ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ করার বিজ্ঞানসম্মত উপায়

ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ করার বিজ্ঞানসম্মত উপায় সম্পর্কে জানতে চান ? আমাদের সকলের মাঝে ক্যান্সার রোগ নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তা কাজ করে কিন্তু আমরা আমাদের প্রতিনিয়ত খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এর মাধ্যমে এবং কিছু নিয়ম মেনে চললেই এ ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করতে পারব।

ক্যান্সারের লক্ষণ কি কি

 আপনি নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন তো চলুন জেনে আসি ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ করার মাধ্যমগুলোর সম্পর্কে এবং ক্যান্সার রোগের লক্ষণ কি,  ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা কিসের সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব 

 ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ করার বিজ্ঞানসম্মত উপায়

    ক্যান্সারের উপসর্গটা দুই ভাবে আসে। প্রথমটা হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ে, এবং দ্বিতীয়ত যখন এটা ছড়িয়ে পড়ে। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা এই দুটি পর্যায়ে কে পর্যবেক্ষণ করে দেখে। ক্যান্সারের প্রথম পর্যায়ের দিকে কোন ধরনের লক্ষণ বোঝা যায় না। প্রথম পর্যায়ে দেখে যখন ক্যান্সার তৈরি হয়  শরীরে যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সে সময় শরীরের সেই অংশে কোন ধরনের ব্যাথা থাকে না যার কারনে ক্যান্সার হয়েছে এমনটা বোঝাটা খুবই কঠিন। 

    ক্যান্সার এমন একটা রোগ যার কোন ধরনের ঔষধ এখন পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ক্যান্সারের প্রতিরোধক তৈরি করার জন্য বিশ্বে বিষের উচ্চতম গবেষকরা তাদের গবেষণা চালিয়েছে এবং এখনো চলছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ওষুধের সন্ধান তারা পাই নাই 

    আমার মতামত অনুযায়ী আমার মনে হয় যদি শরীরে যে কোন অংশের গোটা দেখা দেয় তাহলে আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত কারণ যেহেতু ক্যান্সারের কোন ধরনের  উপসর্গ প্রথমত দেখা যায় না তাই বলবো ডক্টরের পরামর্শ নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

    ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ সমূহ 

    আজকে আমি আপনাদের সামনে এমন কিছু লক্ষণ তুলে ধরব যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ক্যান্সার হয়েছে কিনা বা আপনি ক্যান্সার দ্বারা আক্রান্ত হতে পারবেন কিনা। যেহেতু ক্যান্সার প্রাথমিকভাবে তার কোন লক্ষনই প্রকাশ করে না সেই জন্য আমাদের প্রতি সাবধানতার সঙ্গে ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে। 

    বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ধরনের খাবারে ভেজাল ফরমালিন বা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ  ব্যবহার করার কারণে প্রতিনিয়তই আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্যান্সার দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ এ ক্ষেত্রে বেশি আক্রান্ত হয় কারণ তারা ক্যান্সারের আইডেন্টিফাই করতে ব্যর্থ হয়।ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে ।

    শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্যান্সার এক এক রকমের ক্যান্সার একেক রকমের লক্ষ্য নিয়ে প্রকাশিত হয়। তবে ক্যান্সারের কমন কতগুলো লক্ষ্যণ্য রয়েছে যেগুলো সব ধরনের ক্যান্সারের মধ্যেই প্রকাশিত হয়। যেকোনো ধরনের ক্যান্সার হলেই অনেক সময় দেখা যায় যে সেই রকম কমন লক্ষণ গুলো প্রকাশিত হয় । আমরা কিভাবে বুঝব আমরা ক্যান্সার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছি বা ভবিষ্যতে আমার ক্যান্সারের আক্রান্ত হতে পারি চলুন কিছু কমন বা প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে জেনে আসি। 
    • ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে প্রথম হচ্ছে শরীরের ওজন কমে যাওয়া। তবে যারা অধিক স্থলতার কারণে খাদ্য অভ্যাস  পরিবর্তন করে নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করছে সেভাবে ওজন কমিটিকে আমরা ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরতে পারবো না। বড় যখন স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করেও কারো ওজন ছয় মাসে হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে ১০ কেজি কমে যায় বা তারও বেশি কমে যায় সেটাকে আমরা বলতে পারি প্রাথমিক লক্ষণ 
    • হঠাৎ করে আমার শরীরে যে কোন জায়গায় চাকার উদ্ভব যেটা আমার শরীরে আগে ছিল না কিন্তু হঠাৎ করে সেটার উদ্ভব হয়েছে। এই চাকা বা গোটা শরীরের যে কোন অংশ হতে পারে এবং সেটার ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে 
    • ক্যান্সার আরো একটু লক্ষণের মধ্যে রয়েছে শরীরের রক্ত কমে যাওয়া বা রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া এবং এর মাধ্যমে আমাদেরকে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করতে হবে যা আমাদের শরীর ক্যান্সার দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। তবে রক্তশূন্যতা ভিন্ন কারণে হতে পারে এ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। 
    • উপরোক্ত কারণ ছাড়া যদি কার সাথে বা বোনের সাথে রক্ত আসে তাহলে আমরা সে ক্ষেত্রে ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে সেটা কি ধরে নিতে পারি প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করতে পারি। 
    • যদি কোনো কারণে খাবারে রুচি কমে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা সন্দেহ করতে পারি ক্যান্সারটাকে কারণ গবেষকদের মধ্যে এটি ক্যান্সারের প্রাথমিক একটি লক্ষণ। তবে অন্য যেকোনো কারণেও খাবারের রুচি কমে যেতে পারে এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ খাবারে রুচি কমার ক্ষেত্রে ডক্টরের পরামর্শ নেয়াটাই শ্রেয়। 
    • যদি কোন রোগীর দীর্ঘদিন থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুকে এবং সে ক্ষেত্রে হঠাৎ করে তার ওজন কমে যাওয়া শুরু করে সে ক্ষেত্রে আমাদেরকে ভেবে নিতে হবে ক্যান্সার দ্বারা এটি সংঘটিত হচ্ছে কিনা। ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে।
    • যখন কোন স্বাভাবিক লক্ষণ ছাড়া জন্ডিস হয় এবং সেটি থেকে সহজে নিরাময় পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে আমাদের ভেবে নিতে হবে এর পেছনে ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে। এটাতে মনে রাখতে হবে লিভার বা যকৃত ক্যান্সার দ্বারা আক্রান্ত  হতে পারে।  

    ক্যান্সার কি ছোঁয়াচে রোগ 

    আমাদের অনেকের মধ্যে একটি ধারণা রয়েছে যে ক্যান্সার কিভাবে ছড়ায় ক্যান্সার কি ছোঁয়াচে রোগ। এক্ষেত্রে আমরা ডক্টর হাসান শাহারিয়ার কল্লোল স্যার এর কাছ থেকে জানতে পেরেছি ক্যান্সার কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। এবং ক্যান্সার সর্দি-কাশি হাচির  মত করে ছড়ায় না। অনেক সময় দেখা যায় যে আত্মীয়দের মধ্যে কারো হা সর্দি কাশি হাঁচি হলে এবং তাদের সাথে যদি আমরা বিছানা শেয়ার করে ঘুমাই এ ক্ষেত্রে আমাদেরও সর্দি কাশি হাঁচি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এমনটা একদমই নয়। ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে ।

    তবে ক্যান্সারের কিন্তু একটি বংশগত ভিত্তি থাকে। এক্ষেত্রে দেখা যায় যদি আপনার রক্তের সম্পর্কের কারো যেমন বাবা মামা এমন কারো  ক্যান্সারের পূর্ব ইতিহাস থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকিটি কিন্তু বেড়ে যায়। যেমন ধরুন আপনার মায়ের বেস্ট ক্যান্সার ছিল কেমন অবস্থায় আপনারও নিশ্চিতভাবে বেস্ট  ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিটি বেড়ে যায়। কিংবা আপনার খালার ছিল সে ক্ষেত্রেও কিন্তু আপনার একটা সম্ভাবনা থেকে যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার যেহেতু আপনি আপনার খালার জ্বীনের কিছু অংশগ্রহণ করছেন। এক একটি ক্যান্সারের জন্য ঝুঁকির মাত্রা একেক রকম। 

    ক্যান্সারের লক্ষণ কি কি

    ক্যান্সার কি কি ধরনের হতে পারে 

     প্রথমত ক্যান্সার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হয়ে থাকে। সাধারণত আমরা যে সকল ক্যান্সারের সঙ্গে পরিচিত সেগুলো হলো।ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে ।
    • ব্রেন ক্যান্সার 
    • ব্লাড ক্যান্সার 
    • বেস্ট ক্যান্সার 
    • জরায়ু ক্যান্সার 
    • কোলন ক্যান্সার 
    • পাকস্থলী ক্যান্সার 
    • লিভার ক্যান্সার 
    • সারকোমা বা হাড়ের ক্যান্সার

    আরও পরুনঃস্তন ক্যান্সার হওয়ার কারণ 

    যদি পরিবারের কারো ক্যান্সার হয় সে ক্ষেত্রে করণীয় কি 

    যদি আপনার পরিবারের কারো ক্যান্সার হয় সেক্ষেত্রে আপনার প্রথমত করণীয় হচ্ছে সতর্ক থাকা। ধরুন আপনার পরিবারের কারো আনসার পাকস্থলীর ক্যান্সার ছিল সেক্ষেত্রে আপনার করণীয়টা কি ? সে ক্ষেত্রে আপনার করণীয়টা হচ্ছে আপনাকে গ্যাস্ট্রিক এর সঙ্গে জড়িত সকল বিষয়কে এড়িয়ে চলতে হবে। এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে থাকতে হবে এক্ষেত্রে আপনি এন্ডোসকপি করে নিতে পারেন যে আপনার শরীরে ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে কিনা। ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে ।

    ক্যান্সার যেহেতু সবসময় স্বাভাবিক বা এর লক্ষণগুলো প্রথমত অবস্থায় প্রকাশ পায় না সেহেতু আপনি ডক্টর এর  পরামর্শের মধ্যে থাকবেন। যেহেতু ফ্যামিলি হিস্ট্রি বা পারিবারিক ইতিহাস ক্যান্সারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সে তো সবসময় আপনাকে সচেতন থাকতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শের মধ্যে থাকতে হবে এবং নির্দিষ্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সকল তথ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে। 

    ক্যান্সার প্রতিরোধের খাবার তালিকা 

    ক্যান্সার একটি মরণ ব্যাধি রোগ। মানবজীবনকে মুহূর্তেই নিঃশেষ করে দেয় ক্যান্সার। তবে পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত ফল ও সবজি ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিন এর খাবারের তালিকায় রঙিন শাক সবজি রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্য অভ্যাস কমিয়ে আনে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। প্রতিনিয়ত খাবার তালিকা আনতে হবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত ফল ও সবজি বলছেন  বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামতে জানান সবুজ ও লাল রঙের সবজি ও ফলের মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী বিশেষ উপাদান যা আমাদের শরীরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া থেকে প্রতিহত করবে। ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে

    জাম জাতীয় খাবার বা ব্রকলি তে ক্যান্সার প্রতিহতের  উপাদান বিদ্যমান থাকে। রসুন ও পেঁয়াজ এলিসিন পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। পেঁয়াজ এবং রসুন অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে ক্যান্সার প্রতিরোধ। গবেষণায় দেখা যায় ব্রকলি , গাজর পেয়ারা, টমেটো, পালং শাক, ও সামুদ্রিক মাছ রোদ করে ক্যান্সার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ফুলকপি বাঁধাকপি ও ব্রকলি স্যারফরাফেল উপাদান ও ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী। বিশেষ করে বলেন ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, এবং বিটা ক্যারোটিন রোধ করে ফুসফুস ও রক্ত নালীর  ক্যান্সার। 

    ক্যান্সার থেকে বাঁচতে করণীয় 

    যেকোনো রোগ থেকে বাঁচতে হলে প্রথমত দুইটি  মানসিক পরিস্থিতি থাকাটা  দরকার। ক্যান্সার ক্ষেত্রে যদি আমরা বলি সে ক্ষেত্রেও ক্যান্সার রোগে প্রতিহত করার জন্য আমাদের মানসিক ভারসাম্য টি সঠিক রাখতে হবে। ক্যান্সার থেকে বাঁচতে হলে আমাদের নির্ধারিত প্রতিদিন এর জীবন ব্যবস্থায় অমল পরিবর্তন আনতে হবে। ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে ।

    প্রথমত আমরা ক্যান্সার প্রতিরোধে যা করতে পারি সেটি হচ্ছে আমাদের খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। যেহেতু আমাদের খাবারের সকল পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলে সেজন্য আমাদেরকে আমাদের খাদ্য বসে অমল পরিবর্তন আনতে হবে। 

    নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্যে থাকতে হবে। অনেকেই মনে করে যে জীবনে তো শরীরচর্চা করে নাই তারা কিভাবে শরীর চর্চার নিয়মটি করবে সেজন্যই প্রথমত বলা হয়েছে আপনাদের জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে অমল পরিবর্তন আনতে হবে। ছোট ছোট শরীর চর্চার টপিক গুলো আমাদের ক্যান্সার হতে হতে সাহায্য করতে পারে। 


    আমাদের শরীরটাকে ঠিক রাখার জন্য এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের ঘুমের সিরিয়াল টাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৮ ঘন্টা একটি মানুষের ঘুমের প্রয়োজন হয়। আট ঘন্টার চেয়ে কম যদি সে ঘুমাই হয় তাহলে তার শরীর অসুস্থ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি। ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে

    ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধের উপায় 

    আমাদের সকলের ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধের উপরে দৃষ্টি দিতে হবে কেননা অনেক সময় ক্যান্সার রোগ ভালো করতে পারে না কারণ আমাদের দেশে বা যে বিশ্বের কোন জায়গায়ই ক্যান্সার রোগে সুনির্দিষ্ট কোন ঔষধ বের করতে এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা পারেনি যার কারণে আমাদেরকে অবশ্যই ক্যান্সার রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে ক্যান্সার রোগে কতটা ভয়াবহ সেটা সম্পর্কে আমরা অনেক ভাবে জানি কিন্তু আমরা কোনভাবেই এই রোগটি নিয়ে চিন্তা করি না আমাদের সকলেরই উচিত ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়া। ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে

    ক্যান্সারের প্রতিরোধ করার জন্য আমাদেরকে প্রথমত খেয়াল রাখতে হবে আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা অ্যালকোহল সেবন করে থাকে এলকোহল সেবন করার ফলে আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে শুধুমাত্র ক্যান্সার হয় তা নয় তবে অ্যালকোহল সেবনের ফলে ক্যান্সারে ঝুঁকিতে অধিক পরিমাণে বেড়ে যায়। আমাদের কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে আমাদের লিভার বিকলঙ্ক হয়ে যেতে পারে তো এই সকল দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদেরকে অ্যালকোহল একদম ছেড়ে দিতে হবে। 

    আমাদের খাদ্য অভ্যাস বর্তমান সময়ে খুবই তৈলাক্ত ভাজাপড়ার অধীনে চলে গেছে এক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের খাদ্যা বাসার মধ্যে তাজা শাকসবজি ফলমূল রাখতে হবে কেননা তাজা ফলমূল শাকসবজি মাধ্যমে আমরা যে সকল ভিটামিন আইরন পেতে পারি সেগুলো আমাদের দেহে ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধক তৈরি করবে এবং আমাদেরকে ক্যান্সার রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সহযোগিতা করবে তাই আমাদের সকলের প্রতিদিন টাটা শাক সবজি রাখতে হবে। 

    আমাদের মধ্যে এখানে অনেকের রয়েছে যারা বাড়িতে সব সময় বসে থাকে বা বাড়িতেই তাদের কাজ এক্ষেত্রে তাদেরকে অবশ্যই সকালবেলা ব্যায়াম এর একটি ব্যবস্থা রাখতে হবে কারণ ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে। অতিরিক্ত ওজন কিন্তু ক্যান্সারের একটি প্রধান কারণ আমাদের শরীরে যদি বাড়তি ওজন থাকে এক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের সে বাড়তি ওজনটিকে কমিয়ে আনতে হবে শরীরে একটু স্বাভাবিক ওজন নিয়ে আসার মাধ্যমে আমরা স্তন ক্যান্সার বা ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম হতে পারব। ক্যান্সারের লক্ষণ কি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে

    ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্পর্কে আমার মতামত 

    ক্যান্সার প্রথম সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। বর্তমানে যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে আমাদের দেশে মহিলাদের মধ্যে বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে এখন আমাদের কারো বেশি সচেতন থাকতে হবে। আমাদের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে অতিরিকভাবে জাতীয় খাদ্য আমাদেরকে একদমই পরিহার করে চলতে হবে। 

    ওপরে আলোচনার মাধ্যমে আমি ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্পর্কে সকল কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি আশা করি এগুলো থেকে আপনারা সকলে উপকৃত হবেন। আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল থাকলে আমাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। 

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    রাফিকা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url