চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
দিন দিন চুল পড়ে যাচ্ছে এর করণীয় কি এবং কিভাবে চুল পড়া কমানো যায় তা আমি অনেকের মধ্যে দুশ্চিন্তা কাজ করে। আমার এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের চুল কালো ঘন এবং মজবুত করার উপায়সমূহ বলে দেব। যা আপনারা ঘরোয়া উপায়ে ব্যবহার করার মাধ্যমে চুল পড়া কমিয়ে আনতে পারবেন।
আমি যতগুলো উপায় বলে দেবো সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়ে
একেবারেই কমে যাবে। সাথে চুল ঘন এবং কাল হবে। সেজন্য দুশ্চিন্তা বন্ধ করে আমার
লেখাটি সম্পন্ন করার অনুরোধ রইলো। আশা করি আপনারা সকলে উপকৃত হবেন।
চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
আমাদের প্রতিনিয়ত জীবনে অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। চারপাশের দূষিত
আবহাওয়া দুশ্চিন্তা খাদ্য অভ্যাস পানি দূষণ ইত্যাদি কারণে আমাদের চুল পড়ার
সমস্যা হতে পারে। তবে এই বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। ঘরোয়া
উপায়ে এবং খাদ্যকোষ পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনারা চুল পড়া সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে
আনতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় চুল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে থাকার
কারণে তাদের মাথার চুল আরো বেশি পরিমাণে ঝরে যাই।
অনেকের দেখা যায় চুল পড়তে পড়তে এমন একটা অবস্থায় এসে দাঁড়ায় যে মাথায় চুল
নেই বললেই চলে। বাম আছে কোন এক অংশে চুলের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায় এবং জায়গাটা
ফাঁকা ফাঁকা লাগে। এ তো দেখতেও খারাপ লাগে। আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি তারা
বিভিন্ন ডক্টরের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হাই পাওয়ারের ঔষধ
খেয়ে চুল পড়ার বিষয়টি সমাধান করতে পারলেও পরবর্তীতে সে ওষুধটা শরীরের জন্য
ক্ষতি করতে পারে যা আমাদের ডক্টররাও বলে থাকেন।
আবার অনেকে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি তেল ব্যবহার করে মাথায় জা ব্রেনের ক্ষতি করতে
পারে। তাই আমি বলব ঔষধ ও ঔষধি তেল বাদে যেগুলো আমাদের দেহের ক্ষতি করতে পারে
সেগুলো বাদ দিয়ে আমরা কিভাবে ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমেই চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে
আনতে পারি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তো আজকে আপনাদের সে বিষয় সম্পর্কে আমি কিছু
ধারণা দেব।
চুল পড়ার কারণ কি কি হতে পারে
পেছনে বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে। কারণ চুল পড়াটা বর্তমানে কি খুবই কমন
বিষয়। গবেষণায় দেখা যায় ১০০% মানুষের মধ্যে প্রায় ৮৫% মানুষেরই চুল পড়া
সমস্যা রয়েছে। আমাদের দেশে আব্র জনিত কারণে চুল বলার সমস্যাটিতে অনেকেই ভুগছেন।
আমাদের দেশে যেহেতু বায়ু দূষণ বেশি যার জন্য চুল পড়ার সমস্যাটা বেড়ে যাচ্ছে।
শুধু বায়ু দূষণই নয় আমরা প্রতিদিন যে পানি দ্বারা গোসল করি সে পানিতেও দূষণের
সংখ্যা এতটা বেশি যে প্রতিদিন আমরা নিজেরাই আমাদের চুলের ক্ষতি করছি এমনটা লক্ষ্য
করা যায়।
এছাড়াও আমরা যেহেতু বাঙালি একটু অসুখ হলেই আমরা অধিক পাওয়ারের ওষুধ খেয়ে ফেলি
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই। এতে করে আমাদের শরীরের জন্য যেমন একটি দীর্ঘস্থায়ী
সমস্যা সৃষ্টি করছি সেই সাথে সাথে আমাদের চুলেরও ক্ষতি হচ্ছে। ওষুধের
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কারণে চুল পড়ার সমস্যাটি সৃষ্টি হয় এটা কি মূল কারণ
হিসেবে ধরে নেয়া যাই।
আরো অনেক কারণ হয়েছে খাদ্য অভ্যাস তুলে ঠিক মত যত্ন না নিয়ে বাইরে ধুলাবারি যার
কারণে চুলের সমস্যাটি বাড়ে। চুল খসখসে হয়ে যায় পরিবর্তন হয়ে যাই এবং চুল পড়া
শুরু হয়। এছাড়া আরো অনেক কারণ আছে চলুন সেগুলো সংক্ষিপ্তভাবে জেনে নিই।
- প্রথমত ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। ওষুধের পার্শ্ব প্রতিকের কারণে আমাদের চুল পড়া সমস্যাটি হয়।
- কেমোথেরাপিনের মাধ্যমে। যাদের ক্যান্সারের সমস্যা রয়েছে তারা কেমোথেরাপি নিলে তাদের মাথার চুল পড়ে যায় কারণ ক্যামো থেরাপি অনেক হাই দোষের ওষুধ যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুলটা পড়ে যায়।
- জেনেটিক কারণ। জেনেটিক কারণে অনেকের মধ্যে চুল পড়ার সমস্যাটি হতে পারে।
- ডায়েট আমাদের দেশে অনেকে ডায়েট করে থাকে কিন্তু ভুল ডায়েটের মাধ্যমে চুল পড়া সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- মানসিক চাপ। মানুষের চাপের কারণে সব থেকে বেশি চুল পড়ার সমস্যাটি দেখা গিয়েছে মানুষের মাঝে।
- অপুষ্টিজনিত কারণে। পুষ্টিকর খাবারের অভাবে অনেকের মধ্যে দিবেন সমস্যা দেখা গেল তার মধ্যে অন্যতম চুল পড়ার সমস্যা।
- মাথার তালুতে কম রক্ত চলাচল। মাথার তালুতে যখন কম রক্ত চলাচল করে তখন চুলের গোড়ায় শক্তি কমে যায় যার কারণে চুল পড়ে যায়।
- হরমোন জনিত কারণে। যাদের হরমোনের সমস্যা রয়েছে তাদের প্রধান কারণ হিসেবে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যাটি বেশি দেখা যায়।
- চুল পড়াটা যেহেতু আমাদের মধ্যে খুবই কম অনেক সমস্যা সেজন্য এই চুল পড়ার কারণগুলো সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা থাকাটা প্রয়োজন। প্রতিটি মানুষের চুল পড়ার পেছনে নির্দিষ্ট কিছু কারণ থাকে যেগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে আমাদের চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করবে।
চুল পড়ার সমস্যাটা কাদের বেশি
অনেকে মনে করে চুল পড়া সমস্যাটা হয়তোবা মেয়েদের বেশি থাকে। যদিও হ্যাঁ চুল
পড়া সমস্যা মেয়েদের বেশি থাকে কিন্তু ছেলেদেরও অনেক বেশি চুল পড়ে। কারণ তারা
দিনের বেশিরভাগ সময়ই বাইরে কাটায় এবং ধুলাবালির মধ্যে থাকে। যার কারণে তাদের
চুলে অনেক ধরনের ময়লা জমে। এবং তাদের চুল পড়াটা বাড়ে। গবেষণা দেখা গেছে
ছেলেদের মধ্যে মানুষের চিন্তা বেশি থাকার কারণে তাদের চুল পড়ার সমস্যাটা বৃদ্ধি
পেয়েছে। গবেষণা দেখা গেছে অধিকাংশ পুরুষ অল্প বয়সেই চুল পড়া সমস্যার বা চুল
পেকে যাওয়া সমস্যায় ভুগছেন। এর প্রধানত কারণ হচ্ছে মানসিক চাপ বা
দুশ্চিন্তা।
মেয়েদের চুল পড়ে ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি। মেয়েদের অধিক পরিশ্রমের কারণ এবং
মানসিক চুল পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই চুল পড়া সমস্যাটা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ
করা সম্ভব। মেয়ে এবং ছেলে ওভারে চুল পড়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সঠিক
পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিদিন কোন কোন অভ্যাসের কারণে চুল পড়ে
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিনিয়ত চুলের ক্ষতি করে এমন কোন কাজে আমাদের করা
উচিত নয়। এবং চুলের ক্ষতি করে এমন অভ্যাস গুলোকে আমাদের অবশ্যই এড়িয়ে চলতে
হবে। চুল পড়ে সেটা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না রাখে তাহলে আমরা কোনভাবেই সে
অভ্যাসগুলো থেকে দূরে থাকতে পারবো না। অভ্যাসগুলোকে আমাদের জীবন থেকে বাদ দিতে
পারব না। আমাদেরকে অবশ্যই কোন কোন অভ্যাসের কারণে চুল পড়ে সেগুলো সম্পর্কে জানতে
হবে।
আমি আমার জীবনে চুল পড়ার চারটি অভ্যাস সম্পর্কে জেনেছি এবং সেগুলো আমি নিজেও
এড়িয়ে চলি। তো চলুন আপনাদের সঙ্গে সেই চারটি অভ্যাস তুলে ধরে যেগুলো থেকে চুল
পড়ার সমস্যাটি হতে পারে।এবং অবশ্যই আপনারা এগুলো আপনাদের প্রতিদিনের অভ্যাস থেকে
এড়িয়ে চলবেন।
চুল পড়ে যে কারনে সেগুলো হল
- ভেজা চুল নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া। অনেকেই চুল ভেজা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে এতে চুলের গোরা পচে যায এবং চুল পড়া সমস্যাটি বৃদ্ধি পায়।
- রাবার ব্যান্ড দিয়ে চুল বাধা। কারন রাবার ব্যান্ডের চুল বাধলে সেখানে চুলটা ভেঙে যেতে পারে। এবং চুল পড়ে যায়। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানুন।
- খুব শক্ত করে চুল বাধা যাবে না। খুব শক্ত করে চুল ঝুটি পাতলে বা চুল বেঁধে রাখলে চুলে টান ধরে এবং সেখান থেকে চুল পড়ে যায়। ডাক্তারি ভাষায় যেটাকে বলা হয় Traction Alopecia তো আমরা সকলেই শক্ত করে চুল বাধা থেকে বিরত থাকবো।
- শ্যাম্পু ব্যবহার করে অবশ্যই চুলের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। কারণ শ্যাম্পু ব্যবহার করার পর চুল অনেকটা রুক্ষ হয়ে যায়। তোর শ্যাম্পু ব্যবহার করার পড়েছিল কানে শোনে ব্যবহার করলে চুলে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। এটা চুল পড়া কমে আসে।
কোন কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য পেশার কারণেও চুল পড়া সমস্যাটি হতে পারে। ভিটামিন গুলো
প্রয়োজন সেগুলো হতে ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন ডি ভিটামিন এ বিটামিন কে। এই
ভিটামিন গুলোর অভাবে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। তো প্রতিদিন আমাদের খাদ্যপ্রাশে
এই ভিটামিন গুলোকে অবশ্যই রাখতে হবে। তো চলুন এই ভিটামিন গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নেই।
- ভিটামিন এ ভিটামিন এর অভাবে মূলত চুল পড়া সমষ্টি দেখা দেয়। আমাদের প্রতিদিন খাদ্য অভ্যাস অবশ্যই ভিটামিন এ জাতীয় খাবার রাখতে হবে। এজাতীয় খাবারগুলো হল হলুদ ও সবুজ শাকসবজি , রঙিন ফলমূল, গাজর কুমড়ো পাকা পেঁপে ঘি মাখর মাছের তেল বা তেল যুক্ত মাছ মাংস ডিম ইত্যাদি।
- ভিটামিন বি চুলের সমস্যার জন্য আরো একটি দায় ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন বি। ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার গুলো হল গরুর কলিজা, সামুদ্রিক মাছ, বিভিন্ন ছোট মাছ, সিদ্ধ ডিম বা রান্না করা ডিম।,দুগ্ধ জাতীয় খাবার, মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানুন।
- ভিটামিন সি লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এছাড়াও রয়েছে টক জাতীয় খাবার যেমন আমলকি আমরা জল পাই তেতুল কামরাঙ্গা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি আমাদের চুলের জন্য প্রচুর উপকারী একটি উপাদান।
- চুলের সমস্যা দূর করার জন্য আরো একটি উপাদান হতে ভিটামিন ডি । ভিটামিন ডি সংখ্যা তো খাবার গুলো হচ্ছে সেলমন ফিস, গরুর কলিজা, ডিম, মাশরুম, কার্ড লিভার অয়েল, দুধ, পনির, দই, টুনা মাছ, এবং সূর্যের আলো।
- তো আমরা চুলের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিন সম্পর্কে জেনে নিয়েছি এবং সেগুলো আমরা কোন খাদ্য থেকে পেতে পারি সে সম্বন্ধেও জেনে নিয়েছি। এখন আমাদের করোনি আমাদের প্রতিনিয়ত খাদ্য মধ্যে এই সকল ভিটামিন রাখা। আমাদের স্বাস্থ্য এবং চুল দুটোই ভালো থাকবে। এটা প্রায় এরকম একের মধ্যে দুইয়ের কাজ। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানুন।
চুলের যত্নে তেলের ব্যবহার
চুলের জন্য তেল অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। মানুষের জন্য যেমন পানি
গুরুত্বপূর্ণ তেমনি চুলের জন্য তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুলের জন্য নারিকেল তেল ওই
সরিষার তেল দুটোই ভালো এবং খুব উপকারী। নারিকেল তেল এবং সরিষার তেলে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নিউট্রিয়েন্টস রয়েছে। আমাদের চুলের জন্য উপকারী।
যা চুল পড়া এবং চুলের খুশকি দূর করার সহযোগিতা করে। নারিকেল তেলে ভিটামিন ই,
ফ্যাটি অ্যাসিড, ও ময়েশ্চার থাকে যা চুলকে গড়া থেকে মজবুত হতে সহযোগিতা
করে।
চুলের তেল দেয়ার জন্য অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে কোন তেলটি ব্যবহার করবেন। ডক্টর
এমইউ কোভিদ চৌধুরীর মতে চুল এসব থেকে বেশি যেই তেলটি কার্যকরী তা হল নারিকেল তেল।
তার কারণ নারিকেল তেলের মধ্যে সবথেকে বেশি পানির পরিমাণ থাকে এবং সহজে এটি
স্কিনের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। কোন সুগন্ধি জাতীয় তেল মাথা ব্যবহার করা যাবে না
সুগন্ধি ছাড়া যে নারিকেল তেল গুলো রয়েছে সেগুলো চুলের জন্য অধিক উপকারী।
অলিভ অয়েল বা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করে থাকেন বাই স্টিকার ব্যবহার করেন। অলিভ
অয়েল বা ক্যাস্টর অয়েল চুলে ব্যবহার করা ঠিক না। এজন্যই আপনাদেরকে তেলের
ব্যাপারে খুব সাবধান থাকতে হবে যে কোন তেল ব্যবহার করলে আমাদের চুলের
সমস্যা দূর হতে পারে এবং কোন তেল টি ব্যবহার করলে আমাদের চুলের সমস্যা আরো
বেড়ে যেতে পারে। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানুন।
তেলের ব্যবহার সম্পর্কে সবাই জানে তবে সপ্তাহে কতদিন চুলে তেল দিতে হবে এ বিষয়ে
সম্পর্কে অনেকের সঠিক ধারণা নেই। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার চুলে তেল
লাগাতে হবে। তা না হলে চুলের খুশকি বেড়ে যাবে এবং চুল রুক্ষ হয়ে যাবে যার ফলে
চুল ঝরে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
কোন কোন খাবার চুলের জন্য উপকারী
মানুষের সৌন্দর্যের একটি বড় অংশটাই হচ্ছে চুল। যার চুল নেই তার সৌন্দর্য থাকে
না। ছেলে হোক বা মেয়ে হোক সকলের চুল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সেজন্যই আমি চুল
পড়া রোধ করার কি কি উপকারি সে দিকগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। এতক্ষণ সকল
বিষয় সম্পর্কে জানলাম এবার চলুন কোন কোন খাবার খেলে চুল পড়া বন্ধ হয় সে বিষয়ে
জানব। কিভাবে আপনারা চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারেন খাবারের মাধ্যমে এবং ঘরোয়া
পদ্ধতিতে সে বিষয়ে আলোচনা করব।
অনেকেই হয়তো অনেক ধরনের মেডিসিন গ্রহণ করেছেন বা বাইরের অনেক কিছু খাচ্ছেন এবং
ধারণা করছেন যে আপনাদের টুল পড়া হয়তো কমে আসবে। কিন্তু মনে রাখবেন সৌন্দর্য
ভেতরের ব্যাপার তাই এটি কি আপনাকে ভেতর থেকে ঠিক করতে হবে। ওষুধের মাধ্যমে হয়তো
বা সাময়িক হতে পারেন। কিন্তু ওষুধের মাধ্যমে কখনোই দীর্ঘস্থায়ী কোন কিছু হওয়া
সম্ভব নয়। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানুন।
চুলের উপকার করার জন্য আপনাকে প্রথমত অনেক বেশি পরিমাণে পানি খেতে হবে। পানি
শরীরের অন্যান সমস্যা দূর করতেও যেমন উপকারিতা এবং চুলের সমস্যার জন্য পানি অধিক
উপকারী। পর্যাপ্ত পরিমাণে আপনাকে সারাদিন পানি খেতে হবে।
প্রতিনিয়ত অবশ্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। চুলটা যেহেতু কেরোটিন তাই
আপনাকে প্রোটিন জাতীয় খাবারের মাধ্যমে এটিকে ধরে রাখতে হবে। প্রতিদিন অবশ্যই ডিম
খেতে হবে ডিমের সাদা অংশটা জানতে চুলের জন্য অধিক উপকারী এছাড়াও আপনার চুলের
যত্নে ডিমের সাদা অংশটি চলে লাগিয়ে নিতে পারেন এ তো আপনার চুল পড়াটা অনেকটাই
কমে আসবে। অবশ্য আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে ।
চুলের জন্য ক্ষতিকর কিছু দিক
আমরা প্রতিনিয়তই চুলের যত্ন নেওয়ার নামে চুলের ক্ষতি করে ফেলছি না তো? চুলের
যত্ন কিভাবে নিতে হয় সে সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা না থাকে অনেকেই চুলের যত্ন
নেয়ার নামে চুলের ক্ষতি করে ফেলছি যার কারণে আমাদের চুলের সমস্যা আরো বেড়ে
যাচ্ছে। যেমন ধরুন চুলে আমরা শ্যাম্পু করি যখন চুলটাকে পরিষ্কার করার জন্য কিন্তু
শ্যাম্পু করার পরে আমরা কন্ডিশনার লাগাই না এতে করে আমাদের চুলের ক্ষতি হয়
শ্যাম্পু শুধুমাত্র আমাদের চুল পড়া থেকে পরিষ্কার করে এবং সেই সাথে সাথে আমাদের
চুলে থাকার অতিরিক্ত তেলটাও চুষে নাই। যা আমাদের চুলকে নষ্ট করে দিতে পারে।
শ্যাম্পু করার পর যদি আমরা তুলে কন্ডিশনাল লাগাই তাহলে আমাদের চুলের গোড়ায়
প্রোটিন জাতীয় তেল সরবরাহ করা হবে যার মাধ্যমে চুল মজবুত হবে। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানুন।
আমরা সপ্তাহে তিন দিন চুলে তেল দেয়ার কথা বলেছি। অবশ্যই আপনাদেরকে তেল দিতে হবে
চুরি কিন্তু তেলের মাথাটা সঠিক রাখতে হবে অতিরিক্ত মাত্রায় তেল দেয়া যাবে না।
এবং তেল ব্যবহার করার সময় চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে। এতে চুলের
গোড়ায় রক্তচলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং চুলের গোড়ায় পৌঁছে যাবে এতে করে আপনাদের চুল
পড়া বন্ধ হবে এবং চুল লম্বা হতে সাহায্য করবে।
চুলের জন্য যে পানি কতটা উপকারী এটা আমরা অনেকেই জানিনা। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে
পানি খেতে হবে। এবং শীতের সময় অনেকেই চুল না ভিজিয়ে রেখে দেয় এটা করে চুল
রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়। চুলকে অবশ্যই প্রতিদিন পানি দিয়ে ধুইতে হবে।
আমার মতামত
আশা করি ওপরে আলোচনা থেকে আপনারা সকলে উপকৃত হবেন। যদি লেখার মধ্যে কোন ধরনের ভুল
হয়ে থাকে তাহলে আমাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি এখানে আমার ব্যক্তিগত
অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরেছি। যাতে আপনারা সকলে উপকৃত হতে পারেন। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানুন।
ওপরে যে জিনিসগুলো উল্লেখ করেছি সেই জিনিসগুলো মেনে চলে আমি আশা করি আপনাদের
সকলের চুল পড়া সমস্যাটা দূর হয়ে যাবে। আর আমার মতে কোন ঔষধের মাধ্যমে চুল পড়া
সমস্যার দূর করার চেষ্টা না করাই ভালো। এতে হয়তো সাময়িকভাবে আপনার এ সমস্ত দূর
হতে পারে কিন্তু আপনার শরীরের বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই ঔষধ থেকে দূরে
থাকবেন খুব প্রয়োজন না হলে ওষুধ সেবন করবেন না। আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার লেখাটি পড়ার জন্য।
খুব সুন্দর
ধন্যবাদ