তেল খুবই কার্যকরী। চুল সুন্দর ঝলমলে করতে ওরে বলতে এলে তুলনা হয় না। 

সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা

আমার মতামত 

আশা করি আপনারা সকলেই আমার লেখাটির দ্বারা উপকৃত হবেন। আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থেকে থাকলে আমাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। যে জিনিসগুলো আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি সেগুলো ১০০% সঠিক তথ্য থেকে সংগ্রহ করা। 

আমার মত শীতকালে কোন মতেই জলপাই খাওয়া কে বেরিয়ে চলে যাবে না। কারণ সেটাই তো সুযোগ বেশি বেশি জলপাই খাই এবং জলপাইয়ের মধ্যে থেকে সকল গুনাগুন আমাদের শরীরের কাজে লাগাই। 

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url